ডাক্তারি ঔষধ
রোগব্যাধি নির্ণয়, নিরাময় বা প্রতিরোধের জন্য ব্যবহৃত পদার্থ / From Wikipedia, the free encyclopedia
ডাক্তারি ঔষধ (ইংরেজি: Pharmaceutical drug ফার্মাসিউটিক্যাল ড্রাগ) হলো চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যবহৃত এক প্রকার দ্রব্যবিশেষ যা রোগ নির্ণয়, নিরাময়, চিকিৎসায় ও প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।[1][2] ঔষধি চিকিৎসা (ফার্মাকোথেরাপি) চিকিৎসাক্ষেত্রের এমন একটি অংশ যা তার ক্রমাগত অগ্রগতি ও যথার্থ ব্যবস্থাপনার জন্য যথাক্রমে ঔষধবিজ্ঞান (ফার্মাকোলজি) এবং ঔষধপ্রস্ততি (ফার্মেসি) বিজ্ঞানলব্ধ জ্ঞানের ওপর নির্ভরশীল।
ডাক্তারি ঔষধকে নানাভাগে ভাগ করা যেতে পারে। তার মধ্যে একটি শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তি হলো- ভোক্তার ঔষধলভ্যতার ওপর নিয়ন্ত্রণ। এ নিয়ন্ত্রণমাত্রার ওপর নির্ভর করে ড্রাগ দু'রকম হতে পারে-
ব্যবস্থাপত্র-নির্ভর ডাক্তারি ঔষধ যা কিনা একজন ঔষধবিক্রেতা কেবলমাত্র একজন ডাক্তার, ডাক্তারের সহকারী কিংবা একজন যোগ্যতাসম্পন্ন নার্সের দেয়া ব্যবস্থাপত্র বা নির্দেশ সাপেক্ষেই বিক্রয়-বিতরণ করতে পারেন।
সর্বজনলভ্য বা ওভার-দ্য-কাউন্টার ড্রাগঃ (ওটিসি) ডাক্তারি ঔষধ এই ঔষধগুলো একজন ভোক্তা ইচ্ছানুসারে নিজের জন্য কিনতে পারেন অর্থাৎ ভোক্তার নিকট সহজলভ্য।
ঔষধের ধরনের উপর নির্ভর করেও তাকে দু ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাসায়নিক পদার্থের অণুর সমন্বয়ে গঠিত সিনথেটিক ড্রাগ এবং বায়োফার্মাসিউটিক্যালস বা জৈবলব্ধ চিকিৎসা উপাদান যেমন- রিকম্বিনেন্ট প্রোটিন, ভ্যাক্সিন বা প্রতিষেধক, চিকিৎসায় ব্যবহৃত রক্ত উপাদান (যেমন- ইনট্রাভেনাস ইমিউনোগ্লোবিউলিন), জিন থেরাপি, মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি, কোষীয় থেরাপি- বিশেষ করে বর্তমানে বহুল আলোচিত স্টেম সেল থেরাপি ইত্যাদি। এছাড়াও কার্যকারিতার ধরন, শরীরে ঔষধ প্রবেশের মাধ্যম, শরীরের কোন অংশে প্রভাব ফেলে ও পরিবর্তন সাধন করে, ভৈষজ প্রভাব প্রভৃতি ভিত্তিতে ঔষধকে নানা শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। একটি বিশদ এবং বহুল প্রচলিত শ্রেণিবিন্যাস পন্থা হচ্ছে অ্যানাটমিক্যাল থেরাপিউটিক কেমিক্যাল ক্লাসিফিকেশন সিস্টেমস বা এটিসি সিস্টেম। হু (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন) প্রয়োজনীয় ও জরুরী ঔষধের একটি তালিকা সংরক্ষণ করে।
ঔষধের আবিষ্কার ও উন্নয়ন খুবই ব্যয়বহুল ও জটিলতায় ভরপুর বিষয় যার উদ্যোগ ঔষধ কোম্পানি, বিজ্ঞানী ও সরকার নিয়ে থাকেন। কোন কোন ঔষধ বাজারজাত করা হবে, ঔষধসমূহ কীভাবে বাজারজাত করা হবে তা মূলত সরকার নিয়ন্ত্রণ করে, এমনকি কিছুক্ষেত্রে এখতিয়ার থাকলে ঔষধের দামটিও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়। ঔষধের দামনির্ধারণ ও নিষ্কাশন নিয়ে সারাবিশ্বে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে।