Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ডাকাতি এক ধরনের অপরাধ। কোনো মানুষের উপর বল প্রয়োগ করে, বল প্রয়োগের ভয় দেখিয়ে অথবা তাকে ভয়ভীত অবস্থার মধ্যে ফেলে, তার থেকে মুল্যবান দ্রব্যাদি সরিয়ে ফেলাই ডাকাতি। সাধারণ আইন অনুসারে ডাকাতিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এভাবে যে, কোনো ব্যক্তি থেকে তার এখতিয়ারে থাকা সম্পত্তি নেওয়া বা কোনো ব্যক্তিকে ভয় বা বলপূর্বক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা নামই ডাকাতি।[2] দেশভিত্তিক আদালতের আইন অনুসারে ডাকাতির সংজ্ঞা সম্পুর্ণভাবে নাও মিলতে পারে। ডাকাতি তার হিংস্র স্বভাবের জন্য চুরি থেকে আলাদা।
বিভিন্ন ধরনের ডাকাতির মধ্যে একটি ডাকাতি হল, অস্ত্রসহ ডাকাতি, যেখানে অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়। কিছু ডাকাতি আছে যেখানে মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। হাইওয়েতে অনেকসময় ডাকাতি করা হয় বা অনেকসময় পথচারীকে নির্বোধ বানিয়ে ডাকাতি করা হয়। এ ডাকাতিগুলো জনসমাগম আছে (যেমন: হাটতে হাটতে, পার্কে, রাস্তায় ইত্যাদিতে) এধরনের জায়গায় হয়। গাড়ি ডাকাতিও এমন এক ধরনের ডাকাতি, যেখানে বলপূর্বক বৈধ মালিকের থেকে গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। চাঁদাবাজিও এক ধরনের অবৈধ কাজ, যেখানে জোর করে দ্রব্যাদি ছিনিয়ে নেওয়া হয়, এবং কোনো অর্থ পরিশোধ করা যায় না। এই চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে অস্ত্রের পরিবর্তে প্রাথমিক ভাবে শব্দ ব্যবহার করা হয়। এ ভাষাকে অপরাধীর অপভাষা বলা হয়। এছাড়া চলন্ত ট্রেনে ডাকাতি ও অনেক দেশে দেখা যায়।
কানাডার অপরাধ আইন অনুসারে ডাকাতি করা গুরুতর অপরাধ। এর ফলে ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে। যদি কেও ডাকাতি করার সময় অস্ত্রের ব্যবহার না করে, এবং তার বিরুদ্ধে সেটাই প্রথম অভিযোগ হয়, সে ক্ষেত্রে তার নূন্যতম পাঁচ বছরের কারাদন্ড হয়, কিন্তু যদি তার বিরুদ্ধে এর আগেও পুলিশের রেকর্ডে অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে তার সাতবছরের কারাদন্ড হয়।[3]
আয়ারল্যান্ডে 'ডাকাতি' সংবিধান মতে গুরুতর অপরাধ। ২০০১ সালের ১৪(১) ধারা অনুসারে ডাকাতি বলা যাবে নিম্নোক্ত ঘটনাকে:
একজন ব্যক্তি সে ছেলে হোক বাবা মেয়ে, পূর্বে চুরি করার সময়, বা যেকোনো সময় চুরি করতে অথবা চুরি করার উদ্দেশ্যে যদি বল প্রয়োগ করে, অথবা কোনো ব্যক্তিকে বল প্রয়োগের হুমকি দিয়ে ভয়ভীত করে তবে তাকে ডাকাতি বলা হবে।[4]
ইংল্যান্ড এবং ওয়েল্স্ ডাকাতি সংবিধিবদ্ধ মতে অপরাধ।[5] ১৯৬৮ সালের সাধারণ আইন এর ৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে
একজন ব্যক্তি সে ছেলে হোক বাবা মেয়ে, পূর্বে চুরি করার সময়, বা যেকোনো সময় চুরি করতে অথবা চুরি করার উদ্দেশ্যে যদি বল প্রয়োগ করে, অথবা কোনো ব্যক্তিকে বল প্রয়োগের হুমকি দিয়ে ভয়ভীত করে তবে তাকে ডাকাতি বলা হবে[6]
চৌর্যবৃত্তির অবনতি
চুরির চেয়ে নিকৃষ্টতম অপরাধ হল ডাকাতি।[7]
১৯৬৮ সালে চৌর্যবৃত্তি আইনের ১(১) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে কোনো ঘটনাকে চৌর্যবৃত্তি বলতে হলে, তার জন্য অনুচ্ছেদে উল্লেখিত; প্রমাণ করার-যে সুনির্দিষ্ট ধারা তার সাথে মিল থাকতে হবে।[8] আর ভি রবিনসনের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছিল। রবিনসন একজন মহিলার কাছে প্রথমে কিছু অর্থ ধার চায়, মহিলাটি তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়, এবং তার স্বামীর সাথে রবিনসনের বাদানুবাদ হয়। এরপর রবিনন ছুরি হাতে তাদের আক্রমণের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে মহিলাটির স্বামী পকেট থেকে কিছু অর্থ মাটিতে পড়ে যায়। রবিনসন তা তুলে নিজের পকেটে রেখে দেয়। রবিনসনের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা হয়। কিন্তু আদালত কর্তৃক এ আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়, আদালত তাদের পর্যবেক্ষণে বলেন, রবিনসনের ব্যাখা করা যায় না এরকম ধারণা, কিন্তু সৎ বিশ্বাস ছিল যে ভদ্রমহিলা তাকে অর্থ ধার দিবে। তাই এটি ডাকাতির মামলাগুলোর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না।
আর ভি হালে (১৯৭৮) এর ক্ষেত্রে[9] বলপ্রয়োগ এবং চুরি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় হয়েছিল। বিচারক একে ডাকাতি বলেই আখ্যা দিয়েছিল। আর ভি লকলি (১৯৯৫)[10] এর ক্ষেত্রে বিচারক আর ভি হালেকে ই অনুসরণ করেছে। এই কেসের বেলায় মুল ঘটনা ছিল দোকানদারের মালামাল সব নিয়ে যাওয়ার পরে তার উপর জোরজবরদস্তি করা হয়েছিল। তবে আর ভি গোমেজ (১৯৯৩),[11] এর ক্ষেত্রে আদালত ঘটনাটিকে ডাকাতি নয় বরং চুরি হিসেবেই সাব্যস্ত করেছে।
'হুমকি' অথবা 'বল প্রদর্শন' চুরির পূর্বে অথবা চুরির সময়ে অবশ্যই করতে হবে। যদি চুরি সম্পন্ন হয়ে যাবার পরে বল প্রদর্শন করা হয়, তবে সে চৌর্যবৃত্তিকে ডাকাতি বলা যাবে না।
যদি বল চুরি হবার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োগ করা হয়, তাহলেওতাকে ডাকাতি বলা হবে। এই 'তাৎক্ষণিক পরে' (immediately after) শব্দটি সাধারণ চুরি আইন ১৯১৬ এর ২৩(১) অনুচ্ছেদে প্রথমবারের মত উল্লেখ করা হয। এই শব্দটি ৮(১) অনুচ্ছেদ থেকে বাদ দিয়ে ২৩(১) এ সন্নিবেশিত করা হয়েছে।[12]
"আর্চবোল্ড" নামক বই অনুসারে আর ভি হারমান এর সেই ঘটনাটি [13] যদি ১৬২০ সালে ডাকাতি হিসেবে না ধরা হ, তাহলে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে তাকে এখনো ডাকাতি বলা যাবে না।[14]
আর ভি ডাওসন এবং জেমস(১৯৭৮)[15] এর অভিযোগকে সুচিত করে বলা যায় যে, বলপ্রয়োগ একটি সাধারণ ইংরেজি শব্দমাত্র এবং ঘটনার প্রকারভেদে এর অর্থ কী হবে তা আদালতের বিচারকই ঠিক করবে। দুইটি ঘটনা যেমন আর ভি ক্লাওডেন (১৯৮৫)[16] এবং করকোরান ভি এণ্ডারটন (১৯৮০),কে[17] উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়। দুই ক্ষেত্রেই বলপ্রয়োগ করে বালক কর্তৃক হাতব্যাগ ছিনতাই করা হয়েছে। কিন্তু আদালতের বিচারকরা এই ঘটনাকে ডাকাতির মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেন নি। তাদের রায়ে বলা হয়েছে যেহেতু এটা যে নিয়ম বহির্ভূত অনৈতিক কাজ, তা এই বালক জানে না, তাই এঘটনাদ্বয় ডাকাতির মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না।
যে স্থানে সম্পত্তি বলপ্রয়োগ করে বাজেয়াপ্ত করা হবে সে ঘটনাটিকে ডাকাতি বলার জন্য ওই সম্পত্তির মালিক বা তার প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে হবে। ডাকাতি করার সময় ডাকাত দ্বারা হুমকি এমনভাবে দেওয়া হয়, যাতে সম্পত্তির মালিক ভয়ভীত হন।
ডাকাতি নানাভাবে ঘটতে পারে। যেমন: মোবাইল ফোনকে জবরদস্তিভাবে তার গ্রাহকের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া এক প্রকার ডাকাতি। অথবা হাতে ধাতব অস্ত্র যেমন: ছুরি হাতে মোবাইল ফোনের মালিককে জখমের হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিতে পারে। সবসময় ডাকাত যে সম্পত্তির মালিককেই ভয়ভীত করে সম্পত্তি নিবে এমন কোনো কথা নেই, সম্পত্তির মালিকের আত্মীয়-স্বজনকে ভয় দেখিয়ে তাদের জীবনের উপর হামলার ভয় দেখিয়েও সম্পত্তির মালিক থেকে সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে পারে।[18]
অনেকসময় ৩য় পক্ষের উপর বলপ্রয়োগ করে বা হুমকি দিয়েও ডাকাতি করা হতে পারে। যেমন: জুয়েলারী বা অলংকারের দোকানে ক্রেতার উপর হামলার হুমকি দিয়ে বিক্রেতা থেকে ডাকাতি করা হয়।[19] ভবিষ্যতে ক্ষতি করা হবে, এই ধরনের হুমকি দিয়ে যে চৌর্যবৃত্তি করা হয়, তাকে ডাকাতি নয় ব্ল্যাকমেইল বলা হয়।
অসততার সাথে সম্পত্তির ব্যবসায়িক লেনদেন করার পর তা ডাকাতি করাকে হ্যাণ্ডলিং বলে।
ডাকাতিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে ধরা হয়।[20]
ডাকাতির জন্য মাত্রাভেদে বিভিন্ন শাস্তি থেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড পর্যন্ত হয়।[21] অপরাধীর ন্যায় বিচার ২০০৩ অনুসারে এই শাস্তির বিধান দেওয়া হয়। ২০০৬ সালের ২৫শে জুলাই গাইডলাইন কাউন্সিল ডাকাতির শাস্তি কীরুপ হতে পারে, তার একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন প্রকাশ করেন।[22]
আর ভি মিটছেল (২০০৫) অল ই.আর(ডি) ৭৪, অনুসারে শাস্তির নির্দেশিকা সন্নিবেশিত হয়েছে এটর্নি জেনারেলের তথ্যসূত্র(২০০২) নামে। নভেম্বর ২০০৫ সালে ডাকাতির শাস্তিস্বরুপ নতুন গাইডলাইনের খসড়া জারি করা হয়।[23]
ইংল্যাণ্ডে ডাকাতি গুরুতর অপরাধ। ম্যাথিউ হালে এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন
ডাকাতি হচ্ছে এক ধরনের হিংস্রতা আর বেআইনিভাবে কারো সম্পত্তি এবং অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া, তাকে ভীতসন্ত্রস্ত করা [24]
১৯৬৯ এর পূর্বে ডাকাতির জন্য আলাদা কোনো সুনির্দিষ্ট আইন ছিল না।[25]
চুরি সংক্রান্ত আইন ১৮৬১ এর ৪০ থেকে ৪৩ নং অনুচ্ছেদ দেখুন
অপহৃত ধারা ১৯১৬ এর ২৩ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে:
23.-(১) যেকোনো ব্যক্তি-
- (ক) যদি ডাকাতির উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের জনস্বার্থে ক্ষতিকর যন্ত্র বা অস্ত্র বহন করে, অথবা একের অধিক ব্যক্তির সাথে একত্রিত হয়ে
- (খ) যদি ডাকাতির ত্বরিত আগমুহুর্তে বা পরবর্তীতে কারো উপর শারীরিক হানি পৌছায়, তাহলে সে যেই হোক না কেন তার এ অপরাধকে গুরতর অপরাধ বলে ধরে নেওয়া হবে। এবং সে যদি পুরুষ হয়, তাহলে তাকে গোপনে বেত্রাঘাত করা হবে।
(২)যে কোনো ব্যক্তি যদি ডাকাতি করে এবং আদালত কর্তৃক প্রমাণ হয়, তাহলে তাকে দোষী হিসাবে মানা হবে এবং তার সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সাজা হবে।
(৩) যদি কেও ডাকাতির উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে থাকে, কিন্তু সফল না হয়, তথাপি তাকে দোষী মানা হবে এবং তার সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এই অনুচ্ছেদ অনুসারে ডাকাতির বিভিন্ন ধরনের উপর ভিত্তি করে আদালত অর্থ জরিমানা করে থাকে, এই অর্থদণ্ড ডাকাতির ধরনের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন হয়[7]
বলপূর্বক ডাকাতি সংক্রান্ত নিম্নোক্ত কেস গুলো আদালত দ্বারা নিষ্পত্তি হয়েছিল:
যদি কোনো ডাকাতি সম্পন্ন হবার পূর্বেই ভণ্ডুল হয়ে যায়, তখন ১৮৬৮ আইন ৮(২) অনুচ্ছেদ অনুসারে বিকল্পভাবে শারীরিক আক্রমণের অভিযোগ তোলা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, ডাকাতির উদ্দেশ্যে যদি এমন কোনো কাজ ইচ্ছাকৃত বা বেপরোয়াভাবে করা হয়, যার ফলে ব্যক্তি ভীত হয়, বা তার উপর বেআইনিভাবে বল প্রয়োগ করা হয়, তবে তা শারীরিক আক্রমণ বলে গণ্য হবে।
আদালতের নিম্নোক্ত রায় এর সাথে প্রাসঙ্গিক:
শারীরিক আক্রমণের জন্য আদালতের আইন ও দণ্ডবিধি
ডাকাতি করার সময় শারীরিক আক্রমণ করা হলে তার জন্য স্বল্প মাত্রায় কারাদন্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড পর্যন্ত হতে পারে।[20][26]
ক্রিমিনাল জাস্টিস ২০০৩ অনুসারে শাস্তির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়।
উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপের চৌর্যবৃত্তি আইন ১৯৬৯ এর ৮নং অনুচ্ছেদ অনুসারে উত্তরাঞ্চলীয় আয়ারল্যান্ডে ডাকাতি সংবিধিবদ্ধ অপরাধ।
কুরআনের পরিভাষায় ডাকাতি ও লুটতরাজকে মুহারিব বলা হয়। এদের শাস্তি সম্পর্কে কুরআনে উল্লেখিত হয়েছে,
"যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং যমীনে ফাসাদ করে বেড়ায়, তাদের আযাব কেবল এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে কিংবা বিপরীত দিক থেকে তাদের হাত ও পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে। এটি তাদের জন্য দুনিয়ায় লাঞ্ছনা এবং তাদের জন্য আখিরাতে রয়েছে মহাআযাব।" - কুরআন, সূরা মায়িদাহ ৩৩
ইসলামে ডাকাতির ৪ ধরনের শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যথা:
১. হত্যা ২. শূলবিদ্ধকরণ ৩. হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দেওয়া ৪. নির্বাসিত করা।
ইসলামের ফুকাহায়েকেরাম বলেন, ডাকাতের অপরাধ অনুপাতে যে কোনো একটি শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে। যে ডাকাত শুধু হত্যা করে ধন-সম্পদ না নেয়, তাকে হত্যা করা হবে। যে শুধু ধন-সম্পদ অপহরণ করে কিন্তু কাউকে হত্যা করে না, তাকে হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা হবে। যে হত্যাও করে আবার ধন-সম্পদও নিয়ে যায়, তাকে শূলে চড়িয়ে হত্যা করা হবে। আর যে শুধু মানুষকে ভয় দেখায়, হত্যা বা ধন-সম্পদ নিয়ে যায় না, তাকে নির্বাসিত করা হবে।[27]
সাধারণ আইন অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রতে ডাকাতিকে চুরির গুরুতর পর্যায় বলে ধরা হয়। ডাকাতির উপাদানগুলো হল:
প্রথম দুটি উপাদান বাদ দিলে বাকি উপাদান গুলোকে যুক্তরাষ্ট্র এর সাধারণ আইন অনুসারে চুরি বলেই ধরা হয়। কিন্তু বাকি দুইটি উপাদানকে একত্রিত করলে সেই অপরাধটি ডাকাতি বলেই বিবেচিত হয়।
বিপদগ্রস্থ ব্যক্তি বা শিকারের উপস্থিতিতে - ডাকাতির অর্থ হল: সম্পত্তি যা সরাসরি কোনো ব্যক্তি থেকে তার উপস্থিতিতেই নিয়ে নেওয়া হয়, তাই ডাকাতি। সম্পত্তি মাত্রই যে নগদ অর্থ হবে এমন নয়, সম্পত্তি পরিধানও করা যায়। যেমন: শরীরে কোনো ধরনের অলঙ্কার পরিধান করা, হাতে ঘড়ি থাকলে তা বলপ্রয়োগ করে ছিনিয়ে নেওয়াও এক প্রকার ডাকাতি।[29] যার কাছ থেকে ডাকাতি হয়, সে সর্বদাই সচেষ্ট থাকে, কীভাবে ডাকাতিকে বা উদ্ভূত পরিস্থিতিকে প্রতিরোধ করা যাবে।
বল প্রয়োগ করে অথবা বল প্রয়োগের ভয় দেখিয়ে – বল প্রয়োগ করে অথবা বল প্রয়োগের হুমকি দেখানোকে ডাকাতির অন্যতম আনুষঙ্গিক উপাদান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রতে দেখা হয়। যুক্তরাষ্ট্রতে চৌর্যবৃত্তির মত কুকর্মকে ডাকাতি হিসেবে তখনি গণ্য করা হবে, যদি চুরি করার সময় বল প্রয়োগ বা প্রয়োগের হুমকি দেওয়া হয়।[30] শুধুমাত্র ব্যক্তি থেকে তার সম্পত্তি (যেমন: কানের দুল) ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়াকে পর্যাপ্ত বলপ্রয়োগ হিসেবে ধরা হয় না, ফলে এ ঘটনা ডাকাতির মামলায় আওতাভুক্ত হবে না।
একটি ঘটনাকে ডাকাতি তখনি ধরা হবে, যখন বিপদগ্রস্থ নিরীহ ব্যক্তি ক্ষতির আশঙ্কায় এবং ডাকাতির ভয়ে ভয়ভীত হবেন। হুমকি(জীবন বা পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি) দিয়েই যে ডাকাতি করা হয়, সে হুমকিকে অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবেই দিয়ে করতে হয়, যদি ভবিষ্যতের জন্য হুমকি দেওয়া হয়, তবে তা ডাকাতি নয়।[29]
পেনাল ২১৩ (১) (ক) ধারা অনুসারে ক্যালিফোর্নিয়াতে ডাকাতির শাস্তি ৯ বছর।[31]
চৌর্যবৃত্তিতে বলের প্রয়োগ হয় না[32] যদি বলপ্রয়োগে চৌর্যবৃত্তি করা হয়, তাহলে তা চুরি থাকে না, ডাকাতি হয়ে যায়।[33]
জাতিসংঘ এ বিষয়ে বিবৃতি দেয় "এই পরিসংখ্যান ব্যবহার করে সকল দেশকে তুলনা করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ প্রত্যেকটা দেশে ডাকাতির ঘটনা রেকর্ড সঠিক ভাবে হয় না, এবং ডাকাতির ঘটনাকে প্রশাসনের নথিভুক্ত করার পদ্ধতিও ভিন্ন।" এছাড়াও প্রত্যেকটি ডাকাতির ঘটনা সংরক্ষিত না হবার দুইটি অর্থ হয় (১) এখানে ডাকাতির যে অনুপাত দেখা যাচ্ছে, বাস্তবিক অনুপাত তার চেয়ে বেশি (২) যেসব দেশে ডাকাতির ঘটনা সঠিকভাবে নথিভুক্ত করা হয় না, সেসব দেশে বিপদের আশঙ্কা অন্য দেশের তুলনায় বেশি, উদাহরণস্বরূপ – একটা দেশে যে পরিমাণ ডাকাতি হয় তার হয়তো ৮৬% প্রশাসনের কাগজে নথিভুক্ত হয়, পক্ষান্তরে অন্যদেশে ডাকাতির ঘটনার হয়তো ৬৭% নথিভুক্ত হয়। তাই ৬৭% ডাকাতির ঘটনা নথিভুক্ত হওয়া দেশ তালিকানুসারে নিরাপদ দেশ হিসেবে প্রতীয়মান হতেও পারে, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। জাতিসংঘের এই বিবৃতির সর্বশেষে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি দেশে সকল অঞ্চলে ডাকাতির পরিমাণ সমান নয়। এখানে যে তালিকাটি উল্লেখ করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে একটি গড়পড়তা হিসাব। এই হিসাব থেকে রাষ্ট্রের সব অঞ্চলে ডাকাতি কেমন, তা জানা যাবে না।
দেশভিত্তিতে ডাকাতি[34] | ||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
দেশ | ডাকাতিসমূহ | অনুপাত(প্রতি ১০০০০০ জনে) | বছর | |||||||||
বেলজিয়াম | ১৯১,১২৬ | ১,৭২৮.১ | ২০১২ | |||||||||
স্পেইন | ৫০২,৫৪৬ | ১,০৭৪.২ | ২০১২ | |||||||||
মেক্সিকো | ৭৪৬,৮৯৪ | ৬১৮.০ | ২০১২ | |||||||||
কোস্টারিকা | ২৫,০৬৬ | ৫২১.৬ | ২০১২ | |||||||||
ব্রাজিল | ৯৭৯,৫৭১ | ৪৯৩.১ | ২০১২ | |||||||||
নিকারাগুয়া | ২৮,৪২৯ | ৪৮৮.৩ | ২০১০ | |||||||||
চিলি | ৮১,৬৬৪ | ৪৬৭.৬ | ২০১২ | |||||||||
উরুগুয়ে | ১৫,৪১৪ | ৪৫৪.০ | ২০১২ | |||||||||
ইকুয়েডর | ৫২,৬৫৫ | ৩৭৫.৫ | ২০০৬ | |||||||||
টোবাগো এবং ট্রিনিডাড | ৪,৪৩৬ | ৩৩১.৭ | ২০১২ | |||||||||
সুইজারল্যান্ড | ৩,৩৯২ | ৩০৯.৮ | ২০০৪ | |||||||||
পানামা* | ১০,০৩৮ | ২৬৪.০ | ২০১২ | |||||||||
হণ্ডুরাস | ১৭,৯৮০ | ২২৬.৬ | ২০১২ | |||||||||
প্যারাগুয়ে | ১৫,০০৬ | ২২৪.৪ | ২০১২ | |||||||||
বার্বাডোস | ৫৫৫ | ১৯৬.০ | ২০১২ | |||||||||
ফ্রান্স* | ১২৩,৮১৪ | ১৯৩.৭ | ২০১২ | |||||||||
মালদ্বীপ | ৫৯৭ | ১৯০.২ | ২০০৮ | |||||||||
গুয়েনা | ১৪০১ | ১৭৬.১ | ২০১২ | |||||||||
পর্তুগাল | ১৮,৫১৪ | ১৭৪.৬ | ২০১২ | |||||||||
কলম্বিয়া | ৮২,৬২০ | ১৭৩.২ | ২০১২ | |||||||||
পেরু | ৪৮,৭৮৫ | ১৬৮.৬ | ২০০৯ | |||||||||
সেইন্ট কিটস | ৮৭ | ১৬২.৪ | ২০১০ | |||||||||
সেইন্ট ভিনচেন্ট | ১৭০ | ১৫৫.৫ | ২০১১ | |||||||||
বেলিজে | ৪৪৭ | ১৪১.৩ | ২০১১ | |||||||||
বলোভিয়া (Plurinational State of) | ১৪,৪১১ | ১৩৭.৩ | ২০১২ | |||||||||
কাজাকিস্তান | ২০,২৫৯ | ১২৪.৫ | ২০১২ | |||||||||
বটসোয়ানা | ২,৪৬১ | ১২৩.৯ | ২০১১ | |||||||||
বারমুডা | ৭৭ | ১২২.২ | ২০০৪ | |||||||||
যুক্তরাজ্য(ইংল্যান্ড এবন ওয়ালস) | ৬৫,১৫৬ | ১১৬.২ | ২০১১ | |||||||||
যুক্তরাষ্ট্র | ৩৫৪,৫২০ | ১১১.৭ | ২০১২ | |||||||||
ইটালি | ৬২,৬৪১ | ১০২.৯ | ২০১২ | |||||||||
বাহামাস | ৩৬৯ | ১০০.৭ | ২০১১ | |||||||||
জ্যামাইকা | ২,৭১১ | ১০০.১ | ২০১২ | |||||||||
সুইডেন | ৯,১৩ | ৯৬.৯ | ২০১২ | |||||||||
১২৭,৭৭২ | ৮৯.১ | ২০১১ | ||||||||||
নেদারল্যন্ডস* | ১৪,৭৫০ | ৮৮.২ | ২০১২ | |||||||||
এল সালাভেডর | ৫,৫২১ | ৮৭.৭ | ২০১২ | |||||||||
গ্রনাডা | ৮৯ | ৮৪.৪ | ২০১২ | |||||||||
মরক্কো | ২৫৯৩৫ | ৮২.৯ | ২০০৯ | |||||||||
মালেয়শিয়া | ২১,৪১৯ | ৮১.৪ | ২০০৬ | |||||||||
কানাড | ২৭,৬৮০ | ৭৯.৫ | ২০১২ | |||||||||
লুক্সেমবার্গ | ৩৯৮ | ৭৭.১ | ২০১১ | |||||||||
সুইজারল্যান্ড* | ৬,০৭৬ | ৭৬.০ | ২০১২ | |||||||||
জিম্বাবুয়ে | ৮৯০৬ | ৬৮.৮ | ২০০৮ | |||||||||
গুয়েতেমালা | ৯,৫৩৯ | ৬৮.২ | ২০০৯ | |||||||||
মাওরিটিয়াস | ৮১৪ | ৬৫.৯ | ২০১১ | |||||||||
লেসথো | ১,২৭০ | ৬৩.৮ | ২০০৯ | |||||||||
লিথুয়ানিয়া | ১,৯২৩ | ৬৩.৫ | ২০১২ | |||||||||
আয়ারল্যান্ড | ২,৮১৮ | ৬১.৬ | ২০১২ | |||||||||
মাল্ট* | ২৫৭ | ৬০.১ | ২০১২ | |||||||||
বেলারুশ | ৫,৭২২ | ৬০.১ | ২০০৯ | |||||||||
জার্মানি | ৪৮,৭১১ | ৫৮.৮ | ২০১২ | |||||||||
যুক্তরাজ্য | ১০৪০ | ৫৭.৪ | ২০১২ | |||||||||
গ্রিস | ৫৯৯২ | ৫৩.৯ | ২০১২ | |||||||||
ডেনমার্ক | ২,৯৮৭ | ৫৩.৪ | ২০১২ | |||||||||
ইউক্রেন | ২৩,০০০ | ৫০.৬ | ২০১১ | |||||||||
অস্ট্রিয়া | ৪,০৯২ | ৪৮.৩ | ২০১২ | |||||||||
নিউজিল্যান্ড | ২,০৮৬ | ৪৬.৮ | ২০১২ | |||||||||
ল্যাটভিয়া | ৯৪৩ | ৪৫.৮ | ২০১২ | |||||||||
কিরগিজিস্তান | ২,৪৩৪ | ৪৫.০ | ২০১১ | |||||||||
বুরুণ্ডি | ৪,২৬৬ | ৪৪.৭ | ২০১১ | |||||||||
পোল্যাণ্ড | ১৬,৬৮৫ | ৪৩.৭ | ২০১২ | |||||||||
বুলগেরিয়া | ২,৯৫৫ | ৪০.৬ | ২০১২ | |||||||||
শ্রীলঙ্কা | ৭,৯৪৩ | ৪০.২ | ২০০৪ | |||||||||
সেবরিয়া | ৩,৭৯১ | ৩৯.৭ | ২০১২ | |||||||||
ক্রোয়েশিয়া | ১৫৮৮ | ৩৬.৯ | ২০১২ | |||||||||
ইসরাইল | ২,৭৪৬ | ৩৬.৪ | ২০১১ | |||||||||
এস্টোনিয়া | ৪৫৭ | ৩৫.৪ | ২০১২ | |||||||||
যুক্তরাজ্য (স্কটল্যান্ড) | ১৮৩২ | ৩৪.৬ | ২০১২ | |||||||||
গণপ্রজাতন্ত্রী ক্রেজ | ৩,৪১৬ | ৩২.০ | ২০১২ | |||||||||
হাঙ্গেরী | ৩,০৩৬ | ৩০.৪ | ২০১২ | |||||||||
ফিনল্যান্ড | ১,৬১৬ | ২৯.৯ | ২০১২ | |||||||||
নরওয়ে* | ১,৪৮৪ | ২৯.৭ | ২০১২ | |||||||||
ফিলিপাইন* | ২৬,৯৮৮ | ২৭.৯ | ২০১২ | |||||||||
আলজেরিয়া* | ১০,৭০৯ | ২৭.৮ | ২০১২ | |||||||||
বাহরাইন | ৩০৬ | ২৭.৪ | ২০০৮ | |||||||||
বসনিয়া | ১,০১০ | ২৬.৩ | ২০১২ | |||||||||
কুয়েত | ৬৫৭ | ২৩.১ | ২০০৯ | |||||||||
মোজাম্বিক | ৫,২৬৭ | ২২.৫ | ২০০৯ | |||||||||
মেকাডোনিয়া | ৪৬৯ | ২২.৩ | ২০১২ | |||||||||
গণপ্রজাতন্ত্রী ডোমিনিকান | ২,০৯১ | ২০.৩ | ২০১২ | |||||||||
মনগোলিয়া | ৫৩৬ | ১৯.৫ | ২০১১ | |||||||||
সেনেগাল | ২,৫০৩ | ১৯.৩ | ২০১০ | |||||||||
স্লোভেনিয়া | ৩৯১ | ১৮.৯ | ২০১২ | |||||||||
স্লোভাকিয়া | ৯৭৪ | ১৭.৯ | ২০১২ | |||||||||
উগাণ্ডা | ৫,৯৮৫ | ১৭.৬ | ২০১০ | |||||||||
অস্ট্রেলিয়া | ৩,৮৩৯ | ১৬.৯ | ২০১১ | |||||||||
আইল্যাণ্ড | ৫০ | ১৫.৩ | ২০১২ | |||||||||
সাইপ্রাস | ১৭৩ | ১৫.৩ | ২০১২ | |||||||||
জর্ডান | ৮০২ | ১৪.৮ | ২০০৬ | |||||||||
রোমানিয়া | ৩,১৯৩ | ১৪.৭ | ২০১২ | |||||||||
জর্জিয়া | ৬৩৮ | ১৪.৫ | ২০১০ | |||||||||
লিয়েছটেনস্টাইন | ৫ | ১৩.৬ | ২০১২ | |||||||||
তুর্কি | ৭,৬৯৫ | ১০.৯ | ২০০৮ | |||||||||
আর্মেনিয়া | ৩১০ | ১০.৪ | ২০১২ | |||||||||
সলোমন দ্বীপ | ৫২ | ১০.৩ | ২০০৮ | |||||||||
আলবেনিয়া | ৩২৬ | ১০.৩ | ২০১২ | |||||||||
ওমান | ২৫৫ | ৯.৮ | ২০০৮ | |||||||||
হংকং | ৬১৬ | ৮.৬ | ২০১২ | |||||||||
আন্ডোরা | ৬ | ৭.৭ | ২০১২ | |||||||||
কেনিয়া | ৩,২৬২ | ৭.৬ | ২০১২ | |||||||||
সিঙ্গাপুর | ২৯০ | ৫.৫ | ২০১২ | |||||||||
গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া | ২,৫৮৬ | ৫.৩ | ২০১২ | |||||||||
ইন্দোনেশিয়া | ১২,৩৫৫ | ৫.০ | ২০১২ | |||||||||
গণপ্রজাতন্ত্রী মলডোভা | ১৬৭ | ৪.৮ | ২০১২ | |||||||||
সিরিয়ান আরব | ৮৭০ | ৪.৩ | ২০০৮ | |||||||||
তাজিকিস্তান | ২৮৮ | ৩.৭ | ২০১১ | |||||||||
লেবানন | ১৪৬ | ৩.৬ | ২০০৬ | |||||||||
মিশর | ২,৬৭৩ | ৩.৪ | ২০১১ | |||||||||
সিরিয়া লিওন | ১৮৪ | ৩.৩ | ২০০৮ | |||||||||
আইভিরি | ৫৯১ | ৩.২ | ২০০৮ | |||||||||
তুর্কমেনিস্তান | ১৪১ | ২.৯ | ২০০৬ | |||||||||
কাতার | ২১ | ২.৯ | ২০০৮ | |||||||||
জাপান | ৩,৬৫৮ | ২.৯ | ২০১২ | |||||||||
আজারবাইজান | ২৫২ | ২.৭ | ২০১২ | |||||||||
ইয়েমেন | ৪৪২ | ২.০ | ২০০৯ | |||||||||
ভারত | ২৩,৩৯৩ | ১.৯ | ২০১০ | |||||||||
নাইজেরিয়া | ২,৯৮৮ | ১.৮ | ২০১২ | |||||||||
গুইনিয়া | ১৫১ | ১.৫ | ২০০৭ | |||||||||
মনটেনেগ্রো | ৭ | ১.১ | ২০১২ | |||||||||
থাইল্যান্ড | ৫০০ | ০.৮ | ২০১০ | |||||||||
বাংলাদেশ | ৮৫৬ | ০.৬ | ২০০৬ | |||||||||
নেপাল | ১৪৮ | ০.৬ | ২০০৬ | |||||||||
সাও | ১ | ০.৫ | ২০১১ | |||||||||
ব্রুনাই দারুসসালাম | ২ | ০.৫ | ২০০৬ | |||||||||
ডুবাই | ৪৫ | ০.৫ | ২০১২ | |||||||||
রুয়ান্ডা | ২৭ | ০.২ | ২০১২ |
দেশভিত্তিতে ডাকাতির ফলে খুন[35] | ||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
দেশ | শতকরা ডাকাতির অনুপাত | ডাকাতির ফলে গণহত্যার অনুপাত (১০০,০০০ জন অধিবাসীর মধ্যে ) | ডাকাতির ফলে গণহত্যা | বাৎসরিক তথ্য | ||||||||
বাহামাস | ১১.0% | ৩.৮২ | ১৪ | ২০১১ | ||||||||
ডোমিনিকান গণপ্রজাতন্ত্রী | ২৭.৬% | ৬.১0 | ৬২৬ | ২০১২ | ||||||||
গ্রেনাডা | ৭.১% | 0.৯৪ | 1 | ২০১২ | ||||||||
জ্যামাইকা | ৩৬.৫% | ১৫.00 | ৪১৪ | ২০১১ | ||||||||
টোবাগো এবং টিনিডা | ১৪.৮% | ৩.৯১ | ৫২ | ২০১১ | ||||||||
কোস্টারিকা | ১৬.২% | ১.৩৮ | ৬৬ | ২০১২০ | ||||||||
এল সালাভেডর | 0.৯% | 0.৩৭ | ২৩ | ২০১২ | ||||||||
পানামা | ৮.৯% | ১.৫৩ | ৫৮ | ২০১২ | ||||||||
কানাডা | ৭.৯২% | 0.১২ | ৪২ | ২০১১ | ||||||||
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৫.0% | 0.২৪ | ৭৩৩ | ২০১১ | ||||||||
কলম্বিয়া | ৩.৬% | ১.২১ | ৫৬৯ | ২০১১ | ||||||||
গুয়েনা | ১৬.৯% | ২.৭৭ | ২২ | ২০১১ | ||||||||
উরুগুয়ে | ১৫.৬% | 0.৯২ | ৩১ | ২০১১ | ||||||||
জাপান | ৮.৪% | 0.0৩ | ৩৭ | ২০১১ | ||||||||
মঙ্গোলিয়া | 0.0% | 0.00 | 0 | ২০১১ | ||||||||
গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া | ৮.0% | 0.0৭ | ৩৪ | ২০১১ | ||||||||
সিঙ্গাপুর | ৬.৩% | 0.0২ | ১ | ২০১১ | ||||||||
আর্মেনিয়া | ৫.৬% | 0.১০ | ৩ | ২০১২ | ||||||||
আজারবাইজান | ২.১% | 0.0৪ | ৪ | ২০১০ | ||||||||
সাইপ্রাস | ২২.২% | 0.১৮ | ২ | ২০১১ | ||||||||
জর্জিয়া | 0.৫% | 0.0২ | ১ | ২০১০ | ||||||||
বুলগেরিয়া | ৫.0% | 0.১0 | ৭ | ২০১২ | ||||||||
ক্রেজ গণপ্রজাতন্ত্রী | ৪.৭% | 0.0৪ | ৪ | ২০১১ | ||||||||
ফিনল্যান্ড | ১.৮% | 0.0৪ | ২ | ২০১১ | ||||||||
আইল্যাণ্ড | 0.0% | 0.00 | 0 | ২০১২ | ||||||||
আলবেনিয়া | ২.১% | 0.0৯ | ৩ | ২0১১ | ||||||||
বসনিয়া | 0.0% | 0.00 | 0 | ২০১১ | ||||||||
ক্রোয়েশিয়া | 0.0% | 0.00 | 0 | ২০১২ | ||||||||
ইটালি | ৫.১% | 0.0৫ | ২৮ | ২০১১ | ||||||||
মনটেনেগ্রো | ৪.৮% | 0.১৬ | ১ | ২০১১ | ||||||||
স্পেইন | ৩.0% | ০.০২ | ১১ | ২০১২ | ||||||||
ম্যাকডোনিয়া | ৩.৩% | 0.0৫ | ১ | ২০১১ | ||||||||
অস্ট্রিয়া | ৪.২% | 0.0৩ | ৩ | ২০১১ | ||||||||
জার্মানি | ৯.৪% | 0.0৮ | ৬২ | ২০১১ | ||||||||
লুক্সেমবার্গ | ২৫.0% | ০.২০ | ১ | ২০১১ | ||||||||
সুইজারল্যান্ড | ২.২% | ০.০১ | ১ | ২০১১ | ||||||||
অস্ট্রেলিয়া | ৩.০% | ০.০৪ | ৮ | ২০০৯ | ||||||||
মিডিয়ার কল্যাণে ডাকাতিও কখনো জনপ্রিয় সংস্কৃতি এবং ডাকাতরাও বনি-ক্লাইড এবং জন ডিলিঞ্জার এর মত পপ আইকন এ পরিণত হতে পারে। নিচে উদাহরণ দেওয়া হল:
পেডে হেইস্ট এবং পেডে উভয় ভিডিও গেমস এর মুল কাহিনী হল, মুল্যবান দ্রব্যাদি চুরি করতে হবে। সেটা ব্যাংক থেকে হোক, গ্যালারী থেকে হোক, সাজোয়াযুক্ত যুদ্ধবাজ গাড়ি থেকে হোক বা অন্য কোনো জায়গা থেকে হোক।[40]
দ্য সরপ্রানোস নামক একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজে বারবার ডাকাতির চিত্র উঠে এসছে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.