ট্যাবলেট কম্পিউটার
From Wikipedia, the free encyclopedia
একটি ট্যাবলেট কম্পিউটার (সাধারণভাবে ট্যাবলেট নামে পরিচিত), হল এক ধরনের মোবাইল কম্পিউটার। প্রচলিত কম্পিউটার মাউসের পরিবর্তে এই যন্ত্রে থাকে স্পর্শকাতর পর্দা, যা হাতের আঙুলের স্পর্শ বা অন্যান্য অঙ্গভঙ্গী বুঝতে সক্ষম। টাইপিং এর জন্য এই যন্ত্রে ব্যবহৃত হয় পর্দায় প্রদর্শিত ভার্চুয়াল কিবোর্ড। ট্যাবলেট কম্পিউটার স্মার্টফোন এবং পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্টের চেয়ে আকারে কিছুটা বড় হয়। এটি আড়াআড়িভাবে ৭ ইঞ্চি বা তার চেয়েও আকারে বড় হয়।[1][2][3]
যদিও এটি সাধারণভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবুও এটিকে ভৌত কিবোর্ড বা অন্যান্য যন্ত্রের সাথে যুক্ত করা যায়। অপসৃতপূর্ণ কিবোর্ড যুক্ত কিছু হাইব্রিড কম্পিউটার ১৯৯০ এর মাঝামাঝি সময় থেকে বিক্রয় শুরু হয়। পরিবর্তনীয় স্পর্শকাতর পর্দা যুক্ত নোটবুক কম্পিউটারে একীভূতকৃত কিবোর্ড থাকে যা সুইভেল বা স্লাইড সংযোগের মাধ্যমে লুকানো যায়। বুকলেট ট্যাবলেটে দ্বৈত স্পর্শ পর্দা থাকে এবং এটিকে নোটবুক হিসেবেও ব্যবহার করা যায় এবং এর একটি পর্দায় ভার্চুয়াল কিবোর্ড প্রদর্শিত হয়।
এর ধারণা করা হয় বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এবং শতাব্দীর শেষ দুই দশকে এর উন্নয়ন করা হয়। ২০১০ সালে এসে এই যন্ত্র জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
২০১২ সালের মার্চ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৩১ শতাংশই ট্যাবলেট ব্যবহার করেন। যা বিশেষ করে ভিডিও বা সংবাদ প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়।[4] ২০১২ সালে, ট্যাবলেটের মধ্যে সর্বোচ্চ বিক্রিত হয় অ্যাপলের আইপ্যাড। ২০১০ সালের ৩ এপ্রিল, বাজারে ছাড়ার পর থেকে ২০১২ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এটি প্রায় ১০০ মিলিয়ন বিক্রিত হয়।[5] এর পরেই রয়েছে অ্যামাজনের কিন্ডল ফায়ার (৭ মিলিয়ন) এবং বার্নেস এবং নোবেলসের নুক (৫ মিলিয়ন)।[6][7][8]