টেংরাগিরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য বা টেংরাগিরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বাংলাদেশের বরগুনা জেলায় অবস্থিত একটি বন্যপ্রাণের অভয়ারণ্য। এর স্থানীয় নাম ফাতরার বন ও অনেকের কাছে পাথরঘাটার বন কিংবা হড়িণঘাটার বন নামে পরিচিত। ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সুন্দরবনের পর এটিই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল।[1] ৪০৪৮.৫৮ হেক্টর জমি নিয়ে এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটি গঠিত।[2]

দ্রুত তথ্য টেংরাগিরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য, অবস্থান ...
টেংরাগিরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য
Thumb
মানচিত্র টেংরাগিরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের অবস্থান দেখাচ্ছে
বাংলাদেশে অবস্থান
অবস্থানবরগুনা, বরিশাল বিভাগ, বাংলাদেশ
নিকটবর্তী শহরতালতলী উপজেলা
স্থানাঙ্ক২১.৯৬৩৪৭৯° উত্তর ৮৯.৯৬৪২৬৮° পূর্ব / 21.963479; 89.964268
আয়তন৪০৪৮.৫৮ হেক্টর
স্থাপিত২০১০
কর্তৃপক্ষবাংলাদেশ বন বিভাগ
বন্ধ

উদ্ভিদ

Thumb
ফাতরার বন

ফাতরার বন প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট। এই বন বিভিন্ন গাছপালায় সমৃদ্ধ। কেওড়া, গরাণ, গেওয়া, ওড়া প্রভৃতি শ্বাসমূলীয় গাছ হচ্ছে এই বনের প্রধান গাছ।[3]

প্রাণী

ফাতরার বনে দেখা মেলে চিত্রা হরিণ, বানর, কুমির, বন বিড়াল, বন্য শুকর ইত্যাদি বন্যপ্রাণী। লাল বনমোরগ সহ হরেক প্রজাতির পাখিরও দেখা মেলে ফাতরার বনে। আরও আছে গুঁইসাপ আর বিভিন্ন প্রকার সাপ। সুন্দরবনের খুব কাছে হলেও এ বনে এখন পর্যন্ত বাঘের দেখা মেলেনি। তবে বর্তমানে হরিণ, বানর, অজগর সাপ ইত্যাদি প্রাণী খুব কম দেখা যায়। আর লোকালয়ে সাধারনত কাঁকড়া, বড় গুইসাপ , ব্যাঙ, চিড়িং মাছ প্রভৃতি এবং গভীরে বনে শিয়াল, বন্য শূকর, বানর ইত্যাদির দেখা মেলে। আর এখানে অত্যন্ত কম পরিমাণে মেছো বাঘ আছে। মানুষের অধিক প্রবেশ ও বন ধ্বংসের কারণে এই জীববৈচিত্র হুমকির মুখে। [3]

শকুনের নিরাপদ এলাকা

শকুনের নিরাপদ এলাকা-২ তফসিল অনুসারে টেংরাগিরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য শকুনের জন্য নিরাপদ বলে ঘোষিত।[4]

তথ্যসূত্র

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.