ঝলনাথ খনাল বা ঝলনাথ খান্নাল (নেপালি: झलनाथ खनाल Listen) একজন নেপালি রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৫০ সালের ২০মে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নেপালের ৩৫ তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে[১] থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (ইউনিফাইড মার্কসবাদী – লেনিনবাদী) (সিপিএন (ইউএমএল)) এর চেয়ারম্যান এবং সিপিএন (ইউএমএল) এর গণপরিষদ সংসদীয় দলের নেতা ছিলেন। [২]

দ্রুত তথ্য ঝলনাথ খনালझलनाथ खनाल, নেপালের ৩৫তম প্রধানমন্ত্রী ...
ঝলনাথ খনাল
झलनाथ खनाल
Thumb
নেপালের ৩৫তম প্রধানমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১  ২৯ আগস্ট ২০১১
রাষ্ট্রপতিরাম বরণ যাদব
পূর্বসূরীমাধব কুমার নেপাল
উত্তরসূরীবাবুরাম ভট্টরাঈ
নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) চেয়ারম্যান
কাজের মেয়াদ
২০০৮  ২০১৪
পূর্বসূরীমাধব কুমার নেপাল
উত্তরসূরীখড়্গ প্রসাদ অলি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1950-05-20) ২০ মে ১৯৫০ (বয়স ৭৪)
শাখেজুং, নেপাল
রাজনৈতিক দল
  • নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) (১৯৯২ সালেএ পূর্বে)
  • সিপিএন (ইউএমএল)
বন্ধ

জীবনী

তিনি ইলম জেলার সাখেজুঙে জন্মগ্রহণ করেন।[২] খান্নাল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) সদস্য ছিলেন এবং ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি দল ছেড়ে সিপিএন (ইউএমএল) এর সদস্য হন। খান্নাল ১৯৯৭ সালে জোট সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩]

২০০৮ সালের গণপরিষদ নির্বাচনে খান্নাল ইলম -১ আসনের আসনে জয় লাভ করেন। তিনি ২০০৮ সাল থেকে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সিপিএন (ইউএমএল) এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই সময় দলটি তার নেতৃত্বে দলের প্রচুর অগ্রগতি সাধন করে।[২] তিনি ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে সিপিএন (ইউএমএল) এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। [২]

প্রধানমন্ত্রীত্ব লাভ

Thumb
নেপালের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরে ঝালনাথ খান্নাল

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১, সাত মাসের রাজনৈতিক সংকটের পরে যখন কোন প্রার্থীই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভোট জোগাড় করতে পারছিল না তখন গণপরিষদের সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে ঝলনাথ খনালকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেন।[১] সংসদে খান্নাল তাঁর পক্ষে ৩৬৮টি ভোট পেয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নেপালি কংগ্রেসের রাম চন্দ্র পাউদেল এবং মধেসি পিপলস রাইটস ফোরামের (গণতান্ত্রিক) বিজয় কুমার গাছেদার যথাক্রমে ১২২ ভোট এবং ৬৭টি ভোট পেয়েছিলেন। ২০১০ সালের জুনে মাধব কুমার নেপাল পদত্যাগ করার পর থেকে নেপালের কোনও উপযুক্ত সরকার ছিল না। জুলাইয়ের পর থেকে সংসদে ষোল দফা ভোট অনুষ্ঠিত হয় তবে কোন নির্বাচনেই কে নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয় নি। কারণ কোনো রাজনৈতিক দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে নি।[১]

Thumb
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সালে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ঝালনাথ খান্নাল

তবে, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী-কেন্দ্র) (নেপালের বৃহত্তম দল) তার মনোনীত প্রার্থী পুষ্পকমল দহালকে রাজনৈতিক কারণে প্রত্যাহার করে এবং খান্নালকে সমর্থন করেছিল। ফলস্বরূপ ঝালনাথ খান্নাল ২০০৮ সালে গঠিত নেপাল প্রজাতন্ত্রের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে খান্নালের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে পড়ে ২৮শে মে এর নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে একটি নতুন প্রজাতন্ত্রের সংবিধান প্রণয়ন এবং প্রায় ২০,০০০ মাওবাদী যোদ্ধাদের ভবিষ্যৎ পরিণতি নিয়ে আলোচনা করা।[১]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.