জামায়াতে ইসলামী (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া)
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সালাফি জিহাদি সংগঠন / From Wikipedia, the free encyclopedia
জামায়াতে ইসলামী (আরবি: الجماعة الإسلامية, আল-জামা'আহ আল-ইসলামিয়াহ, যার অর্থ "ইসলামিক মণ্ডলী", সংক্ষেপে জেআই) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটি ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিত ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী।[6][7] ২৫ অক্টোবর ২০০২ সালে জেআই দ্বারা সংঘটিত ২০০২ বালি বোমা হামলার পরপরই জেআইকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ১২৬৭ এ সংযুক্ত করে সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত করে।
এই নিবন্ধটিকে উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে এর বিষয়বস্তু পুনর্বিন্যস্ত করা প্রয়োজন। (জুন ২০২৩) |
জামায়াতে ইসলামী (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) | |
---|---|
নেতা | আবু বাকার বাসির |
অপারেশনের তারিখ | ১৯৯৩–বর্তমান |
সক্রিয়তার অঞ্চল | দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া |
মতাদর্শ | ইসলামবাদ ইসলামি মৌলবাদ সর্ব-ইসলামবাদ সালাফিবাদ ওয়াহাবিবাদ অস্ট্রেলিয়া বিরোধী মনোভাব[3] খ্রিষ্টান বিরোধী মনোভাব |
উল্লেখযোগ্য আক্রমণ | ২০০২ বালি বোমা হামলা ২০০৩ হোটেল ম্যারিয়েট বোমা হামলা ২০০৪ জাকার্তা দূতাবাসে বোমা হামলা ২০০৫ বালি বোমা হামলা ২০০৫ ইন্দোনেশীয় খ্রিষ্টান মেয়ের শিরচ্ছেদ ২০০৯ জাকার্তা বোমা হামলা বড়দিনের প্রাক্কালে ইন্দোনেশিয়ায় বোমা হামলা, ২০০০ জাকার্তা স্টক এক্সচেঞ্জে বোমা হামলা জাকার্তায় ফিলিপাইন দূতাবাসে বোমা হামলা |
আকার | ৬,০০০[4] (২০২১) |
মিত্র | আল-কায়েদা |
বিপক্ষ | জাতিসংঘ
অ-রাষ্ট্রীয় শত্রু
|
যার দ্বারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে মনোনীত | জাতিসংঘ ইউরোপীয় ইউনিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর্জেন্টিনা অস্ট্রেলিয়া বাহরাইন কানাডা ইন্দোনেশিয়া জাপান[5] মালয়েশিয়া নিউজিল্যান্ড |
জেআই ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইনে সেল সহ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা।[8] আল-কায়েদা ছাড়াও এই গোষ্ঠীটির মোরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট[8] এবং আনশারুত তৌহিদের সাথেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে মনে করা হয়, ২৭ জুলাই ২০০৮ সালে আবু বকর বাসি এই সংগঠন তৈরি করেন। এই গোষ্ঠীটিকে জাতিসংঘ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে মনোনীত করেছে।[9] এটি ইন্দোনেশিয়ায় খুব সক্রিয় ছিল যেখানে এটি জানুয়ারি ২০১৩ পর্যন্ত প্রকাশ্যে একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করত।[10][11]
২০২১ সালের অক্টোবরে ডিটাচমেন্ট ৮৮ এর শনাক্তকরণ ও সামাজিকীকরণের পরিচালক মুহাম্মদ সোদিক বলেছিল যে ইন্দোনেশিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ৮৭৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সাজা দেওয়া হয়েছে।[12]
১৬ নভেম্বর ২০২১ সালে ইন্দোনেশীয় পুলিশ একটি অভিযান শুরু করে, এরপর পুলিশ জানায় যে এই দলটি একটি রাজনৈতিক দল যা ইন্দোনেশীয় পিপলস দাওয়াহ পার্টির ছদ্মবেশে কাজ করছিল। এই উদ্ঘাটনটি অনেক লোককে হতবাক করেছিল, কারণ এটি ইন্দোনেশিয়ায় প্রথমবার ছিল যে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন একটি রাজনৈতিক দলের ছদ্মবেশে ছিল এবং ইন্দোনেশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছিল।[13]