![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/9/97/Greta_Thunberg_01.jpg/640px-Greta_Thunberg_01.jpg&w=640&q=50)
জলবায়ু পরিবর্তনের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব
From Wikipedia, the free encyclopedia
জলবায়ু পরিবর্তন পৃথিবীর বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকগুলো মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব সৃষ্টি করে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সংবেদনশীল অবস্থা, যেমন: পরিবেশ উদ্বেগ, পরিবেশ মনস্তাপ, পরিবেশ ক্রোধ। অপ্রীতিকর হলেও এ জাতীয় আবেগ প্রায়শই ক্ষতিকারক হয় না। বরং এটা প্রাকৃতিক বিশ্বের অবক্ষয়ের প্রেক্ষিতে এক ধরনের যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টী করে, যা প্রয়োজনীয় কাজের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা দেবে। অন্যান্য প্রভাব, যেমন দূর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ (পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস বা পিটিএস) অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। একবিংশ শতাব্দীতে, শিক্ষাবিদ, চিকিৎসাবিদ এবং বিভিন্ন পেশাজীবিরা এই প্রভাবগুলো বুঝতে চাইছেন যেন তারা তাদের জীবনে এগুলো প্রশমিত করতে পারেন, আরো বেশি সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী তৈরী করতে পারেন, এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রশমিত করণ ও অভিযোজন প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/9/97/Greta_Thunberg_01.jpg/640px-Greta_Thunberg_01.jpg)
এমন তিনটি বিস্তৃত চ্যানেল রয়েছে যা মানুষের মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে। সরাসরিভাবে, PTS এর মত প্রভাব ঘটে চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাগুলির কারণে। এগুলো আর্থিক এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য বাধাস্বরূপ, উদাহরণস্বরূপ যখন ক্ষেতের একটি অংশ কম খাদ্য উৎপাদন করে, তখন এমনটা ঘটতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে অল্প সচেতনতা হুমকিস্বরূপ এমনকি তাদের জন্যও, যারা এর দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত নয়। অনেকগুলো ব্যাতিক্রম রয়েছে, কিন্তু সাধারণত এরা সার্বজনীন দক্ষিণাঞ্চল জনগোষ্ঠী যারা জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব এবং সৃষ্ট আর্থিক অবক্ষয়ের সংস্পর্শে রয়েছে তারাই বেশি প্রভাবিত এসব এর কারণে। সম্প্রতি প্রাপ্ত তথ্যমতে পরিবেশ উদ্বেগের মত জলবায়ু সম্পর্কিত মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা, যা কি না কেবল এই হুমকির সচেতনতার ফলাফল থেকেও হতে পারে, পুরো পৃথিবীর মানুষকে প্রভাবিত করছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের মানসিক প্রভাবগুলো জলবায়ু মনোবিজ্ঞান নামক ক্ষেত্রে গবেষণা করা হয়। মনোবিজ্ঞানীর মত মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা সনদপ্রাপ্ত চিকিৎসক, এবং তারা মারাত্মক বিপরীত প্রভাবগুলোর চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। যে সকল মানুষ কম গুরুতর মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য বিভিন্ন নন-ক্লিনিক্যাল সেবা, দলগত কাজ, ইন্টারনেটভিত্তিক সহায়তা ফোরাম, এবং নিজস্ব সহায়তা মূলক বই পড়াকে সহজলভ্য করা হয়েছে। কিছু মানসিক প্রভাবের কোনো রকম সেবার দরকার হয় না, এবং ইতিবাচকও হতে পারে। জলবায়ুর কারণে সৃষ্ট মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব, সরকার এবং যারা বিভিন্ন প্রচার গোষ্ঠী, এন জি ও, এবং বেসরকারি সংস্থার মাধ্যৃমে জনগণের নীতি তৈরীতে যুক্ত তাদের মনোযোগ অর্জন করেছে।