![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/6/69/The_President%252C_Shri_Pranab_Mukherjee_presenting_the_National_Tourism_Awards_2011-12%252C_at_a_function%252C_in_New_Delhi_on_March_18%252C_2013._The_Minister_of_State_%2528Independent_Charge%2529_for_Tourism%252C_Shri_K._Chiranjeevi_is_also_seen_%25281%2529_%2528cropped%2529.jpg/640px-thumbnail.jpg&w=640&q=50)
চিরঞ্জীবী
ভারতীয় অভিনেতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
চিরঞ্জীবী (তেলুগু: చిరంజీవి, জন্ম: কনিডেলা শিবশংকর বড়প্রসাদ; ২২ আগস্ট ১৯৫৫) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী, প্রযোজক, গায়ক, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারী। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সফল এবং প্রভাবশালী অভিনেতা হিসেবে বিবেচিত হন।[4][5] চার দশকেরও বেশি কর্মময় জীবনে তিনি ১৫০টিরও বেশি তেলুগু চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কিছু হিন্দি, তামিল, ও কন্নড় ভাষায় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চিরঞ্জীবী অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার, রঘুপতি ভেঙ্কাইয়া পুরস্কার, তিনটি নন্দী পুরস্কার, এবংআজীবন সম্মাননাসহ নয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেছেন। ২০০৬ সালে, তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণে ভূষিত হন।[6] তাকে ২০১৩ সালে সিএনএন-আইবিএন "যারা ভারতীয় সিনেমার চেহারা পাল্টে দিয়েছেন" অন্যতম হিসাবে মনোনিত করেছেন।[7][8] তিনি ভারত সরকারের কেবিনেটের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন মন্ত্রী ছিলেন।[9]
![]() |
জীবনী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
চিরঞ্জীবী | |
---|---|
![]() ২০১৩ সালে | |
মেম্বার অব পার্লামেন্ট - রাজ্যসভা | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৩ এপ্রিল ২০১২ সাল | |
টুরিজম মন্ত্রণালয় (Independent Charge) | |
কাজের মেয়াদ ২৮ অক্টোবর, ২০১২ সাল – ১৫ মে, ২০১৪ সাল | |
পূর্বসূরী | Subodh Kant Sahay |
উত্তরসূরী | Shripad Yasso Naik |
সদস্য অন্দ্রপ্রদেশ আইন প্রণয়ন পরিষদ জন্য তিরুপতি | |
কাজের মেয়াদ ২০০৯ সাল – ২০১২ সাল | |
পূর্বসূরী | এম. ভেঙ্কটারামানা[1] |
উত্তরসূরী | এম. ভেঙ্কটারামানা[2] |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (1955-08-22) ২২ আগস্ট ১৯৫৫ (বয়স ৬৮)[3] নরসাপুরাম, পূর্ব গোদাভরি, অন্দ্র রাজ্য, ভারত (এখন অন্দ্র প্রদেশ, ভারত) |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (২০১১—বর্তমান) |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | প্রাজা রাজ্যম পার্টি (২০০৮—২০১১) |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুরেখা কোনিডেলা (বি. ১৯৮০) |
সন্তান | রাম চরণ সুস্মিতা শ্রীজা |
আত্মীয়স্বজন |
|
বাসস্থান | জুবিলী হিলস্, হায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানা, ভারত (স্থায়ী) নয়া দিল্লী, দিল্লী, ভারত (সরকারি) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী |
|
পেশা | চলচ্চিত্র অভিনেতা, রাজনীতিবিদ |
ধর্ম | সনাতন |
পুরস্কার | পদ্ম ভূষণ |
চিরঞ্জীব ১৯৭৮ সালে পুনাদিরাল্লু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন।[10] যদিও এর আগে বক্স অফিসে মুক্তি পায় তার প্রনাম খারেদু।[11] ১৯৮৭ সালে, তিনি স্বয়মক্রুষি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যা রুশ ভাষায় ভাষান্তরিত করা হয়েছিল এবং মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল।[12] চিরঞ্জীবী চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৮৮ সালের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সেরা অভিনেতার পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য রাজ্য নন্দী পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।[13][14][15] ১৯৮৮ সালে, তিনি রুদ্রবীণা চলচ্চিত্র সহ-প্রযোজনা করেন, যা জাতীয় সংহতির উপর শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল।[16][17]
চিরঞ্জীবীর ১৯৯২ সালের ঘরানা মোগুডু ছিল প্রথম তেলেগু চলচ্চিত্র, যা বক্স অফিসে ₹১০ কোটিরও বেশি আয় করেছিল।[18][19][20] চলচ্চিত্রটি ১৯৯৩ সালের ভারতীয় আন্তঃরাষ্ট্রীয় চলচ্চিত্র মহোৎসবের (আইএফএফআই) মূলধারার বিভাগে প্রদর্শিত হয়।[21] এটি চিরঞ্জীবীকে তৎকালীন সময়ে ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং তাকে ভারতের জাতীয় সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনোগুলো কভার পৃষ্ঠায় তুলে ধরেছিল।[19] তাকে বিনোদনমূলক ম্যাগাজিন ফিল্মফেয়ার এবং ইন্ডিয়া টুডে হিন্দি চলচ্চিত্রের অমিতাভ বচ্চনকে উল্লেখ করে "বচ্চনের চেয়ে বড়" বা "বিগার দ্যান বচ্চন" হিসাবে উল্লেখ করেছে।[22] সংবাদ ম্যাগাজিন দ্য উইক তাকে "নতুন টাকার মেশিন" বলে অভিহিত করে।[23] ১৯৯২ সালের আপাদবান্ধাভুরু চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ₹১.২৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন, যা তৎকালীন সময়ের যে কোনো ভারতীয় অভিনেতার জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক।[20] ২০০২ সালে, চিরঞ্জীবীকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক ১৯৯৯-২০০০ মূল্যায়ন বছরের জন্য সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী হিসেবে সাম্মান অ্যাওয়ার্ড বা সম্মান পুরস্কার প্রদান করা হয়।[24]
২০০৮ সালে, চিরঞ্জীবী প্রজা রাজ্যম পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০০৯ সালের অন্ধ্রপ্রদেশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দলটি ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে ১৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতেছিল[25] এবং পরবর্তীতে ২০১১ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে একীভূত হয়েছিল। চিরঞ্জীবী ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব নিয়ে পর্যটন মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন এবং ২০১৪ মে মাস পর্যন্ত সেই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালে, তিনি ৫৩তম ভারতীয় আন্তঃরাষ্ট্রীয় চলচ্চিত্র মহোৎসবে আইএফএফআই বর্ষসেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব পুরস্কারে ভূষিত হন।[26]