Remove ads
উত্তরাখণ্ডের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
চম্পাবত উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের একটি জেলা। চম্পাবত শহরটি প্রশাসনিক সদর দফতর। চম্পাবত জেলা গঠিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। জেলাটি পাঁচটি তহশিলে বিভক্ত, সেগুলি হল: বড়কোট, চম্পাবত, লোহাঘাট, পাটি ও পূর্ণগিরি।
চম্পাবত জেলা | |
---|---|
জেলা | |
ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৯.৩৩° উত্তর ৮০.১০° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরাখণ্ড |
বিভাগ | কুমায়ুন |
সদর দপ্তর | চম্পাবত |
আয়তন | |
• মোট | ১,৭৬৫.৭৮ বর্গকিমি (৬৮১.৭৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ২,৫৯,৬৪৮ |
• জনঘনত্ব | ১২৬/বর্গকিমি (৩৩০/বর্গমাইল) |
ভাষাসমূহ | |
• সরকারি | হিন্দি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | ইউকে |
ওয়েবসাইট | champawat |
চম্পাবত জেলা উত্তরাখণ্ডের পূর্ব কুমায়ুন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। এই জেলাটি উত্তরে পিথোরাগড় জেলা, পূর্বে নেপাল, দক্ষিণে উধম সিং নগর জেলা, পশ্চিমে নৈনিতাল জেলা এবং উত্তর পশ্চিমে আলমোড়া জেলা দিয়ে ঘেরা।
২০১১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ] এটি উত্তরাখণ্ডের ১৩টি জেলার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন জনবহুল অঞ্চল। এর আগে আছে একমাত্র রুদ্রপ্রয়াগ জেলা।[১]
উত্তরাখণ্ডের চম্পাবত একটি অত্যন্ত বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র এবং একসময় চন্দ শাসকদের রাজধানীও ছিল। চম্পাবত এইভাবে ইতিহাসে সমৃদ্ধ, এবং পাশাপাশি এখানে প্রচুর ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনীতে এইখানেই ভগবান বিষ্ণু ‘কুর্মাবতার’ (কচ্ছপরূপে আবির্ভূত) হিসাবে উপস্থিত হয়েছিলেন।
এই অঞ্চলে অবস্থিত অসংখ্য মন্দিরের কারণে চম্পাবত বহু তীর্থযাত্রীকে আকর্ষণ করে। মন্দিরগুলি সুন্দরভাবে নির্মিত এবং খোদাই করা। তাদের মধ্যে কিছু মন্দির চন্দ শাসকদের সময়ে তৈরী।
চম্পাবতের ক্রান্তেশ্বর মহাদেব এবং বালেশ্বর মন্দিরের জন্য উৎসর্গীকৃত নাগনাথ মন্দিরটি হল চম্পাবতের বিশেষ দর্শনীয় স্থান।[২]
২০০৬ সালে পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক চম্পাবতকে দেশের ২৫০টি সর্বাধিক পিছিয়ে পড়া জেলার (মোট ৬৪০টি জেলার) মধ্যে একটি জেলা ঘোষণা করেছে।[৩] উত্তরাখণ্ডের তিনটি জেলা বর্তমানে পশ্চাৎপদ অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচির অধীনে (বিআরজিএফ) অর্থ সাহায্য পায়। চম্পাবত জেলা তাদের মধ্যে একটি।[৩]
চম্পাবত জেলায় দুটি বিধানসভা কেন্দ্র আছে, ঐ দুটি হল লোহাঘাট এবং চম্পাবত।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে[হালনাগাদ], চম্পাবত জেলার জনসংখ্যা ২৫৯,৬৪৮ জন।[১] এই জনসংখ্যা ভানুয়াতু দেশের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৪] এই জনসংখ্যা অনুসারে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এটি ৫৭৯তম স্থানে রয়েছে।[১] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৪৭ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৩৮০ জন/বর্গমাইল)।[১] এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১ এর দশকে ১৫.৬৩% ছিল।[১] চম্পাবত জেলাতে এক হাজার পুরুষ প্রতি ৯৮০ জন মহিলা (যৌন অনুপাত) রয়েছে।[১] এখানে সাক্ষরতার হার ৭৯.৮৩%, যা ভারতের গড় সাক্ষরতার হারের থেকে বেশি।।[১]
জেলার প্রধান প্রথম ভাষা হল কুমায়ুনি ভাষা।[৫]
২০০১ভারতীয় আদমশুমারি হিসাবে[হালনাগাদ], চম্পাবত জেলার জনসংখ্যা হল ২২৪,৫৪২ জন, যার মধ্যে আছে ২১৬,৬৪৬ জন হিন্দু, শতকরা হিসেবে ৯৬.৫%। এখানে মুসলিম আছে ৬,৬৪২ জন, যা এখানকার জনসংখ্যার ৩.০%। এখানে ৬২৬ জন খ্রিস্টান আছে, যা শতকরা হিসেবে ০.৩%।[৬]লুয়া ত্রুটি: bad argument #1 to 'formatNum' (infinite)।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.