চন্দ্র বিভাজন
মুহাম্মদ দ্বারা চাঁদ দুটি ভাগ হয়ে যাওয়া একটি অলৌকিক ঘটনা / From Wikipedia, the free encyclopedia
চন্দ্র বিভাজন বা চন্দ্র বিদারণ বা চন্দ্র দ্বিখণ্ডন (আরবি: انشقاق القمر) হলো ইসলামের নবি মুহাম্মাদ কর্তৃক প্রদর্শিত মুসলিম আখ্যানের একটি অলৌকিক ঘটনা।[1] এ সম্পর্কে ইসলামি গ্রন্থ কুরআনের সূরা আল-ক্বামারের ৫৪:১–২ আয়াত উদ্ভূত হয়েছে এবং শানে নুযূলের (ওহির প্রেক্ষাপট) মতো মুসলিম আখ্যানের দ্বারা উল্লেখিত। কিছু মুসলিম ভাষ্যকার, বিশেষত মধ্যযুগে ঘটনাটিকে মুহাম্মাদ দ্বারা চাঁদের শারীরিক বিভাজন হিসেবেও ব্যাখ্যা করেছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে বিচারের দিনে ঘটবে এমন ঘটনা হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন।
আক্ষরিক ব্যাখ্যার সমর্থনকারী প্রাথমিক আখ্যানেরগুলি মুহাম্মদের অনুসারী আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আনাস ইবনে মালিক, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ এবং অন্যানদের মাধ্যমে জানা যায়।[2][3] ভারতীয় মুসলিম পণ্ডিত আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলীর মতে, বিচারের দিনে চাঁদ পুনরায় বিভক্ত হতে পারে। তিনি বলেছেন যে, আয়াতগুলির রূপক অর্থও থাকতে পারে, অর্থাৎ বিষয়টি চাঁদের ক্ষেত্রে স্পষ্ট হয়ে গেছে।[4] কুরআনের আয়াত ৫৪:১–২ স্বর্গীয় দেহের অলঙ্ঘনীয়তার বিষয়টি মধ্যযুগীয় মুসলিম ধর্মতত্ত্ববিদ ও মুসলিম দার্শনিকদের মধ্যে বিতর্কের অংশ ছিল। ২০১০ সালে নাসা চন্দ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের (এনএলএসআই) কর্মী বিজ্ঞানী ব্র্যাড বেইলি বলেছেন, "বর্তমান কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণের খবর নেই যে চাঁদ কখনো দুটি (বা ততোধিক) অংশে বিভক্ত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে যে কোনো সময়ে পুনরায় মিলিত হয়েছিল।"[5]
আখ্যানটি পরবর্তী কয়েকজন মুসলিম অন্যদের মুহাম্মদের নবুয়াত বোঝাতে ব্যবহার করেছিলেন।[6] এটি বিশেষত ভারতের কতিপয় মুসলিম কবিদের অনুপ্রাণিত করেছে।[7]