গৌতম শান্তিলাল আদানি (গুজরাটি: ગૌતમ શાંતિલાલ અદાણી; জন্ম: ২৪ জুন ১৯৬২) একজন ভারতীয় শিল্পপতি, যিনি আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ভারতের আহমেদাবাদ ভিত্তিক বন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনাকারী বহুজাতিক গোষ্ঠির সাথে সংযুক্ত রয়েছেন।[1] গৌতম আদানি তাঁর স্ত্রী প্রীতি আদানির নেতৃত্বাধীন আদানি ফাউন্ডেশনের সভাপতি।

দ্রুত তথ্য গৌতম আদানি, জন্ম ...
গৌতম আদানি
Thumb
জন্ম
গৌতম শান্তিলাল আদানি

(1962-06-24) ২৪ জুন ১৯৬২ (বয়স ৬২)
জাতীয়তাভারত
পেশাচেয়ারম্যান, আদানি গোষ্ঠী
সভাপতি, আদানি ফাউন্ডেশন
পরিচিতির কারণপ্রতিষ্ঠাতা, আদানি গোষ্ঠী
দাম্পত্য সঙ্গীপ্রীতি আদানি
সন্তানকরণ আদানি, জিৎ আদানি
ওয়েবসাইটOfficial website
বন্ধ

তিনি ১৯৮৮ সালে আদানি গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেন এবং ব্যবসাকে সম্পদ, সরবরাহ, শক্তি,[2] কৃষি, প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ ব্যবস্থার সাথে বৈচিত্র্যময় করেন।[3] ফোর্বস-এর মতে, ২০২২ সালের ১৯ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৫২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[4] তিনি এশিয়ার তথা ভারতের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি,[5] এই স্থানটি ২০১৯ সালে অর্জন করেছেন।[6] তিনি ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকায় ২০১২ সালে ভারতের তৃতীয় সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসাবে স্থান পেয়েছিলেন।[7] তিনি ২০১৮ সাল পর্যন্ত অদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড লিমিটেডের ৬৬%, আদানি উদ্যোগসমূহের ৭৫%, আদানি পাওয়ারে ৭৩% এবং আদানি ট্রান্সমিশন লিমিটেডের ৭৫% অংশীদার ছিলেন।[8]

প্রথম জীবন

গুজরাতের আহমেদাবাদের একটি জৈন পরিবারে শান্তিলাল ও শান্তি আদানির সন্তান গৌতম আদানি ১৯৬২ সালের ২৪ জুন জন্মগ্রহণ করেন।[9] তাঁর ৭ ভাইবোন রয়েছে এবং তাঁর বাবা-মা গুজরাতের উত্তরের অংশ থরাদ শহর থেকে আহমেদাবাদে এসেছিলেন।[10] তাঁর বাবা একজন বস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন।[11]

কর্মজীবন

কৈশোর বয়সে ১৯৭৮ সালে গৌতম আদানি মহেন্দ্র ব্রাদার্সের জন্য হীরা নির্বাচক হিসাবে কাজ করতে মুম্বাই শহরে পৌঁছান। তিনি মুম্বইয়ের জাভেরি বাজারে নিজস্ব হীরা দালালি সংস্থা প্রতিষ্ঠার আগে সেখানে ২-৩ বছর কাজ করেন।[12]

তাঁর বড় ভাই মনসুখ ভাই আদানি ১৯৮১ সালে আহমেদাবাদে একটি প্লাস্টিক ইউনিট ক্রয় করেন এবং তাঁকে পরিচালনার জন্য আমন্ত্রণ জানান। এই উদ্যোগটি পলিভিনাইল ক্লোরাইড (পিভিসি) আমদানির মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্যে আদানির প্রবেশদ্বার হয়ে দাঁড়ায়।[13]

ব্যক্তিগত জীবন

গৌতম আদানি প্রীতি আদানিকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুই ছেলে- করণ আদানি এবং জিৎ আদানি।[14][15] তিনি জৈন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার (জেআইটিও) সদস্য।[16] ১৯৯৮ সালে তাকে অপহরণ করা হয়[কার মতে?] এবং মুক্তিপণের জন্য জিম্মি করা হয় কিন্তু অর্থ সংগ্রহ না করেই তাকে মুক্তি দেয়া হয়।[17][18] ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার সময় তিনি তাজমহল প্যালেস হোটেলে ছিলেন।[19][20]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.