Loading AI tools
জৈন ধর্মের বিকাশ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গোয়ায় কদম্ব রাজবংশের শাসনকালে জৈনধর্মের বিকাশ ঘটেছিল।[1] গোয়ার কদম্ব শাসক শিবচিত্ত পেরমাদি দেবের সমসাময়িক কালে নির্মিত তীর্থঙ্কর সুপর্শ্বনাথের একটি ভগ্ন ভাস্কর্য নারোয়ার জৈনকোটের একটি পুরনো জৈন মন্দিরে আবিষ্কৃত হয়েছে।[2]
২০১৫ সালে মুনি প্রণামসাগর (দিগম্বর জৈন সন্ন্যাসী) গোয়ায় আসেন এবং ১৫০ জন নতুন শিষ্য সংগ্রহ করেন। বিগত এক হাজার বছরে তিনিই প্রথম জৈন সন্ন্যাসী যিনি এই রাজ্যে পদার্পণ করেন।[3][4] সেই বছর চতুর্মাস তিনি গোয়াতেই অতিবাহিত করেছিলেন।[5]
২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, গোয়ায় জৈনদের সংখ্যা ৮৬৪। এর মধ্যে ৪৫৬ জন পুরুষ ও ৪০৮ জন মহিলা।[6]
চুডনেম গ্রামের প্রাচীন জৈন মন্দিরটি ঋষভনাথের প্রতি উৎসর্গিত। খ্রিস্টীয় ১০ম শতাব্দীতে গুর্জর সম্প্রদায় এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিল।[7][8] খ্রিস্টীয় ১৫শ শতাব্দীতে এটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ১৯৮৬ সালে পুরাতত্ত্ব ও মহাফেজখানা অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত একটি খননকার্যের ফলে তীর্থঙ্করের ভগ্ন মূর্তিগুলি পাওয়া যায়।[2]
১১৫০ খ্রিষ্টাব্দে গুর্জর সম্প্রদায় নারভের জৈন মন্দিরটিও নির্মাণ করেছিল।[8] নারভের হিন্ডোলওয়াড়ায় ২৩শ তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের ভাস্কর্য আবিষ্কৃত হয়েছে।[2]
আরেকটি জৈন মন্দির আবিষ্কৃত হয়েছে গোয়ার বান্ডোরায়। এটি ২২শ তীর্থঙ্কর নেমিনাথের মন্দির। রাজা শ্রীপাল এটি নির্মাণ করিয়েছিলেন।[9][10][2]
মান্ডোবি নন্দির দক্ষিণ তীরে কোতাম্বি গ্রামের চন্দ্রেশ্বর মন্দিরেও তীর্থঙ্করদের মূর্তি পাওয়া গিয়েছে।
ফাদার হেনরি হেরাস একটি খননকার্য পরিচালনার সময় চান্ডোরের সালচেটে প্রথম জৈন ভাস্কর্যটি (আদি দক্ষিণ শিলাহরের সমসাময়িক যুগের) আবিষ্কার করেন।[2]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.