গোবেকলি তেপে
তুরস্কের দক্ষিণপূর্ব আনাতোলিয়া অঞ্চলে শানলিউরফা শহর থেকে প্রায় ১২ কিমি (৭ মা) উত্তরপূর্বে অবস / From Wikipedia, the free encyclopedia
গোবেকলি তেপে (তুর্কি: [ɟœbecˈli teˈpe],[1] তুর্কি ভাষায় "লম্বোদর পাহাড়" শব্দের প্রতিশব্দ)[2] হল তুরস্কের দক্ষিণপূর্ব আনাতোলিয়া অঞ্চলে শানলিউরফা শহর থেকে প্রায় ১২ কিমি (৭ মা) উত্তরপূর্বে অবস্থিত একটি প্রত্নক্ষেত্র। টেলটির উচ্চতা ১৫ মি (৪৯ ফু) এবং ব্যাস প্রায় ৩০০ মি (৯৮০ ফু)।[3] এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭৬০ মি (২,৪৯০ ফু) উচ্চতায় অবস্থিত।
অবস্থান | ওরেনসিক, শানলিউরফা প্রদেশ, তুরস্ক |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৩৭°১৩′২৩″ উত্তর ৩৮°৫৫′২১″ পূর্ব |
ধরন | পবিত্র স্থান (সনাতন টেম্পল) |
ইতিহাস | |
প্রতিষ্ঠিত | খ্রিস্টপূর্ব দশম সহস্রাব্দ |
পরিত্যক্ত | খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম সহস্রাব্দ |
সময়কাল | প্রাক্-মৃৎশিল্প নব্যপ্রস্তর যুগ ক থেকে খ |
স্থান নোটসমূহ | |
অবস্থা | সুসংরক্ষিত |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | গোবেকলি তেপে |
ধরন | সাংস্কৃতিক |
মানক | (i), (ii), (iv) |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | ২০১৮ (৪২তম অধিবেশন) |
রেফারেন্স নং | ১৫৭২ |
স্টেট পার্টি | তুরস্ক |
অঞ্চল | পশ্চিম এশিয়া |
টেল অংশটির মধ্যে ব্যবহারের দু’টি পর্যায় দেখা যায়। প্রত্নক্ষেত্রটির আবিষ্কর্তা ও খননকারী ক্লস স্কিমিট মনে করেন, এই পর্যায় দু’টি খ্রিস্টপূর্ব দশম থেকে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের সামাজিক বা অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত পর্যায়।[4] প্রথম পর্যায়টি প্রাক-মৃৎশিল্প নব্যপ্রস্তরযুগ ক (প্রামৃনক) পর্যায়কালের অন্তর্গত। এই সময়ে ইংরেজি টি-আকৃতিবিশিষ্ট (T) প্রকাণ্ড প্রস্তরস্তম্ভের বৃত্ত নির্মিত হয়েছিল, যেগুলি বিশ্বের প্রাচীনতম জ্ঞাত মেগালিথ।[5]
ভূপদার্থবৈজ্ঞানিক সমীক্ষার মাধ্যমে বর্তমানে প্রায় ২০টি বৃত্তে ২০০টিরও বেশি স্তম্ভ আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রতিটি স্তম্ভের উচ্চতা ৬ মি (২০ ফু) পর্যন্ত এবং ওজন ১০ টন পর্যন্ত। এগুলি বেডরকের মধ্যে কেটে বানানো কৃত্রিম গর্তের মধ্যে বসানো হয়েছিল।[6] দ্বিতীয় পর্যায়টি প্রাক-মৃৎশিল্প নব্যপ্রস্তরযুগীয় খ (প্রামৃনখ) পর্যায়কালের অন্তর্গত। এই সময় যে স্তম্ভগুলি নির্মিত হয়েছিল সেগুলি তুলনামূলকভাবে ছোটো এবং পালিশ-করা চুনের মেঝে-যুক্ত আয়তাকার ঘরের মধ্যে স্থাপিত হয়েছিল। সেই যুগপর্যায়ের পর এই প্রত্নক্ষেত্রটি পরিত্যক্ত হয়। এখানকার নবীন স্থাপনাগুলি ধ্রুপদি যুগে নির্মিত।
এই স্থাপনাগুলি কী কাজে লাগত, তার বিবরণ রহস্যাবৃত। ১৯৯৬ সাল থেকে জার্মান আর্কিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক এখানে খননকার্য চলছে। কিন্তু এখানকার একটি বড়ো অংশে এখনও খননকার্য চালানো হয়নি। ২০১৮ সালে এই প্রত্নক্ষেত্রটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।[7]