Loading AI tools
উত্তর প্রদেশের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গোণ্ডা জেলা হল ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। এই জেলাটি দেবীপাটন বিভাগের অন্তর্গত এবং জেলার সদর দপ্তর হল গোণ্ডা।
গোণ্ডা জেলা | |
---|---|
উত্তরপ্রদেশের জেলা | |
উত্তরপ্রদেশে গোণ্ডার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
প্রশাসনিক বিভাগ | দেবীপাটন বিভাগ |
সদরদপ্তর | গোণ্ডা |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | গোণ্ডা |
আয়তন | |
• মোট | ৪,০০৩ বর্গকিমি (১,৫৪৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩৪,৩৩,৯১৯ |
• জনঘনত্ব | ৮৬০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৫৮.৭১%. |
প্রধান মহাসড়ক | এন.এইচ ২৭ |
ওয়েবসাইট | [gonda |
বর্তমানে গোণ্ডা জেলা প্রাচীনকালে কোশল রাজ্যের অংশ ছিল। কোশল রাজ্যের শাসনকারী সৌর রাজবংশের বিখ্যাত শাসক ভগবান রাম চন্দ্র। তিনি চলে যাওয়ার পর রাজ্যটি ঘাঘরা নদী বরাবর দুটি অংশে বিভক্ত হয়েছিল। উত্তরের অংশটি তখন তার পুত্র লভ দ্বারা শাসিত হয় যার রাজধানী ছিল শ্রাবস্তী শহর।[1]
অতি সম্প্রতি, শ্রাবস্তী শহরের সমগ্র অঞ্চলে বৌদ্ধধর্মের নিদর্শন পাওয়া গেছে।[2]
পরবর্তীকালে গোণ্ডা জেলা গোরখপুরের নিজামতের অংশ ছিল কিন্তু ১৮০১ সালে গোরখপুর ব্রিটিশদের কাছে হস্তান্তর হওয়ার পর গোণ্ডা জেলা বাহরাইচ জেলার সাথে একত্রিত হয়।[3] ১৮৫৬ সালে ব্রিটিশরা যখন অওধকে সংযুক্ত করে তখন এটি একটি পৃথক জেলা হিসাবে তৈরি হয়েছিল।[3] ১৮৭৫ সালে গোণ্ডা জেলার কিছু অংশ বাঘাউরা তাল এবং আরাহ নদীর মধ্যবর্তী অংশ ব্রিটিশ সরকার নেপালের কাছে হস্তান্তর করেন।[3]
গোণ্ডা জেলা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই অঞ্চলের অনেক মানুষ সক্রিয়ভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়িত ছিল রাজা দেবী বক্স সিং যিনি নেপালে পালিয়ে গিয়েছিলেন।[4] চন্দ্র শেখর আজাদের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীরা এই জেলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং রাজেন্দ্র লাহিড়ী গোণ্ডার জেলে বন্দী ছিলেন এবং পরে তাঁকে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলানো হয়েছিল।[5]
সাম্প্রতিক সময়ে গোণ্ডা জেলা চর্চিত ছিল, ১৯৮২ সালে গোণ্ডা এনকাউন্টার নামে পরিচিত ১৩ জনের হত্যাকে ঘিরে দীর্ঘ আদালতের মামলার কারণে জেলাটি সারা ভারতে মিডিয়ার মনোযোগ পেয়েছে।[6][7]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে গোণ্ডা জেলার জনসংখ্যা ৩,৪৩৩,৯১৯ জন।[8] জনসংখ্যায় এটি ভারতে ৯৫ তম জেলায় স্থান পেয়েছে (মোট ৬৪০টি জেলার মধ্যে)। এই জেলার মোট সাক্ষর সংখ্যা ১,৬৭৯,৯৯ জন যা মোট জনসংখ্যার ৪৮.৯%।[8] ০ থেকে ৬ বছর বয়সের জনসংখ্যা ৫৭২,৩৮৬ জন। কার্যকর সাক্ষরতা সংখ্যা (৭ বছর বা তার বেশি) জনসংখ্যা ৫৮.৭%।[8] এর জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮৫৭ জন (প্রতি বর্গমাইলে ২,২২০ জন) বাসিন্দা রয়েছে।[8] ২০০১-২০১১ এর দশকে জেলার জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ২৪.১৭%। গোণ্ডা জেলায় প্রতি ১০০০ পুরুষের জন্য ৯২১ জন মহিলা লিঙ্গ অনুপাত রয়েছে এবং সাক্ষরতার হার ৫৮.৭% এবং তফসিলি জাতি জনসংখ্যার ১৫.৪৯%।[8]
গোণ্ডা জেলার মানব উন্নয়ন সূচক খুবই কম।[9]
গোণ্ডা জেলা হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ, তবে উল্লেখযোগ্য মুসলিম সংখ্যালঘু। জেলার সরকারী ভাষা হিন্দি এবং অতিরিক্ত সরকারী ভাষা উর্দু।[10]
ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারির অনুসারে, জেলার জনসংখ্যার ৮১.০৩% হিন্দি, ১৬.০৪% অওধ এবং ২.৬৮% উর্দু।[11]
গোণ্ডা জেলায় বেশ কিছু চিনিকল, রাইস মিল এবং আরও অনেক ছোট শিল্প ও হস্তশিল্প রয়েছে। ভারতের ছয়টি টেলিফোন শিল্পের মধ্যে একটি মানকাপুরে অবস্থিত এবং ভারতের বৃহত্তম চিনিকলটি কুন্দরখিতে অবস্থিত।[12]
২০০৬ সালে পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক গোণ্ডা জেলা দেশের ২৫০ টি সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জেলার একটি (মোট ৬৪০ টির মধ্যে) ধরা হয়েছে। এই জেলাটি উত্তরপ্রদেশের ৩৪ টি জেলার মধ্যে একটি যা বর্তমানে (BRGF) অনুদান তহবিল গ্রহণ করছে।[13]
গোণ্ডা জেলায় ৬৬ টি সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ছাড়াও ১৫ টি হাসপাতাল, ২৭ টি আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল, ১১ টি হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল এবং ২ টি ইউনানি হাসপাতাল রয়েছে। ২০১১ সালের আদমশুমারির অনুসারে শিশুমৃত্যুর হার গোণ্ডা জেলায় শীর্ষে, ১০০ টি জেলার তালিকার মধ্যে একটি জেলা। এছাড়াও মাতৃমৃত্যুর সর্বোচ্চ হার শীর্ষে ৫৭ টি জেলার মধ্যে পড়ে।[14]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.