Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ (বঙ্গীয় ব-দ্বীপ[1] বা সুন্দরবন ব-দ্বীপ, ইংরেজি: Ganges Delta বা, Bengal Delta) দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি ব-দ্বীপ যা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ নিয়ে গঠিত। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম নদী ভিত্তিক ব-দ্বীপ।[2][3] এটি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র সহ বেশ কয়েকটি নদীর মিলিত জলরাশি হিসেবে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। এ কারণে একে অনেক সময় গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপ নামেও অভিহিত করা হয়। এটি বিশ্বের উর্বরতম অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। তাই, অনেকে একে গ্রিন ডেল্টা বা সবুজ ব-দ্বীপ বলে থাকেন। বদ্বীপটি হুগলী নদী থেকে পূর্ব দিকে মেঘনা নদী পর্যন্ত প্রসারিত।
গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ দেখতে অনেকটা ত্রিভুজ আকৃতির এবং এটি একটি "আর্কুয়েট" (তোরণ-আকৃতির) বদ্বীপ হিসাবে বিবেচিত হয়। বদ্বীপটি ১,০৫,০০০ কিমি২ (৪১,০০০ মা২)-এরও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। বদ্বীপটি বাংলাদেশ এবং ভারতে বিস্তৃত থাকলেও উত্তরের ভুটান, তিব্বত, ভারত ও নেপাল থেকে সৃষ্ট নদীগুলো এই বদ্বীপের মধ্য দিয়ে নিষ্কাশিত হয়। ব-দ্বীপটির প্রায় ৬৭% হচ্ছে বাংলাদেশে এবং ৩৩% ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। বদ্বীপটির বেশিরভাগ অঞ্চল নদী বাহিত ছোট ছোট পলি কণা দ্বারা গঠিত। এমনকি নদীগুলো তাদের উৎস হিমবাহগুলো থেকে ফ্লুভিও-হিমবাহ হিসাবে এই সূক্ষ্ম কণাগুলো বহন করে নিয়ে আসে। লাল এবং লাল-হলুদ ল্যাটারাইট মাটি আরো পূর্ব দিকের প্রান্তে পাওয়া যায়। এই মাটিতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা কৃষির জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
এটি অসংখ্য চ্যানেল, জলাশয়, হ্রদ এবং পলি মাটির প্লাবন সমভূমি (চর)-এর সমন্বয়ে গঠিত। গঙ্গার শাখানদী- গড়াই-মধুমতি নদী গাঙ্গেয় ব-দ্বীপকে দুটি অংশে বিভক্ত করেছে: একটি হল ভূতাত্ত্বিকভাবে তরুণ ও সক্রিয় পূর্বাঞ্চলীয় বদ্বীপ এবং অপরটি হল পুরাতন ও কম সক্রিয় পশ্চিমাঞ্চলীয় বদ্বীপ।[1]
মৌসুমী বায়ু জনিত বন্যা, হিমালয়ের বরফ গলার কারণে বেশি পানি প্রবাহ জনিত বন্যা এবং উত্তর ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ১২৫ থেকে ১৪৩ মিলিয়ন মানুষ এই ব-দ্বীপে বাস করে। বাংলাদেশীদের একটি বড় অংশ গাঙ্গেয় বদ্বীপে বসবাস করে এবং দেশের অনেক মানুষ বেঁচে থাকার জন্য এই বদ্বীপের উপর নির্ভরশীল।[4]
মনে করা হয়, ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের উপর নির্ভরশীল এবং প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষ গঙ্গা অববাহিকায় বাস করে। অর্থাৎ, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল নদী অববাহিকা। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের অধিকাংশ অঞ্চলের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি কিলোমিটারে ২০০ জন (অর্থাৎ, বর্গমাইল প্রতি ৫২০ জন) এবং এটি বিশ্বের সর্বাধিক ঘনবসতিযুক্ত অঞ্চলগুলোর একটি।
গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ জুড়ে রয়েছে তিনটি বাস্তুসংস্থান অঞ্চল। নিম্নতর গাঙ্গেয় সমভূমির আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্য অঞ্চল এ অঞ্চলের সর্বাধিক অংশ জুড়ে বিদ্যমান। অবশ্য, বনের বেশিরভাগ অংশই কৃষিকাজের জন্য ফাঁকা করা হয়েছে এবং শুধুমাত্র ছোট ছোট কিছু বনাঞ্চল রয়েছে। ক্যানব্রেক নামে পরিচিত লম্বা ঘাসের ঘন স্ট্যান্ডগুলো আর্দ্র অঞ্চলে বৃদ্ধি পায়। সুন্দরবনের স্বাদুপানির জলাভূমির বনাঞ্চল বঙ্গোপসাগরে কাছাকাছি অবস্থিত। এই বন শুষ্ক মৌসুমে নোনাপানিতে প্লাবিত হয় আবার বর্ষা মৌসুমে মিঠাপানিতে প্লাবিত হয়। এই বনও ধীরে ধীরে কৃষি জমিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। বাস্তু-অঞ্চলের ১৪,৬০০ বর্গকিলোমিটার (৫,৬০০ মা২)-এর মধ্যে মাত্র ১৩০ বর্গকিলোমিটার (৫০ মা২) অঞ্চল সুরক্ষিত। বদ্বীপটির বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ হল বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বাস্তুসংস্থান অঞ্চল, যা ৫৪ টি দ্বীপ সহ মোট ২০,৪০০ বর্গকিলোমিটার (৭,৯০০ মা২) জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। সুন্দরবনের নামকরণও করা হয়েছে সুন্দরী নামে পরিচিত একটি ম্যানগ্রোভ প্রজাতির উদ্ভিদের নামানুসারে, যার বৈজ্ঞানিক নাম Heritiera fomes।
ব-দ্বীপের প্রাণীগুলির মধ্যে রয়েছে দেশি অজগর (Python molurus), মেঘলা চিতা (Neofelis nebulosa), ভারতীয় হাতি (Elephas maximus indicus), কুমির ইত্যাদি। প্রায় ১,০২০টি বিপন্নপ্রায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার (Panthera tigris tigris) সুন্দরবনে বাস করে বলে মনে করা হয়। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পাতলা বন রয়েছে যা থেকে মূল্যবান কাঠ পাওয়া যায়। এই অঞ্চলে শাল, সেগুন এবং অশ্বত্থ গাছ পাওয়া যায়। এছাড়া, বদ্বীপ অঞ্চলে গরান গাছও রয়েছে।
অনুমান করা হয় যে প্রায় ৩০,০০০ চিত্রা হরিণ (Axis axis) বদ্বীপটির সুন্দরবন অংশে রয়েছে। এছাড়াও সেখানে মাছরাঙা, ঈগল, কাঠঠোকরা, শালিক (Acridotheres tristis), জলার তিতির (Francolinus gularis) এবং দোয়েল (Copsychus saularis) পাখি দেখা যায়। বদ্বীপটিতে দুটি প্রজাতির ডলফিনের সন্ধান পাওয়া যায়: ইরাবতী ডলফিন (Orcaella brevirostris) এবং গঙ্গা নদীর ডলফিন (Platanista gangetica gangetica)। ইরাবতী ডলফিন একটি মহাসাগরীয় ডলফিন, যা বঙ্গোপসাগর থেকে বদ্বীপে প্রবেশ করে। তবে গঙ্গা নদীর ডলফিন সত্তিকারার্থেই একটি নদীতে বসবাসকারী ডলফিন। তবে এটি অত্যন্ত বিরল এবং বিপন্নপ্রায় প্রাণী হিসাবে বিবেচিত।
এছাড়া, অঞ্চলটিতে যেসব উদ্ভিদ পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: সুন্দরী, গর্জন, বাঁশ, গোলপাতা (Nypa fruticans) এবং ম্যানগ্রোভ খেজুর (Phoenix paludosa)। উদ্ভিদের অনেক বিপন্ন প্রজাতিও এখানে পাওয়া যায়।
গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত: ভারতীয় পাত, ইউরেশীয় পাত এবং বার্মা পাত।[5] ইওসিন প্যালিওসেল্ফের প্রান্তটি কলকাতা থেকে শিলং মালভূমির প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। প্যালিওসেল্ফের প্রান্তটি উত্তর-পশ্চিমে পুরু মহাদেশীয় ভূত্বক থেকে দক্ষিণ-পূর্বের পাতলা মহাদেশীয় বা মহাসাগরীয় ভূত্বকে রূপান্তর চিহ্নিত করে। হিমালয়ের প্রবাহ থেকে আগত বিপুল পরিমাণে পলি ইওসিনের পর থেকে বদ্বীপটির সমুদ্রসৈকতকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মা) প্রসারিত করেছে। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের নিচে পেলোশেল্ফের প্রান্তের দক্ষিণ-পূর্বে পলির ঘনত্ব ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) অতিক্রম করতে পারে।[6]
বাংলাদেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ লোক কৃষি ক্ষেত্রে কর্মরত। তারা বদ্বীপের উর্বর প্লাবনভূমিতে ফসল ফলান। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে যেসব ফসল উৎপন্ন হয় সেগুলোর মধ্যে প্রধান হল পাট, চা এবং ধান।[4] মাছ ধরাও এ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। কারণ এ অঞ্চলের অনেকের কাছেই মাছ একটি প্রধান খাদ্য।[7]
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞানীরা মাছ চাষে উন্নত পদ্ধতি প্রয়োগ করতে বদ্বীপের দরিদ্র মানুষদেরকে সহায়তা দিয়ে আসছেন। অব্যবহৃত পুকুরগুলোকে কার্যকর মাছের খামারে পরিণত করে এবং বিদ্যমান পুকুরগুলোতে মাছ চাষে উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেকেই এখন মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে পুকুরে মাছের উৎপাদন ৮০০% বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।[8] চিংড়ি সাধারণত খোলা পানিতে নিমজ্জিত কন্টেইনার বা খাঁচায় চাষ করা হয়। এগুলোর বেশিরভাগই রফতানি করা হয়।[7]
অসংখ্য নদী-নালা বেষ্টিত থাকায় অঞ্চলটিতে যাতায়াত করা বেশ কষ্টসাধ্য। বেশিরভাগ দ্বীপপুঞ্জ থেকে মূল ভূখণ্ডে যাতায়াতের একমাত্র উপায় হল কাঠের ফেরি নৌকা। সেতুর সংখ্যা খুবই কম। কিছু দ্বীপ এখনও বৈদ্যুতিক গ্রিডের সাথে সংযুক্ত নেই। সেসব দ্বীপের বাসিন্দাদের মাঝে সৌর কোষ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রবণতা দেখা যায়।
আর্সেনিক একটি প্রাকৃতিক মৌল যা স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলে এর প্রকোপ বেশি। এটি ধান এবং অন্যান্য প্রধান ফসলের মাধ্যমে খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করতে পারে।
গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের বেশিরভাগ এলাকা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত। এর পশ্চিমাঞ্চলে প্রতি বছর ১,৫০০ থেকে ২,০০০ মিমি (৫৯ থেকে ৭৯ ইঞ্চি) এবং পূর্বাঞ্চলে প্রতি বছর ২,০০০ থেকে ৩,০০০ মিমি (৭৯ থেকে ১১৮ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়। গরম ও শুষ্ক গ্রীষ্মকাল এবং শীতল ও শুষ্ক শীতকাল জলবায়ুকে কৃষির জন্য উপযুক্ত করে তোলে।
১৯৭০ সালের নভেম্বরে, বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে মারাত্মক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়টি গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলে আঘাত হানে ১৯৭০ ভোলা ঘূর্ণিঝড়ে ৫,০০,০০০ মানুষ নিহত হয় (সরকারিভাবে হিসেবে) এবং আরও ১০,০০০ জন নিখোঁজ হয়। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুমান করেছিল যে, ভোলা ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০,০০,০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।[9]
১৯৯১ সালে বদ্বীপটিতে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে প্রায় ১,৩৯,০০০ মানুষ মারা যায়।[10]
এ অঞ্চলে প্রায়ই তীব্র বন্যা দেখা দিয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে বন্যার ফলে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত এবং ৩০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিল। পুরো ধানের ফসল নষ্ট হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার এই অঞ্চলের মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করার জন্য ৯০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছিল।[11]
বিনিতা দামোদরন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসন কর্তৃক দুর্ভিক্ষ ব্যবস্থাপনার রীতিটির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন এবং বন ও জমি পরিচালনার ফলে যে বড় ধরনের পরিবেশগত পরিবর্তন হয়েছে তার সাথে এই পদ্ধতিগুলোর সম্পর্ক চিহ্নিত করেছেন।[12][13][14] দেবযানী ভট্টাচার্য্য দেখিয়েছেন যে পরিবেশগত পরিবর্তন মোকাবিলা করে অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে বিংশ শতাব্দীতে সূচনা পর্যন্ত ঔপনিবেশিক শক্তি কীভাবে কলকাতাকে নগর কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলেছিল।[15][16]
বঙ্গীয় বা গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের পূর্ব অংশকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে ইফতেখার ইকবাল কৃষ্ণবিত্ত সমৃদ্ধি বা হ্রাস, সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব, দারিদ্র্য এবং দুর্ভিক্ষ অধ্যয়ন করার জন্য বঙ্গীয় ব-দ্বীপকে (বিশেষত, ঔপনিবেশিক সময়কালকে) একটি পরিবেশগত কাঠামো হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন।[17] ইকবাল দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে ঔপনিবেশিক শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে ফরায়েজি আন্দোলনের মতো প্রতিরোধ আন্দোলন কীভাবে অধ্যয়ন করা যেতে পারে।[18]
বঙ্গীয় বা গাঙ্গেয় বদ্বীপের পরিবেশ ইতিহাসের গবেষণার ক্ষেত্রে একটি দুর্বল দিক হল বেশিরভাগ গবেষণা অষ্টাদশ থেকে একবিংশ শতাব্দীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই অষ্টাদশ শতকের পূর্বে এই অঞ্চলের পরিবেশগত ইতিহাস সম্পর্কে তথ্যের অভাব রয়েছে।
আসন্ন বছরগুলোতে গাঙ্গেয় বদ্বীপে বসবাসকারী লোকদের সবচেয়ে বড় যে হুমকির সম্মুখীন হতে হবে তা হল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আর মাত্র ০.৫ মিটার (১ ফু ৮ ইঞ্চি) বাড়লেই বাংলাদেশে প্রায় ছয় মিলিয়ন লোক ঘরছাড়া হতে পারে।[19]
বদ্বীপটিতে তিতাস এবং বখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ গ্যাসের মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছে। ফলে, এখন বেশ কয়েকটি বড় বড় তেল সংস্থা গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে অনুসন্ধান চালানোর কাজে বিনিয়োগ করেছে।[20][21]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.