Loading AI tools
১৩ শতাব্দিতে নির্মিত গজনি শহরের দুর্গ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গজনি দুর্গ পূর্ব-মধ্য আফগানিস্তানের গজনি শহরে অবস্থিত, একটি মধ্যযুগীয় দুর্গপ্রাকার। গজনি শহরকে একটি প্রাচীর বেষ্টিত নগর হিসবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৩শ শতাব্দীতে দুর্গটি নির্মিত হয়েছিল। দুর্গটি ৪৫ মিটার (১৪৭ ফুট) উঁচু যা গজনির আকাশসীমায় আধিপত্য বিস্তার করে।[1]
গজনি দুর্গ | |
---|---|
গজনি , আফগানিস্তান | |
স্থানাঙ্ক | ৩৩°৩২′৫৭″ উত্তর ৬৮°২৫′২৪″ পূর্ব |
উচ্চতা | ৪৫ মিটার (১৪৭ ফুট) |
সাইটের তথ্য | |
জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত | হ্যাঁ |
অবস্থা | আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত |
সাইটের ইতিহাস | |
নির্মিত | ১৩শ শতাব্দী |
যুদ্ধ | গজনির যুদ্ধ |
একাধিক হুমকির কারণে দুর্গটি ধ্বংসের ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতোমধ্যে দুর্গটির ৩২টি মূল মিনারের অর্ধেকেরও বেশি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। ২০১৯ সালের জুন মাসে এক ভিডিওতে দুর্গের একটি মিনার ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়, যা সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়।[2] দুর্গটি শহরের কেন্দ্রস্থলে এবং নিকটবর্তী প্রধান রাস্তাগুলিতে অবস্থিত। ভারী বৃষ্টিপাত এবং দেশটির চলমান গৃহযুদ্ধ ও সংরক্ষণের জন্য অর্থের অভাব দুর্গটির ক্ষয় তরান্বিত করছে।
নির্মাণের পর হতে ৮০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গজনি দুর্গটি অনেক যুদ্ধের সাক্ষী হয়েছে। দুর্গটি ১৮৩৯ সালের প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান। এযুদ্ধে ব্রিটিশ সেনারা আক্রমণ করে দুর্গটি দখল করেছিল। পরবর্তী দশকগুলিতে এই দুর্গে আরো যুদ্ধের ও সহিংসতা ঘটেছিল।[3] ২০১৯ সালের ১৪ জুন, ভারী বৃষ্টিপাত এবং আফগান সরকারের অবহেলার কারণে দুর্গের একটি মিনার ভেঙে পড়েছিল।[4]
গজনী দুর্গের অবকাঠামো দিন দিন অবনতি হচ্ছে। দুর্গের অনেক মিনার ও দেয়াল ভেঙে পড়েছে। আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ এবং অবিরত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দুর্গের অবনতিতে ভূমিকা রেখেছে। যুদ্ধ এবং তহবিলের অভাব দুর্গটির সংরক্ষণের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্থ করেছে। [5] ২০১৯ সালের জুন-এ মিনার ধসে পড়ার ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত হলে আফগান সরকার দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছিল।[2][6]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.