খোরাসান গ্রুপ
From Wikipedia, the free encyclopedia
খোরাসান গ্রুপ বা কেবল খোরাসান হল সিরিয়ায় সক্রিয় আল-কায়েদার সিনিয়র সদস্যদের নিয়ে সংগঠিত একটি জিহাদি গ্রুপ। [1] গোষ্ঠীটিতে খুবই অল্প সংখ্যক যোদ্ধা রয়েছে এবং এটি সিরিয়ায় আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন আল-নুসরা ফ্রন্টের সাথে সমন্বয় করে পরিচালিত হয় বলে জানা গেছে।[2] ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই শব্দটি প্রথম সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই বছর ধরে গোষ্ঠীটির খোঁজ খবর রাখছিল বলে জানা যায়।[3][4] তবে অনেক বিশ্লেষক গ্রুপটির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, হয়তো এই নামটি সিরিয়ায় মার্কিন হস্তক্ষেপের বৈধতার জন্যে অস্তিত্বে আনা হয়েছে।[4]
খোরাসান গ্রুপ | |
---|---|
Khorasan Group | |
নেতা |
|
অপারেশনের তারিখ | মাচ, ২০১২- বর্তমান |
সদরদপ্তর | আলেপ্পো |
সক্রিয়তার অঞ্চল | সিরিয়া |
মতাদর্শ | ইসলামবাদ, জিহাদবাদ, খিলাফত, ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা, মার্কিন আধিপত্যবাদ বিরোধী, রুশ আধিপত্যবাদ বিরোধী |
আকার | ৫০-১০০ |
এর অংশ | আল কায়েদা |
মিত্র | আল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা |
বিপক্ষ | |
খণ্ডযুদ্ধ ও যুদ্ধ | সিরীয় গৃহযুদ্ধ |
২০১৫ সালের ২৮ মে আল-নুসরা ফ্রন্টের নেতা আবু মোহাম্মদ আল গিলানি স্পষ্টভাবে কথিত খোরাসান গ্রুপের অস্তিত্ব অস্বীকার করেন। [5] আল নুসরা ফ্রন্ট কমপক্ষে 2015 সালের প্রথম দিকে আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির কাছ থেকে পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সাথে সম্পর্কিত কোনো কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য নির্দিষ্ট আদেশ পেয়েছিল।[6] ২০১৫ সালের জুলাই মাসে গ্রুপটির কথিত অপারেশনাল লিডার মুহসিন আল ফাদলি এবং এটির প্রধান বোমা প্রস্তুতকারক ডেভিড ড্রুজন দুজনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুইটি পৃথক বিমান হামলায় নিহত হন।[7][8] তাদের মৃত্যুর পর এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি বলেন যে, খোরাসান গ্রুপটি হ্রাস পেয়েছে। আইএস এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় হুমকি। [9]
২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় একটি কোয়ালিশন বিমান হামলায় আব্দুল মোহসেন আদবল্লাহ ইব্রাহিম নিহত হন। তিনি তখন খোরাসান গ্রুপের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার নেতা ছিলেন। [10] মুহসিন আল-ফাদলির মৃত্যুর আগে তিনি খোরাসানের ডেপুটি লিডার ছিলেন। [11] ২০১৭ সালের জানুয়ারির শুরুতে রিপোর্ট করা হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন খোরাসান যোদ্ধাদের বিশেষভাবে উল্লেখ করে না এবং মার্কিন সরকার খোরাসান ও আন-নুসরা ফ্রন্টের যোদ্ধাদের মধ্যে পার্থক্য করার চেষ্টা করেনি; বরং তাদের সবাইকে আল-কায়েদা হিসাবে উল্লেখ করে। এই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন-নুসরা ফ্রন্ট ও আল কায়েদার অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে বিমান হামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে।[12][13]