খিজির
From Wikipedia, the free encyclopedia
খিজির (আরবি: الخَضِر; আল্-খদির্) হলেন কুরআনে সূরা কাহফে উল্লেখিত একজন মহান পণ্ডিত, যার নাম স্পষ্টভাবে উল্লিখিত হয়নি: "অতপর সে (মুসা) আমার একজন বান্দার দেখা পেল, যাকে আমি নিজের পক্ষ থেকে কল্যাণ দান করেছি এবং তাকে (সার্বজনীন)[3] জ্ঞান দান করেছি"। এরপর মুসা আ. দুই সমুদ্র মিলিত হওয়ার স্থানে তাকে অনুসরণ করলেন। "হজরত মুসা তাকে বললেন, আমি কি তোমাকে এ জন্যে অনুসরণ করতে পারি যে, তোমাকে যে ইলম/জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হয়েছে তা থেকে আমাকে (কিছু) শেখাবে"।[4] এরপর বেশ কয়েকটি আয়াতে তাঁর ও মুসা আ. এর ঘটনাবলী উল্লেখ করা হয়েছে; তবে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তিনি নবি ছিলেন কিনা তা নিয়ে পণ্ডিতদের ভেতর বিতর্ক আছে।
অতীন্দ্রিয়, সবুজ ব্যক্তি, চিরচেনা ব্যক্তি, নবীদের শিক্ষক, সাইয়িদিনা, পথপ্রদর্শক | |
---|---|
জন্ম | অজানা অজানা |
আদি নিবাস | অজানা |
বাসস্থান | অজানা |
মৃত্যু | অজানা অজানা |
সমাধি | অজানা |
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন | ইসলাম |
প্রধান স্মৃতিযুক্ত স্থান | অজানা |
যাদের প্রভাবিত করেন | অগণিত সুফী সাধু এবং অতীন্দ্রিয়বাদী |
পূর্বসূরী | ইয়ুসা বিন নূহ |
উত্তরসূরী | লোকমান |
তিনি একজন নবী; নাকি নন সে সম্পর্কে তার চরিত্রের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেন যে, খিজির একজন ওলি; নবী নন।[5] তাঁর নাম উল্লেখকালে মুসলমানরা সম্মানসূচক আলাইহিস সালাম শব্দটি যুক্ত করেন।[6] সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, "কুরআনের আয়াত "যার কাছে (আল্লাহর) কিতাবের ইলম আছে, তিনি বললেন, আমি এটাকে (বিলকিসের সিংহাসন) তোমার চোখের পলকেই নিয়ে আসতে পারব। অতপর যখন তিনি (সুলাইমান) তা তার নিকটে দেখতে পেলেন তখন বললেন, এটা আমার রবের পক্ষ থেকে আমার প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ ছাড়া কিছুই নয়" দ্বারা খিজিরকে বোঝানো হয়েছে। এছাড়া ইবনে আব্বাস বলেন এবং এটি সর্বজনবিদিতও যে, এই আয়াতে যার কথা বলা হয়েছে, তিনি হলেন আসিফ ইবনে বারখিয়া।[7]
আলেমগণ একমত যে, তিনি মারা গেছেন এবং তিনি মৃত। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই আছে যে, তারা বিশ্বাস করে, তিনি এখনো জীবিত আছেন।[8]
খ্রিস্টান, ইহুদি ও ইসলামের মত অনেক ধর্মে খিযিরকে পবিত্র বলে মনে করা হয়[9] এবং অনেক ইসলামী ও অনৈইসলামি ঐতিহ্যে তিনি একজন বার্তাবাহক, নবী, ওলি,[10] ফেরেশতা,[11] সমুদ্রের অভিভাবক, লুকায়িত জ্ঞানের শিক্ষক[12] ও মর্মপীড়ার সাহায্যকারী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[13] খিজিরের চিত্রটি সময়ের সাথে সাথে ইরানের সোরোশ,[14][15][16][17] আনাতোলিয়া ও শামে যোদ্ধা সেন্ট সারকিস[18][19] ও আর্মেনিয়ায় বাপ্তিস্মদাতা যোহন।[20][21][22][23][24] এছাড়া তাকে প্রায়শ ইলিয়াসের চরিত্রের সাথে যুক্ত হয়।[25]কেউ কেউ বিশ্বাস করে যে, তিনি দেবতা এবং যিশু খ্রিস্টের অনুসারীদের মত তামিলরাও তাকে একজন দেবতা হিসাবে গণ্য করে এবং তারা তার বিশুদ্ধ একেশ্বরবাদী বার্তা থেকে বিচ্যুত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।