Loading AI tools
নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার একটি ইউনিয়ন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
খাজুরা ইউনিয়ন বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের ভৌগোলিক পরিচিতি কোড (জিও কোড) হল ৫০.৬৯.৫৫.৫৮।[2]
খাজুরা | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
ডাকনাম: খাজুরা ইউপি | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | নাটোর জেলা |
উপজেলা | নলডাঙ্গা উপজেলা |
আসন | নাটোর-২ |
আয়তন | |
• মোট | ৩৯.৪৬ বর্গকিমি (১৫.২৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১ আদমশুমারি অনুসারে)[1] | |
• মোট | ১৯,৫৪৫ |
• জনঘনত্ব | ৫০০/বর্গকিমি (১,৩০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫০.২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
খাজুরা গ্রামের নামকরণের সঠিক ইতিহাস নির্ণয় করা না গেলেও দুইভাবে এর ব্যাখা এসেছে।
প্রথমত খাজুরা পরগণা, গোপালবাটী ও জনার্দনবাটী পরগণা – এই তিনটি মৌজা নিয়ে খাজুরা গ্রাম অবস্থিত । বহু পূর্বে এই অঞ্চল ভাতুড়িয়া পরগণার অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই সময় থেকেই এই এলাকায় কিছু সংখ্যক বারেন্দ্রী ভাদুড়ী জমিদারদের বসবাস ছিল। এদের মধ্যে কানাই ভদ্র নামে একজন জমিদার ছিলেন । তার সম্পর্কে কিছু অলৌকিক কথা শোনা যায় । জমিদার কানাই ভদ্রের নাম অনুসারে এই এলাকাটা ভদ্রভিটা নামেও পরিচিত ছিল । জনশ্রুতি আছে যে ভদ্রভিটার উত্তর দিকের নদীতে পাথরঘাটা ‘দহ’ আছে ।
পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে হিন্দু জমিদাররা বসবাস করলে খাজুরা নামটি পরিবর্তন করে সূর্যপুর নামকরণ করা হয় । আবার এই পরগণার জমিদারগন ৭ জন রাজকন্যাকে বিয়ে করেছিলেন বলে জামাত্রি ভবনও বলা হয় ।
দ্বিতীয়তঃ ১২০৫ খ্রিস্টাব্দের পর ভাতুড়িয়া পরগণা বিলুপ্ত হলে এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে । সে সময় চলনবিল এলাকার দস্যুরা এখানে এসে অত্যাচার, নির্যাতন করত । কালক্রমে ভারতবর্ষে বড় ধরনের ভূমিকম্প ও প্রলয় হলে নদীতে প্রবল স্রোত ধারার সৃষ্টি হয় । তখন উত্তর পশ্চিম দিক থেকে স্রোতে ভেসে আসা দুই ব্রাহ্মণ- ব্রাহ্মণী নদীর চড়ে ওঠেন এবং এখানকার জনবসতির কাছ থেকে সাহায্য সহানুভূতির মাধ্যমে ভাতুড়িয়া পরগনার বিলের উত্তর পাড়ে আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলেন। তারা বংশানুক্রমে একদিন রাজা-জমিদারদের কাছ থেকে জমিদারী লাভের মাধ্যমে শ্রদ্ধাভাজন হয়ে ওঠেন এবং তাদের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পায় । পরবর্তীকালে তারা কুলীন ব্রাহ্মণের রুপ ধারণ করেন । রাজা মহারাজাগণ তাদের করবিহীন জায়গা দান করেন । পরবর্তীকালে এখানে ৭ জন রাজ জামাতা এবং কয়েকজন জমিদার বসবাস করতেন বলে তাদের বংশ ও কুলের নামের সাথে মিলে জনার্দনবাটী নামকরণ করা হয় । সে সময় জমিদারদের মধ্যে লাহিড়ী পরিবার ছিল বেশি । পরে লাহিড়ী জমিদার বিলুপ্ত হয়ে ভাদুড়ী খাঁ জমিদারদের আবির্ভাব ঘটে । এদের মধ্যে তৈলক্ষ্য খাঁ ও ভোলানাথ খাঁ ছিলেন নাম করা জমিদার । জনশ্রুতি আছে খাঁ জমিদারদের নাম অনুসারেই খাজুরা নামকরণ করা হয়। অনেকের মতে ভাতুড়িয়া পরগনায় খাঁ ভাদুড়ীদের বসতি ছিল বলে খাজুরা হয়েছে ।
এই গ্রামের জমিদার এবং তৎকালীন সময়ে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত জমিদার জীবন্তীনাথ খাঁ এবং জ্ঞানেন্দ্রনাথ খাঁ রাজশাহীর ভোলানাথ বিশ্বেশ্বর হিন্দু একাডেমীর সুপ্রতিষ্ঠিতকরণে বিপুল অর্থসাহায্য করে এই বিদ্যালয়ের নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ফলে বিদ্যালয়ের পূর্ব নাম পরিবর্তন করে তাঁদের পিতা জমিদার ভোলানাথ খাঁর নামানুসারে ভোলানাথ একাডেমী রাখা হয়। ১৯২৯ সালের শেষের দিকে জীবন্তীনাথ খাঁ ও জ্ঞানেন্দ্রনাথ খাঁ একাডেমী পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব অনুকূল চক্রবর্ত্তী ও তাঁর জীবনাবসানে তাঁর উত্তরাধিকারীদের নিকট অর্পণ করেন।[3][4]
নলডাঙ্গা উপজেলা সদর হতে পূর্ব দিকে অবস্থিত এ ইউনিয়নের মোট আয়তন ৯৭৪৯ একর[1] বা ৩৯.৪৬ বর্গকিলোমিটার।
খাজুরা ইউনিয়ন মৌজা/গ্রাম নিয়ে গঠিত। মৌজা সমুহ ৯টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে বিভক্ত।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী খাজুরা ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৯৫৪৫ জন[1], যারা ৪৯৯৩ টি পরিবারে বসবাস করে, যার মধ্যে পুরুষ হল ৯৬৫৪ জন এবং নারী হল ৯৮৯১ জন।
খাজুরা ইউনিয়নের গড় সাক্ষরতা হার ৫০.২%। তার মধ্যে নারী শিক্ষার হার ৪৫.৯% এবং পুরুষ শিক্ষার হার ৫৪.৬%। এখানকার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেঃ
খাজুরা ইউনিয়নের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.