খলিল আল-ওয়াজির
From Wikipedia, the free encyclopedia
খলিল ইবরাহিম আল-ওয়াজির[note 1] (আরবি: خليل إبراهيم الوزير, কুনিয়াত আবু জিহাদ (أبو جهاد—"সংগ্রামের পিতা") নামেও পরিচিত[note 2] ; ১০ অক্টোবর ১৯৩৫ – ১৬ এপ্রিল ১৯৮৮) একজন ফিলিস্তিনি নেতা এবং ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদি দল ফাতাহর সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ফাতাহর সামরিক কর্মকাণ্ডে তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছিল। তিনি সংগঠনের সামরিক শাখা আল-আসিফার কমান্ডার ছিলেন।
খলিল আল-ওয়াজির | |
---|---|
ডাকনাম | আবু জিহাদ |
জন্ম | (১৯৩৫-১০-১০)১০ অক্টোবর ১৯৩৫ রামলা, মেন্ডেটরি প্যালেস্টাইন |
মৃত্যু | এপ্রিল ১৬, ১৯৮৮(1988-04-16) (বয়স ৫২) তিউনিস, তিউনিসিয়া |
আনুগত্য | ফাতাহ/প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন |
সেবা/ | আল-আসিফা |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | কারামার যুদ্ধ কালো সেপ্টেম্বর বৈরুত অবরোধ প্রথম ইন্তিফাদা |
সম্পর্ক | ইন্তিসার আল-ওয়াজির (স্ত্রী) |
১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় আল-ওয়াজির সপরিবারে রামলা থেকে নির্বাসিত হয়। এরপর তিনি গাজায় একটি ক্ষুদ্র ফেদাইন দলের নেতৃত্ব প্রদান শুরু করেন। ১৯৬০ এর দশকে ফাতাহর জন্য তিনি কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠী ও তৃতীয় বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। আলজেরিয়ায় তিনি ফাতাহর প্রথম ব্যুরো চালু করেন। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদেরকে অস্ত্র ও সহায়তা সরবরাহ করে ১৯৭০-৭১ সালের কালো সেপ্টেম্বরের সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জর্ডানের সেনাবাহিনীর কাছে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) পরাজয়ের পর তিনি লেবাননে পিএলওর সাথে যোগ দেন।
১৯৮২ সালে ইসরায়েল কর্তৃক লেবাননে আক্রমণের পূর্বে ও আক্রমণের সময় তিনি ইসরায়েলের ভেতরে বেশ কয়েকটি আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন। আগ্রাসী ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে তিনি বৈরুতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছিলেন। তবে ইসরায়েলি সেনারা জয়ী হয় এবং অন্যান্য ফাতাহ নেতৃবৃন্দসহ খলিল আল-ওয়াজির লেবানন থেকে বহিস্কৃত হন। দুই বছর আম্মানে থাকার পর ১৯৮৬ সালে তিনি তিউনিসে নির্বাসিত হন। এখান থেকে তিনি ফিলিস্তিনের তরুণ কমিটিগুলি সংগঠিত করতে শুরু করেন। প্রথম ইন্তিফাদার সময় এরা ফিলিস্তিনি শক্তির মেরুদন্ড হিসেবে কাজ করেছে। ১৯৮৮ সালের ১৬ এপ্রিল তিউনিসে ইসরায়েলি কমান্ডোরা তাকে হত্যা করে।