ক্লোরামফেনিকল
রাসায়নিক যৌগ / From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্লোরামফেনিকল হলো একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা অনেকগুলি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য কার্যকর।[3] এর মধ্যে কনজাংক্টিভাইটিসের চিকিৎসার জন্য চোখের মলম হিসাবে ক্লোরামফেনিকল ব্যবহৃত হয়।[4] মুখের মাধ্যমে বা শিরায় ইনজেকশন দিয়ে, এটি মেনিনজাইটিস, প্লেগ, কলেরা এবং টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।[3] মুখের মাধ্যমে বা ইনজেকশন দ্বারা এর ব্যবহার শুধুমাত্র তখনই সুপারিশ করা হয় যখন অন্য কোনো নিরাপদ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যায় না।[3] চিকিৎসা চলাকালে প্রতি দুই দিনে রক্তে ওষুধের মাত্রা এবং রক্তকণিকার মাত্রা উভয়ই পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।[3]
রোগশয্যাসম্বন্ধীয় তথ্য | |
---|---|
বাণিজ্যিক নাম | ক্লোরোমাইসেটিন[1] |
এএইচএফএস/ ড্রাগস.কম | মনোগ্রাফ |
মেডলাইনপ্লাস | a608008 |
লাইসেন্স উপাত্ত |
|
গর্ভাবস্থার শ্রেণি |
|
প্রয়োগের স্থান | Topical (eye drops), by mouth, intravenous therapy (IV), intramuscular injection (IM) |
এটিসি কোড | |
আইনি অবস্থা | |
আইনি অবস্থা |
|
ফার্মাকোকাইনেটিক উপাত্ত | |
জৈবপ্রাপ্যতা | ৭৫–৯০% |
প্রোটিন বন্ধন | ৬০% |
বিপাক | যকৃত |
বর্জন অর্ধ-জীবন | ১.৬–৩.৩ ঘন্টা |
রেচন | বৃক্ক (৫–১৫%), মল (৪%) |
শনাক্তকারী | |
আইইউপিএসি নাম
| |
সিএএস নম্বর |
|
পাবকেম সিআইডি | |
ড্রাগব্যাংক |
|
কেমস্পাইডার |
|
ইউএনআইআই | |
কেইজিজি |
|
সিএইচইবিআই | |
সিএইচইএমবিএল | |
পিডিবি লিগ্যান্ড | |
কমপটক্স ড্যাশবোর্ড (আইপিএ) | |
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | 100.000.262 |
রাসায়নিক ও ভৌত তথ্য | |
সংকেত | C11H12Cl2N2O5 |
মোলার ভর | ৩২৩.১৩ g·mol−১ |
থ্রিডি মডেল (জেএসমোল) | |
এসএমআইএলইএস
| |
|
সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে অস্থি মজ্জা দমন, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া।[3] অস্থি মজ্জা দমনের ফলে মৃত্যু হতে পারে।[3] পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঝুঁকি কমাতে চিকিৎসার সময় যতটা সম্ভব কমানো উচিত।[3] যাদের যকৃত বা বৃক্কে সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্য কম ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।[3] ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে গ্রে বেবি সিনড্রোম নামে পরিচিত একটি অবস্থা দেখা দিতে পারে যার ফলে পেট ফুলে যায় এবং নিম্ন রক্তচাপ হয়।[3] গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এটির ব্যবহার সাধারণত সুপারিশ করা হয় না।[5] ক্লোরামফেনিকল হল একটি ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিক যা সাধারণত প্রোটিনের উৎপাদন বন্ধ করার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়।[3]
১৯৪৭ সালে স্ট্রেপ্টোমাইসেস ভেনিজুয়েলা থেকে আলাদা করার পর এই অ্যান্টিবায়োটিকটি[6] আবিষ্কৃত হয়। ১৯৪৯ সালে এর রাসায়নিক গঠন চিহ্নিত করা হয়েছিল। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় রয়েছে ।[7] এটি জেনেরিক ওষুধ হিসেবে পাওয়া যায়।[3]