![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/c/cf/Christian_de_Duve.tif/lossy-page1-640px-Christian_de_Duve.tif.jpg&w=640&q=50)
ক্রিস্টিয়ান ডি দুভ
চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী / From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্রিশ্চিয়ান রেনে মেরি জোসেফ, ভাইকাউন্ট দে দুভ (২ অক্টোবর ১৯১৭ - ৪ মে ২০১৩) ছিলেন একজন নোবেল বিজয়ী ইংল্যান্ডে জন্মানো বেলজিয়ান কোষতত্ত্ববিদ ও প্রাণ-রসায়নবিদ।[2][3] পারঅক্সিসোম ও লাইসোসোম নামক দুটি কোষীয় অঙ্গাণু আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে অ্যালবেয়ার ক্লুদ ও জর্জ ই. পালাদে এর সাথে যৌথভাবে (কোষের গাঠনিক ও ক্রিয়াকলাপ কাঠামো সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য), শারীরতত্ত্ব বা চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।[4] পারঅক্সিসোম ও লাইসোসোম ছাড়াও, তিনি একই সাথে অটোফেজি (autophagy, বাংলা: আত্মভক্ষণ) এন্ডোসাইটোসিস (endocytosis), এবং এক্সোসাইটোসিস (exocytosis) এই বৈজ্ঞানিক নামগুলোর প্রবর্তন করেন।[5][6][7][8][9]
ভাইকাউন্ট দে দুভ | |
---|---|
![]() অক্টোবর ২০১২ সালে সুকেন্দ্রিক কোষের (eukaryotic cell) উৎপত্তি বিষয়ক বক্তৃতা প্রদানকালে দে দুভ | |
জন্ম | ক্রিশ্চিয়ান রেনে মেরি জোসেফ দে দুভ (১৯১৭-১০-০২)২ অক্টোবর ১৯১৭ |
মৃত্যু | ৪ মে ২০১৩(2013-05-04) (বয়স ৯৫) গ্রে-দয়সো, বেলজিয়াম |
জাতীয়তা | বেলজিয়ান |
নাগরিকত্ব | বেলজিয়ান |
মাতৃশিক্ষায়তন |
|
পরিচিতির কারণ | কোষীয় অঙ্গাণুসমূহ |
দাম্পত্য সঙ্গী | জেনিন হারম্যান (বি. ১৯৪৩; মৃ. ২০০৮) |
সন্তান |
|
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র |
|
প্রতিষ্ঠানসমূহ |
|
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/85/Queen_Beatrix_meets_Nobel_Laureates_in_1983c.jpg/640px-Queen_Beatrix_meets_Nobel_Laureates_in_1983c.jpg)
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে বেলজিয়ান শরণার্থীর সন্তান, দে দুভ এর জন্ম হয় টেমস ডিটন, সারে, ইংল্যান্ডে।[10]
তার পরিবার ১৯২০ সালে বেলজিয়ামে ফিরে যায়। তিনি অ্যান্টওয়ার্পের অন্জে-লিভে-ভ্রুকলেজ (Onze-Lieve-Vrouwecollege, ইংরেজি:Our Lady College) এর জেসুইটগণের কাছে পড়াশুনা করেন, এবং লুভাঁ ক্যাথোলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন করেন। ১৯৪১ সালে এমডি ডিগ্রি অর্জনের পর, তিনি রসায়ন গবেষণায় নিযুক্ত হন, এবং বহুমূত্র রোগে ইনসুলিনের ভূমিকা নিয়ে কাজ শুরু করেন। তার এই গবেষণা ১৯৪৫ সালে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ খেতাব agrégation de l'enseignement supérieur (আক্ষরিক অর্থ: উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ খেতাব; পিএইচডি এর সমতুল্য) এনে দেয়।[11]
১৯৪৬ সালে পেনিসিলিন বিশুদ্ধিকরণে তার কাজের জন্য তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি এরপর স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের হুগো থিওরেল (পরবর্তীকালে নোবেল বিজয়ী), এবং সেইন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ল ও গার্টি কোরি’র অধীনে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য যান। ১৯৪৭ সালে তিনি লুভাঁ'র চিকিৎসা অনুষদে যোগদান করেন। ১৯৬০ সালে তাকে রকাফেলার ইন্সটিটিউটে (বর্তমানে রকাফেলার বিশ্ববিদ্যালয়) আমন্ত্রণ জানানো হয়। লুভাঁ'র সাথে পারস্পরিক সমঝোতায়, তিনি ১৯৬২ সাল থেকে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন, এবং লুভাঁ ও নিউ ইয়র্কে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি লুভাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের, এবং ১৯৮৮ সালে রকাফেলার এর এমেরিটাস অধ্যাপক নিযুক্ত হন।[12]
দে দুভ, বেলজিয়ামের রাজা বুদোয়াঁ কর্তৃক, ১৯৮৯ সালে ভাইকাউন্ট এর পদমর্যাদায় ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি ফ্রাঁকি পুরস্কার, গার্ডনার ফাউন্ডেশন আন্তর্জাতিক পুরস্কার, হাইনেকেন পুরস্কার, এবং ই.বি. উইলসন পদকে ভূষিত হন। তিনি ১৯৭৪ সালে ব্রাসেলসে, আন্তর্জাতিক কোষীয় ও আণবিক রোগতত্ত্ব ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন, ২০০৫ সালে যা ‘দে দুভ ইন্সটিটিউট’- হিসেবে নামকরণ করা হয়। ল’রিয়াল-ইউনেস্কো বিজ্ঞানে নিয়োজিত নারী পুরস্কার – এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।[13]