![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/37/Wilson1900Fig2.jpg/640px-Wilson1900Fig2.jpg&w=640&q=50)
কোষ (জীববিজ্ঞান)
সকল জীবের গাঠনিক এবং কার্যকরী নির্মাণ একক। যা জীবের যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রন করে / From Wikipedia, the free encyclopedia
কোষ হলো সকল জীবদেহের গঠন, বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপ ও বংশগতিমূলক তথ্য বহনকারী একক। এটি জীবের ক্ষুদ্রতম জীবিত একক, অর্থাৎ একটি কোষকে পৃথকভাবে জীবিত বলা যেতে পারে। এজন্যই একে জীবের নির্মাণ একক নামে আখ্যায়িত করা হয়।[1]) ব্যাক্টেরিয়া এবং এ ধরনের কিছু জীব এককোষী। কিন্তু মানুষসহ পৃথিবীর অধিকাংশ জীবই বহুকোষী। মানবদেহে প্রায় ৩৭ লক্ষ কোটি কোষ রয়েছে[2]; একটি কোষের আদর্শ আকার হচ্ছে ১০ মাইক্রোমিটার এবং ভর হচ্ছে ১ ন্যানোগ্রাম। জানামতে বৃহত্তম কোষ হচ্ছে উটপাখির ডিম। চূড়ান্ত কোষ তত্ত্ব আবিষ্কৃত হওয়ার পূর্বে ১৮৩৭ সালে চেক বিজ্ঞানী Jan Evangelista Purkyne অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে উদ্ভিদ কোষ পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে ছোটো ছোটো দানা লক্ষ্য করেন। ১৮৩৯ সালে বিজ্ঞানী Matthias Jakob Schleiden কোষ তত্ত্ব আবিষ্কার করেন এবং তাদের তত্ত্বে বলা হয়, সকল জীবিত বস্তুই এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত এবং সব কোষই পূর্বে অস্তিত্বশীল অন্য কোনো কোষ থেকে উৎপত্তি লাভ করে। জীবের মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ সব ক্রিয়াই কোষের অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়। সকল কোষের মধ্যে কার্যক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বংশগতীয় তথ্য এবং পরবর্তী বংশধরে স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে।
কোষ | |
---|---|
![]() Onion (Allium) cells in different phases of the cell cycle | |
![]() একটি ইউকারিয়োটিক কোষ (বামে) এবং একটি প্রোকারিয়োটিক কোষ (ডানে) | |
শনাক্তকারী | |
মে-এসএইচ | D002477 |
টিএইচ | H1.00.01.0.00001 |
এফএমএ | FMA:686465 |
শারীরস্থান পরিভাষা |
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/1/17/Cork_Micrographia_Hooke.png/640px-Cork_Micrographia_Hooke.png)
কোষ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ সেল (cell)। সেল শব্দটি লেটিন শব্দ সেলুলা থেকে এসেছে যার অর্থ একটি ছোট্ট কক্ষ বা কুঠুরি। এই নামটি প্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী রবার্ট হুক। ১৬৬৫ সালে তার প্রকাশিত একটি গ্রন্থে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে পর্যবেক্ষণকৃত কর্ক কোষের কথা উল্লেখ করেন। এই কোষের সাথে তিনি ধর্মীয় সাধু-সন্ন্যাসীদের ঘরের তুলনা করেছিলেন। এ থেকেই জীবের ক্ষুদ্রতম গাঠনিক ও কার্যকরী এককের নাম দিয়ে দেন সেল। কোষ বিভাজনের পর সৃষ্ট নতুন কোষের বৃদ্ধি থেকে পরবর্তী বিভাজনের শেষ পর্যন্ত সংঘটিত ধারাবাহিক ঘটনাবলীর পর্যায়ক্রমিক আবর্তন কি কোষ চক্র বলে অর্থাৎ কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনদশা চক্রাকারে আবর্তিত হয়। যেহেতু বিভাজন পর্যায়ে আপত্ত কোষ সৃষ্টি হয় তাই কোষ চক্রের বিভাজনদশা হল কোষের জনন দশা। ইস্ট এর ক্ষেত্রে কোষ চক্রের স্থিতিকার 90 মিনিট একটি কোষ্ঠ চক্র সম্পূর্ণ করার সময়কালকে যৌনকাল বলে। ➡️ কোশচক্রের দশা:
কোষ চক্র প্রধানত দুই পর্যায়ে সম্পন্ন হয়, যথা- l. ইন্টারফেজ এবং ll. মাইটোটিক ফেজ। l. ইন্টারফেস: একটি কোষ বিভাজনের শেষ এবং পরবর্তী কোষ বিভাজনের সুর অন্তর্বর্তী দীর্ঘস্থায়ী দশাকে ইন্টারফেস বলা হয়। ইন্টারফেজের বিভিন্ন দশা গুলি হল-G1 দশা, S দশা, G2 দশা।