Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জেনারেল কোটিকালাপুড়ি ভেঙ্কট কৃষ্ণ রাও ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৪তম প্রধান ছিলেন। তিনি ১৯২৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৬ সালে মারা যান। তিনি জম্মু ও কাশ্মীর, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং ত্রিপুরা রাজ্যের গভর্নর ছিলেন। ১৯৪২ সালে রাও ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ২য় লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন পেয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে রাও পূর্ব পাকিস্তানে ৮ম মাউন্টেন ডিভিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং পূর্ব পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এলাকা তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন।[2][3]
জেনারেল কে ভি কৃষ্ণ রাও পিভিএসএম | |
---|---|
সেনাপ্রধান | |
কাজের মেয়াদ ১ জুন ১৯৮১ – ৩১ জুলাই ১৯৮৩ | |
পূর্বসূরী | ওম প্রকাশ মালহোত্রা |
উত্তরসূরী | অরুন শ্রীধর বৈদ্য |
ত্রিপুরার গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৪ – ১৯৮৯ | |
পূর্বসূরী | এস এম এইচ বার্নি |
উত্তরসূরী | সুলতান সিং |
নাগাল্যান্ডের গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৪ – ১৯৮৯ | |
পূর্বসূরী | এস এম এইচ বার্নি |
উত্তরসূরী | ড. গোপাল সিং |
গভর্নর অব মিজোরাম | |
কাজের মেয়াদ মে ১৯৮৯ – জুলাই ১৯৮৯ | |
পূর্বসূরী | হিতেশ্বর সাইকিয়া |
উত্তরসূরী | উইলিয়ামসন এ. সংমা |
জম্মু-কাশ্মীরের গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৯ – ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | জগমোহন |
উত্তরসূরী | জগমোহন |
জম্মু-কাশ্মীরের গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯৩ – ১৯৯৮ | |
পূর্বসূরী | গিরিশ চন্দ্র স্যাক্সেনা |
উত্তরসূরী | গিরিশ চন্দ্র স্যাক্সেনা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | শ্রীকাকুলাম, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সী | ১৬ জুলাই ১৯২৩
মৃত্যু | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ৯২) | (বয়স
সামরিক কর্মজীবন | |
আনুগত্য | ব্রিটিশ ভারত ভারত |
সেবা/ | ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনী |
কার্যকাল | ১৯৪২-১৯৮৩ |
পদমর্যাদা | জেনারেল |
সার্ভিস নম্বর | আইসি-১১৬৪[1] |
ইউনিট | মাহার রেজিমেন্ট |
নেতৃত্বসমূহ | ওয়েস্টার্ন কমান্ড ১৬ কোর ৮ম মাউন্টেন ডিভিশন ২৬ পদাতিক ডিভিশন ১১৪ পদাতিক ব্রিগেড ৩য় মাহার রেজিমেন্ট |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
|
পুরস্কার | পরম বিশিষ্ট সেবা পদক |
কে ভি কৃষ্ণ রাও ১৯৪২ সালের ৯ই আগস্ট ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর মাহার রেজিমেন্টের দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নে কমিশনপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি তরুণ অফিসার হিসেবে বার্মা, নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার এবং বেলুচিস্তান এলাকায় যুদ্ধ করেছিলেন।
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পরেই পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছিলো ঐ যুদ্ধে কৃষ্ণ অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৪৯-৫১ সালে ভারতের ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমী তৈরিতে কৃষ্ণ উপদেষ্টার ভূমিকায় ছিলেন। '৫১ সালেই কৃষ্ণ ওয়েলিংটন সেনানিবাসের স্টাফ কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন, স্টাফ কোর্স শেষ করেই তিনি সেনাসদরে (দিল্লী) জেনারেল স্টাফ অফিসার গ্রেড ২ (জিএসও ২) হিসেবে নিয়োগ পান মেজর পদবীতে, ১৯৫২-১৯৫৫ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। এরপর লেঃ কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়েই তিনি একটি পদাতিক ব্যাটেলিয়নের অধিনায়কের দায়িত্ব পান, ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৯ পর্যন্ত ব্যাটেলিয়ন অধিনায়কের পদে ছিলেন তিনি। ব্যাটেলিয়নটি ছিলো মাহার রেজিমেন্টের তৃতীয় ব্যাটেলিয়ন এবং তখন এটি জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশে ছিলো। এরপরে তাকে কাশ্মীরেই একটি ডিভিশনে জেনারেল স্টাফ অফিসার গ্রেড ১ (জিএসও ১) হিসেবে বদলী করা হয়, এখানে তিনি ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন। এরপরে তিনি আবার ওয়েলিংটন সেনানিবাসের স্টাফ কলেজে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৬৫ সালের ১৫ই মার্চ লেঃ কর্নেল কৃষ্ণ ভারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার পদবী লাভ করেন এবং ১১৪ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডারের মর্যাদা পান যেটা লাদাখ এলাকায় ছিলো, ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি ব্রিগেডটির অধিনায়ক ছিলেন।[1] এরপরেই তিনি রয়েল কলেজ অব ডিফেন্স স্টাডিস (তখন ইম্পেরিয়াল ডিফেন্স কলেজ) এ পড়তে যান, ১৯৬৮ সালে পড়া শেষ করে ভারতে আসেন। ভারতে ফিরে আসার পর '৬৮ সালের ৫ই জানুয়ারী তাকে ভারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার থেকে প্রকৃত ব্রিগেডিয়ার করা হয়, এবং তিনি সেনাসদরে মিলিটারি অপারেশন্স পরিদপ্তরে উপ-পরিচালকের দায়িত্ব পান।[4][5] ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব ছিলেন।
১৯৬৯ সালের জুন মাসের ২৯ তারিখে কৃষ্ণ ভারপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল হয়ে কাশ্মীর প্রদেশের ২৬তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হিসেবে নিয়োগ পান।[6] ১৯৭০ সালের ৪ আগস্ট তিনি প্রকৃত মেজর জেনারেল হন।[7] এরপরেই তিনি ৮ম মাউন্টেন ডিভিশন এর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হন এবং এটা ছিলো পূর্ব পাকিস্তানের কাছে, ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত এই ডিভিশনের কমান্ডার ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলো তার অধীনস্থ সেনারা।
যুদ্ধে সেনাপতি হিসেবে কৃষ্ণর দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে ভারত সরকার তাকে 'পরম বিশিষ্ট সেবা পদক' দিয়েছিলো। ১৯৭২ সালেই কৃষ্ণ পশ্চিম সেনা কমান্ডের চীফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ পান।[8]
এরপর '৭৪ সালে কৃষ্ণ লেঃ জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ষোড়শ কোরের কমান্ডার হন।[9] কোরটি ছিলো কাশ্মীরে। এরপর তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেয়া হয় এবং '৭৮ সালে তিনি সেনাসদরে উপ সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন পশ্চিম সেনা কমান্ড (তখন শিমলাতে) এর অধিনায়ক।
১৯৮১ সালের ১ জুন তিনি সেনাপ্রধান হন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.