কেন ব্যাঙ
উভচর প্রাণীর প্রজাতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
কেন ব্যাঙ (Rhinella marina) যা দানবীয় নিওট্রপিকালটোড বা মেরিন ব্যাঙ নামে পরিচিত। এটি একটি বৃহৎ ,স্থলচর কুনোব্যাঙ যা দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার মুল ভূখণ্ডে পাওয়া যায়। তবে ওশেনিয়া,ক্যারিবীয় দ্বীপ এমনকি উত্তর অস্ট্রেলিয়াতেও এটির খোজ পাওয়া গেছে। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম কুনোব্যাঙ। এটি Rhinella গণের একটি সদস্য কিন্তু পূর্বে এটি Bufo গণের অধীনে বিন্যস্ত ছিল যেখানে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার অনেকগুলো প্রকৃত কুনোব্যাঙ প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
কেন ব্যাঙ একটি উর্বর ব্রিডার। স্ত্রী ব্যাঙ হাজার হাজার ডিমযুক্ত একটি ক্লাম্প প্রসব করে। এর প্রজনন সাফল্য অনেকটা আংশিক যার কারণ হিসেবে বলা যায় এর সুযোগসন্ধানী খাদ্যাভ্যাস। এর এমন এক খাদ্যাভ্যাস রয়েছে যা কিনা অন্যান্য কুনোব্যাঙ প্রজাতির মধ্যে সচরাচর লক্ষ্য করা যায়না। এটি জীব ও জড়বস্তু সবকিছুই খেয়ে ফেলতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাঙের গড় দৈর্ঘ্য ১০-১৫ সেন্টিমিটার (৩.৯-৫.৯ইঞ্চি)। বৃহত্তম রেকর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী একটি নমুনার নাসারন্ধ্র থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ সেন্টিমিটার (৯.৪ ইঞ্চি)।[1]
কেন ব্যাঙ | |
---|---|
পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ব্যাঙ | |
পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী ব্যাঙ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
শ্রেণী: | Amphibia |
বর্গ: | Anura |
পরিবার: | Bufonidae |
গণ: | Rhinella |
প্রজাতি: | R.marina |
দ্বিপদী নাম | |
Rhinella marina | |
কেন ব্যাঙ একটি প্রাচীন প্রজাতি।সাবেক কলম্বিয়ার মায়োসিনের লা ভেন্টা ফউনা হতে প্রাপ্ত একটি কুনোব্যাঙের জীবাশ্মের সাথে দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাংশে প্রাপ্ত আধুনিক কেন ব্যাঙের কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়না।[2] এটি একটি প্লাবনভূমির তলানিতে আবিষ্কৃত হয়েছিল যা নির্দেশ করে যে দীর্ঘসময় ধরে খোলা স্থানসমূহ R.marina এর পছন্দসই আবাসস্থল ছিল।[3]
কেনব্যাঙের বিষগ্রন্থি রয়েছে এবং ব্যাঙ্গাচিগুলো অধিকাংশ প্রাণীদের জন্য অত্যন্ত বিষাক্ত যদি তা পাকস্থলীতে যায়। এর বিষাক্ত ত্বক বন্য ও গৃহপালিত সহ অনেক প্রাণী মারতে সক্ষম বিশেষকরে কুকুরের জন্য এটি বেশ বিপদজনক।[4] এর মাত্রাতিরিক্ত খিদের জন্য একসময় এটিকে প্রশান্ত ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের অনেক অঞ্চলের কৃষিজমিতে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হত। বেতের কীট (Dermolepida albohirtum) দমনে ব্যবহৃত হত বলে এ বিশেষ প্রজাতির নাম রাখা হয় কেন ব্যাঙ। তবে বর্তমানে এসব এলাকার অনেক অঞ্চলেই এখন কেন ব্যাঙকে আপদ ও আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১৯৮৮ সালে "কেন টোডসঃ অ্যান আন ন্যাচারাল হিস্ট্রি" ফিল্মে অস্ট্রেলিয়ায় কেন ব্যাঙকে জমিতে ব্যবহার করায় অস্ট্রেলীয়াবাসীদের যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় তা তুলে ধরা হয় । ফিল্মটি আজও অস্ট্রেলিয়ার সেরা দশ বেস্ট সেলারের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।