কুন্দুজ মাদ্রাসা হামলা
From Wikipedia, the free encyclopedia
কুন্দুজ মাদ্রাসা হামলা ছিল কুন্দুজের দস্ত-ই-আরচি জেলার আখুন্দজাদা গোজোর মাদ্রাসায় আফগান বিমান বাহিনী কর্তৃক চালানো একটি বিমান হামলা, যেখানে ৩০ জন শিশুসহ ৩৬ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে হয়। বিমান হামলার লক্ষ্য ছিল মাদ্রাসার ধর্মীয় সমাবেশ। মাদ্রাসাটিতে একটি স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান হচ্ছিল এবং বিমান হামলার সময় শত শত লোক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল।[3][4]
কুন্দুজ মাদ্রাসা হামলা | |
---|---|
আফগানিস্তান যুদ্ধ (২০০১–২০২১)-এর অংশ | |
স্থান | কুন্দুজ |
তারিখ | ২ এপ্রিল ২০১৮ |
হামলার ধরন | বিমান হামলা |
নিহত | ৩৬ জন নিরস্ত্র নাগরিকের মৃত্যু (জাতিসংঘ এর হিসাব মতে)[1][2] |
আহত | |
হামলাকারী দল | আফগানিস্তান বিমানবাহিনী |
প্রাথমিকভাবে, আফগান সরকার দাবি করেছিল যে, বিমান হামলায় বহু তালেবান নিহত হয়েছে। তারা হামলায় বেসামরিক মানুষের হতাহতের ঘটনাও অস্বীকার করে। কিন্তু পরবর্তীকালে আফগান সরকার স্বীকার করে যে বিমান হামলায় বেসামরিক মানুষও মারা গেছে।[5] দাস-ই-আরচির স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন যে, মাদ্রাসায় কোনো তালেবানের উপস্থিতি ছিল না। [6] তারা আরো বলেন যে, শুধুমাত্র শিশু এবং বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করেই বিমান হামলাটি চালানো হয়েছিল এবং হতাহতদের মধ্যে কোন তালিবান ছিল না।[7]
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলায় প্রায় ৩৬ জন (৩০ শিশু এবং ৬ প্রাপ্তবয়স্ক) নিহত এবং ৭১ জন (৫১ শিশু এবং ২০ জন প্রাপ্তবয়স্ক) আহত হয়। ইউএনএএমএ আরো বলে যে, এই সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে কারণ তারা কেবলমাত্র তিনটি স্বাধীন সূত্র দ্বারা নিশ্চিত করে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেছে। এছাড়া আফগান কর্মকর্তারা যে দাবি করেছিলো 'বিমান হামলার লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র তালেবান', এরও বিরোধিতা করে ইউএনএএমএ।[1]
আফগানিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বিমান হামলায় নিহতদের জন্য ক্ষমা চান।[8] অবশ্য, বিমান হামলায় জড়িত অপরাধীদের কেউই শাস্তি পায়নি।