কুইন্সল্যান্ড
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কুইন্সল্যান্ড (ইংরেজি: Queensland) অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং তৃতীয় জনবহুল অঙ্গরাজ্য যেটি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এর পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণের সীমানায় যথাক্রমে উত্তর টেরিটরি, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলস অবস্থিত। কুইন্সল্যান্ড পূর্ব সীমান্তে কোরাল সাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত। কুইন্সল্যান্ডের জনসংখ্যা ৫,২৬৫,০৪৩ জন। এর আয়তন ১,৮৫২.৬৪২ বর্গ কিলোমিটার।
এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
কুইন্সল্যান্ড | |||||
---|---|---|---|---|---|
| |||||
স্লোগান বা ডাকনাম | সূর্যালোকিত রাষ্ট্র | ||||
নীতি | Audax at Fidelis (সাহসী এবং বিশ্বস্ত) এবং একটি সুন্দর দিন পরবর্তীর জন্য যথাযথরূপ | ||||
Other Australian states and territories | |||||
স্থানাঙ্ক | ২৩° দক্ষিণ ১৪৩° পূর্ব | ||||
রাজধানী শহর | ব্রিসবেন | ||||
বিশেষণ | কুইন্সল্যান্ডার, কলা পানোতসব (প্রচলিত) | ||||
সরকার | সাংবিধানিক রাজতন্ত্র | ||||
• গভর্নর | পাউল দে জার্সি | ||||
• প্রিমিয়ার | অ্যানিস্টাশিয়া প্যাকেসেক () | ||||
অস্ট্রেলীয় অঞ্চল | |||||
• নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে পৃথকীকরণ | ৬ জুন ১৮৫৯ | ||||
• রাষ্ট্র | ১৯০১ | ||||
• অস্ট্রেলিয়া আইন | ৩রা মার্চ ১৯৮৬ | ||||
আয়তন | |||||
• মোট | ১৮,৫২,৬৪২ বর্গকিমি (২য়) ৭,১৫,৩০৯ বর্গ মাইল | ||||
• ভূমি | ১৭,৩০,৬২০ বর্গকিমি ৬,৬৮,১৯৬ বর্গ মাইল | ||||
• পানি | ১,২১,৯৯১ বর্গকিমি (6.58%) ৪৭,১০১ বর্গ মাইল | ||||
জনসংখ্যা (মে, ২০১৮)[1] | |||||
• জনসংখ্যা | ৫,২৬৫,০৪৩ (৩য়) | ||||
• ঘনত্ব | 2.86/বর্গকিমি (৫ম) ৭.৪ /বর্গ মাইল | ||||
উচ্চতা | |||||
• সর্বোচ্চ বিন্দু | মাউন্ট বার্টল ফ্রেয়ার ১,৬২২ মি (৫,৩২২ ফু) | ||||
Gross state product (২০১৪–১৫) | |||||
• পণ্য ($m) | $৩১৩,৮৮৯[2] (৩য়) | ||||
• মাথাপিছু পণ্য | $৬২,৪৯৮ (৫ম) | ||||
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+১০ (এইএসটি) (ডিএসটির সাথে সামঞ্জস্য নয়) | ||||
ফেডেরাল প্রতিনিধিত্ব | |||||
• হাউস সিট | ৩০/১৫০ | ||||
• সিনেট আসন | ১২/৭৬ | ||||
সংক্ষেপ | |||||
• ডাক | QLD | ||||
• আইএসও ৩১৬৬-২ | AU-QLD | ||||
প্রতীক | |||||
• ফুল | অর্কিডের শহর (Dendrobium phalaenopsis)[3] | ||||
• প্রাণী | কোয়ালা (Phascolarctos cinereus) | ||||
• পাখি | ব্রোলগা (Grus rubicunda) | ||||
• মাছ | Barrier Reef anemonefish (Amphiprion akindynos) | ||||
• খনিজ বা রত্ন পাথর | নীলকান্তমণি | ||||
• রঙ | গাঢ় তাম্রবর্ণ (মেরুন)[4] | ||||
ওয়েবসাইট | www |
এই রাজ্যটি রানি ভিক্টোরিয়ার সম্মানে কুইন্সল্যান্ড নামে নামকরণ করা হয়।
কুইন্সল্যান্ডের ইতিহাস হাজার বছর পুরোনো। এখানে আদিবাসীর উপস্থিতি, সেইসাথে পোস্ট ইউরোপীয়দের পত্তন সবই অনেক আগের ঘটনা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতিস্বত্তার আগমন ঘটেছে এই অঞ্চলে।
কুইন্সল্যান্ডে আদিবাসীদের আগমন খ্রিস্টপূর্ব ৫০,০০০ অব্দে। নৌকার মাধ্যমে কিংবা ভেলার মাধ্যমে সম্ভবত এদের আগমন হয়েছে বলে মনে করা হয় এবং এরা ৯০ টি বিভিন্ন ভাষা গোষ্ঠিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
১৬০৬ সালে ডাচ নাবিক উইলিয়াম জ্যানসজুন স্থলের কাছে অবতরণ করেন, কেপ ইয়র্কের পশ্চিম তীরে। এটি অস্ট্রেলিয়ায় ইউরোপীদেযর প্রথম নথিভুক্ত অবতরণ ছিল। এটি ইউরোপীয় এবং আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান মানুষের মধ্যে প্রথম মিলন বলে চিহ্নিত। এর পর ফরাসি এবং স্প্যানিশ অভিযাত্রীরা যথাক্রমে এখানে আসে।
সীমান্ত যুদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রক্তাক্ত একটি যুদ্ধ |
১৮৫১ সালে এক জনসভায় সাউথ ওয়েলস থেকে কুইন্সল্যান্ড বিচ্ছেদ প্রস্তাবিত হয়। ৬ জুন ১৮৬৯ সালে রানি ভিক্টোরিয়া কুইন্সল্যান্ডকে একটি পৃথক উপনিবেশ গঠনের জন্য সকল কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন। ব্রিসবেন এর রাজধানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
১৯০১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি রানি ভিক্টোরিয়ার অ নরাজ্য হিসেবে ঘোষিত হয় অস্ট্রেলিয়া, তখন কুইন্সল্যান্ডের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫ লক্ষ। ১৯০৫ সালে প্রথমবারের মত নারীরা জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়। ১৯০৯ সালে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং ১৯১১ সালে সর্বপ্রথম পোলিও রোগের বিকল্প চিকিৎসা চালু হয়েছিল এখানে, যা এখন পুরো বিশ্বব্যাপী প্রচলিত।
২০০৯ সালে কুইন্সল্যান্ড একটি স্বাধীন উপনিবেশ এবং রাষ্ট্র হিসেবে তার স্বাধীনতার ১৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন করে। কুইন্সল্যান্ড সরকার ও অন্যান্য সংগঠন বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ও প্রকাশনার মাধ্যমে কুইন্সল্যান্ড প্রিমিয়ার আন্না বিলিংগ দ্বারা কুইন্সল্যান্ডের ১৫০ আইকন স্মরণে অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
এর পশ্চিমে, দক্ষিণ-পশ্চিমে ও দক্ষিণের সীমানায় যথাক্রমে উত্তর টেরিটরি, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলস। পূর্ব সীমাস্ত কুইন্সল্যান্ড কোরাল সাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত।
আয়তন বেশি হওয়ার কারণে এই রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায়। পশ্চিমান্চলে সাধারনত হালকা বৃষ্টিপাত এবং গরম আর্দ্র গ্রীষ্মকাল, উত্তরে মৌসুমি আর্দ্রতা, উপকূলীয় অঞ্চলে উষ্ণতা, দক্ষিণ-পূর্ব অন্তর্দেশীয় ঢালু এলাকায় শীতকালের মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে পরিলক্ষিত হয়।
১৯০১ ৪৯৮,১২৯
১৯৫৪ ১,৩১৮,২৫৯
১৯৬১ ১,৫১৮,৮২৮
১৯৭১ ১,৮৫১,৪৮৫
১৯৮১ ২,৩৪৫,২০৮
১৯৯১ ৩,০২৯,৯৫০
২০০১ ৩,৬২৮,৯৪৬
২০১১ ৪,৫১৬,২০০
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কুইন্সল্যান্ডের প্রধান ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোকে নিম্নরুপে ভাগ করা যায়।
রোমান ক্যাথলিক চার্চঃ ২৩.৮%
নাস্তিকঃ ২২.১%
অ্যাংলিকান চার্চঃ ১৮.৯%
ইউনিটি চার্চঃ ৮.৪%
প্রেসবিটারিয়ান এবং রিফর্মড চার্চঃ ৩.৫%
অন্যান্যঃ ২৫.৩%
১৮৮০-৯০ সালে নদীবন্দর তৈরি হয় উপকূল অঞ্চলে, ফিটজোরয় নদীর নিকটে। ব্রডমাউন্ট ছিল উত্তরে এবং পোর্ট আলমা ছিল দক্ষিণে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই বন্দর গুলোতে মালামাল আনানেয়ার জন্য রেল চালু করা হয়। ১৮৯৮ সালে ব্রডমাউন্ট এবং ১৯১১ সালে পোর্ট আলমা রেল চালু হয়। ১৯৯২ এবং ২০০২ সালের মধ্যে, কুইন্সল্যান্ড রাষ্ট্রে পণ্যের যোগান অন্যান্য প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক যোগানকে ছাপিয়ে গিয়েছিল, যে যুগে কুইন্সল্যান্ডের জিএসপি ৫.০% হয়েছিল। যখন অস্ট্রেলিয়ার মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির প্রতি বছর গড় ৩.৯% বাড়ে, অস্ট্রেলিয়ান জিডিপির সে সময়ের মধ্যে ১০.৩% বৃদ্ধি করায় কুইন্সল্যান্ডের অবদান রয়েছে যা রয়েছে মাত্র তিনটি দেশের। ২০০৩ সালে ব্রিসবেন ছিল বসবাসের জন্য সবচেয়ে কম খরচের শহর দেশের অন্য রাজ্যের রাজধানীগুলোর মধ্যে।
এখানে কলা, আনারস, বাদাম জাতীয় ফলের চাষ হয়। এখানে সুতা, আখ, শাক সবজি ইত্যাদি উৎপাদিত হয়। এখানে কয়লা, জিংক, সোনা, তামা, রুপা পাওয়া যায়। এখানে তামা পরিশোধনাগার রয়েছে। এখানে উপকূল অঞ্চলে আখ থেকে চিনি উৎপাদনের অনেক কারখানা আছে।
পর্যটনে কুইন্সল্যান্ড শীর্ষস্থানীয়। প্রতিবছর এই রাজ্যে দলে দলে লক্ষ লক্ষ দেশি ও বিদেশি পর্যটক আসে। কুইন্সল্যান্ড পর্যটন শিল্প থেকে প্রতি বছর ৪ বিলিয়ন ডলার আয় করে, যা কুইন্সল্যান্ডের জিএসপির ৪.৫%।
এখানে পর্যটকদের জন্য প্রধান আর্কষণ হল ব্রিসবেন, পোর্ট ডগলাস, ডেইন্টি রেইনফরেস্ট, গোল্ড কোস্ট, দ্যা গ্রেট বেরিরার রিফ, র্হাভে বে এবং ফ্রেশার আইল্যান্ড। আরো রয়েছে টাউন্সভিল, ম্যাগনেটিক আইসল্যান্ড, নর্থ ও সাউথ স্টেডব্রক, সানসাইন কোস্ট, হ্যামিল্টন আইল্যান্ড, ডেড্রিম আইল্যান্ড এবং হোয়াইট সানডেস যা এয়ারলাই বীচ ও হোয়াইট হ্যাভেন বীচ নামেও পরিচিত।
কুইন্সল্যান্ডে ব্যাপক সংখ্যক বুনো জীবজন্তুর র্পাক আছে। গোল্ডকোস্টে রয়েছে কারুমবিন অভয়ারণ্য, ডেভিড ফেলে অভয়ারণ্য। সানসাইন কোস্টে রয়েছে আন্ডারওয়াটার ওয়ার্ল্ড এবং অস্ট্রেলিয়া চিড়িয়াখানা যেটা গ্লাস হাউজ মাউন্টেন এর নিকটে অবস্থিত।
কুইন্সল্যান্ডের যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক গুলো জাতীয় হাইওয়ে দ্বারা পরিচালিত হয়। বিশেষত দক্ষিণ পূর্ব কুইন্সল্যান্ডে যেমন M1। পরিবহন ও প্রধান সড়ক বিভাগের দ্বারা প্রধান সড়ক ও মোটরগাড়ি এবং স্থানীয় মোটরওয়েজ চালনাসহ গণপরিবহনের উন্নয়ন কাজগুলো সম্পাদিত হয়। রেলসেবা প্রদানকারীরা হল কুইন্সল্যান্ড রেল এবং পেসিফিক ন্যাশনাল।
গভর্নর এবং প্রতিনিধিত্বকারীদের আনুষ্ঠানিকভাবে নিযুক্ত করা হয় অস্ট্রেলিয়ার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নির্বাহী ক্ষমতাবলে। যে প্রতিনিধিত্বকারীগণ নামমাত্র পদধারী হয়। বর্তমান গভর্নর মান্যবর এসি পল দে জার্সি। একজন স্পিকার সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত হয় সংসদের অধিবেশন পরিচাননার জন্য এবং সংসদসদস্য ও সরকারের মধ্যকার যোগাযোগ রক্ষার জন্য।
কুইন্সল্যান্ডের সংসদ এক কক্ষবিশিষ্ট। এটা অস্টেলিয়ার একমাত্র সংসদ যেটি এক কক্ষবিশিষ্ট। ১৯২২ সাল পর্য়ন্ত এখানে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার অস্তিত্ব ছিল।
কুইন্সল্যান্ডের বিচার ব্যবস্থা সুপ্রিম কোর্ট ও জেলা আদালত নিয়ে গঠিত, যা কুইন্সল্যান্ডের সংবিধান এবং অন্যান্য বিভিন্ন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
কুইন্সল্যান্ড ৭৩ টি স্থানীয় সরকারশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত যে গুলোকে সিটি,টাউন, সায়ার বা রিজিয়ন বলা হয়। প্রতিটি এলাকায় একটি কাউন্সিল আছে যা সরকারী সেবা
প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ।
এই রাজ্যের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় "কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়" ১৯০৯ সালে গঠিত হয়। এটি পরবর্তীতে ১৯৪৫ সালে সেন্টলুসিয়াতে স্থানান্তর করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের সেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি।
উত্তর কুইন্সল্যান্ডের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জেমস ক্রুক বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে ও ১৯৮৯ সালে যথাক্রমে গ্রিফট ইউনিভাসিটি এবং কুইন্সল্যান্ড প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
১৯৮৯ সালে কুইন্সল্যান্ডের প্রথম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় রবিনার গোল্ডকোস্টে যেটার নাম বন্ড ইউনিভাসিটি। ১৯৯২ সালে সেন্ট্রাল ইউনিভাসিটি অব কুইন্সল্যান্ড ও ইউনির্ভাসিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ড, বিশ্ববিদ্যালয় দুটি টেকনোলোজি ইনস্টিটিউট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায়।
১৯৯৪ সালে এখানে ইউনির্ভাসিটি অব সানসাইন কোস্ট নামে নতুন আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।
কুইন্সল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সব বিভাগেই প্রতিনিধিত্ব করে এবং বহুসংখ্যক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্ট এখানে আয়োজন করা হয়।সবচেয়ে জনপ্রিয় শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া রাগবি লিগ, রাগবি ইউনিয়ন ও ক্রিকেট। রাগবি লিগ কুইন্সল্যান্ডের খেলাধুলার সবচেয়ে বড় ইভেন্ট। ২০১৩ সালে কুইন্সল্যান্ডে এক ক্রীড়া ক্যালেন্ডারে এই ইভেন্টটিতে রেকর্ড আটবার "কুইন্সল্যান্ড ম্যারুন" সিরিজ জিতে।
"ব্রিসবেন ব্রুংকস" রাষ্ট্রের যেকোনো ক্রীড়াঙ্গনে সর্বাধিক সফল দল যারা এনআরএল রাগবি লিগে তিনটি প্রিমিয়ার লিগ লাভ করে এবং সব মিলিয়ে তাদের ২৩ বছরের ইতিহাসে ৬ টি অর্জন রয়েছে। ব্রিসবেন ব্রুংকস ২০১৫ সালের এনআরএল লিগে অংশগ্রহণ করে। ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে নর্থ কুইন্সল্যন্ড কাউবয় টিমের কাছে পরাজিত হয়। এই ফাইনালটি এনআরএল এর ইতিহাসের অন্যতম সেরা গ্রান্ড ফাইনাল বলে বিবেচনা করা হয়। কুইন্সল্যান্ডের অন্য দুটি দল হল যথাক্রমে নর্থ কুইন্সল্যান্ড কাউবয়েজ এবং গোল্ডকোস্ট টাইটানস।
কুইন্সল্যান্ডের আধিপত্য শুধু রাগবিতেই সীমাবদ্ধ নয়। ২০০১-২০০৩ সালে ব্রিসবেন লায়ন এএফএল এ টানা তিন বার প্রিমিয়ারশিপ লাভ করে। ব্রিসবেন রোয়ার এফসি ২০১০-১১ এবং ২০১১-১২ মৌসুমে পরপর দুইবার লিগ প্রিমিয়ারশিপ জয় করে। এছাড়া তাদের রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ফুটবলে টানা ৩৬ টি ম্যাচ জেতার রেকর্ড। জাতীয় বাস্কেটবল লিগে এই অঞ্চলের দলগুলো হল ব্রিসবেন বুলেট, কাইরান তাইপানস।
সাঁতারও কুইন্সল্যান্ডে বেশ জনপ্রিয়। সাঁতারে অস্টেলিয়া দলের বেশিরভাগ সদস্য ও শিরোপাধারী এই রাজ্যের। ২০০৮ এর অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়ার ৬টি মেডেলের সব গুলোই কুইন্সল্যান্ডের সাঁতারুদের অর্জন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.