Loading AI tools
স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কাজী এম বদরুদ্দোজা (১ জানুয়ারি ১৯২৭-৩০ আগস্ট ২০২৩) ছিলেন বাংলাদেশের কৃষিবিজ্ঞানী। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কৃষি গবেষণা ব্যবস্থার একজন জাতীয় বিজ্ঞানী ইমেরিটাস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তার নামানুসারে কাজীপেয়ারা নামে একটি জাতের পেয়ারা আবিষ্কার করেন। কৃষি বিজ্ঞানে অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে ভূষিত হন।[1][2]
ডক্টর কাজী এম বদরুদ্দোজা | |
---|---|
জন্ম | বগুড়া জেলা (মাতুলালয়) | ১ জানুয়ারি ১৯২৭
মৃত্যু | ৩০ আগস্ট ২০২৩ ৯৬) উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ঢাকা | (বয়স
সমাধি | পারিবারিক কবরস্থান, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | কৃষি বিজ্ঞানী |
সন্তান | ২ ছেলে, ১ মেয়ে |
পুরস্কার | স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (২০১২) |
কাজী এম বদরুদ্দোজা ১ জানুয়ারি ১৯২৭ সালে বগুড়ায় মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। তিনি ১৯৪২ সালে গোবিন্দগঞ্জ হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৪ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। ১৯৪৫ সালে ভর্তি হন ঢাকার তেজগাঁয়ে অবস্থিত ইংল্যান্ডের রিডিং ইউনিভার্সিটির সিলেবাস অনুসারে পরিচালিত তৎকালীন বেঙ্গল কৃষি ইনস্টিটিউট (বর্তমানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) এবং ১৯৪৮ সালে বিএজি ডিগ্রী অর্জন করে। তিনি ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম, এসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে আমেরিকার লুইজিয়ানা থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পাট ও গম আবাদ বিষয়ে জ্ঞান লাভসহ জেনেটিক্সের উপর ডিপ্লোমা লাভ করেন সুইডেন থেকে।[2][3]
বিবাহিত জীবনে তার দুই ছেলে কাজী মোর্ত্জা কবির (লেমন) ও কাজী সাজিউজ্জামান এবং এক মেয়ে তাসনীম।[3]
কাজী এম বদরুদ্দোজা পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনুমোদনে পশ্চিম পাকিস্তান রিসার্চ কাউন্সিলে এগ্রিকালচার রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে একজন রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ লাভ করে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি পশ্চিম পাকিস্তান রিসার্চ কাউন্সিলের পরিচালক ও মহাপরিচালক হয়েছিলেন।[3][2]
তিনি ১৯৫৭ সালে ইকোনমিক বোটানিস্ট (ফাইবার) পদ লাভ করেন।[2][3]
পাকিস্তান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিলের পরিচালক, নির্বাহী পরিচালক ও মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে তিনি প্রথম দেশে উচ্চ ফলনশীল গম চাষের প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।[3]
১৯৭৩ সালে তিনি পাকিস্তান কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের পদ থেকে পরিত্যাগ করে বাংলাদেশের কৃষি গবেষণার প্রথমে পরিচালক ও পরে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[3]
তিনি বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব এগ্রিকালচারের সভাপতি ও বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।[2][3]
কাজী এম বদরুদ্দোজা পেয়ারার একটি জাত উদ্ভাবন করেন, যা তার নামানুসারে 'কাজী পেয়ারা' নামে নামকরণ করা হয়েছে।[3][2]
ধানের বাইরে বাংলাদেশের প্রধান দুটি দানাদার ফসল গম ও ভুট্টা চাষ শুরুর ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেন তিনি। আধুনিক জাতের গম চাষ বাংলাদেশে শুরু এবং ভুট্টার বাণিজ্যিক আবাদ তার বদান। ভুট্টা থেকে তেল উদ্ভাবন এবং তা পোলট্রি শিল্পের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার শুরুর গবেষণাও তার। ছত্রাকের গণ ‘কাজিবোলেটাস’ নামকরণও করা তার নাম থেকে।[3][2]
কাজী এম বদরুদ্দোজাকে পাকিস্তান আমলে তিনি খেতাব লাভ করেন তঘমা-ই-পাকিস্তান এবং তঘমা-ই-ইমতিয়াজ।[3]
১৯৮২ সালে তিনি লাভ করেছিলেন বেগম জেবুন্নেসা ও কাজী মাহবুব উল্লাহ কল্যাণ ট্রাস্ট সম্মাননা।[3]
১৯৮৫ সালে তিনি ন্যাশনাল সায়েন্টিস্ট পদে বরিত হন।[3]
১৯৯৯ সালে বিশ্ব কৃষি গবেষণা সংস্থা আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে তাকে সম্মাননা প্রদান করে।[3]
কৃষিক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[4][5][6] হিসাবে পরিচিত স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার প্রদান করা হয়।[7]
কাজী এম বদরুদ্দোজা ৩০ আগস্ট ২০২৩ বিকেল ৪টায় বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ঢাকার উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[8][9]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.