কসোভোর ইতিহাস
ইতিহাসের বিভিন্ন দিক / From Wikipedia, the free encyclopedia
কসোভোর ইতিহাস এর প্রতিবেশী অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িত। "কসোভো" নামটি এসেছে সার্ব শব্দ "কোস" থেকে, যার হল অর্থ কালো পাখি।[1] মূলত কসোভো পোলজে নামটি থেকে সংক্ষিপ্ত করে দেশটির এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে "কালো পাখির বিচরণ ক্ষেত্র"। কসোভোয় অটোমান সাম্রাজ্যের ও বলকান রাষ্ট্রসমূহের জোটের মধ্যে যুদ্ধ হয়ে, যা কসোভোর যুদ্ধ নামে পরিচিত। আলবেনীয় ভাষায় কসোভোর পশ্চিম অংশকে বলা হয় রাফশি আই ডুকাগজিনিত অর্থাৎ "ডুকাগজিনের মালভূমি"।[2]
উসমানীয়রা ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে কসোভোকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রদেশে রূপান্তর করেছিল।[3] উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রশাসন যখন কসোভোর ভিলায়েত গঠন করেছিলেন, তখন থেকে কসোভো নামটি তখন থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রাচীনকালে এই অঞ্চলটি দার্দানিয়ার অংশ ছিল এবং দর্দানিয়া অঞ্চলটি মোয়েশিয়া নামক রোমান প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। মধ্যযুগে এ অঞ্চলটি বুলগেরীয় সাম্রাজ্য, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ও পরবর্তী কালে মধ্যযুগীয় সার্বীয় রাজ্যগুলোর অংশ হয়ে ওঠে। কসোভোর যুদ্ধের ঠিক ৭০ বছর পরে কসোভো প্রদেশ অটোমান সাম্রাজ্যের অংশ হয়। ১৯১৩ সালে কসোভো ভিলায়েত সার্বিয়ার রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯১৮ সালে যুগোস্লাভিয়া গঠিত হয়। যুগোস্লাভিয়ার সাথে সার্বিয়া যুক্ত হওয়ায় কসোভো যুগোস্লাভিয়ার অংশে পরিণত হয়। জোসিপ ব্রোজ টিটোর নির্দেশে ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে কসোভো স্বায়ত্তশাসন লাভ করে এবং যুগোস্লাভিয়ার ১৯৭৪ সালের সংবিধানের ফলে এই স্বায়ত্তশাসনের পরিধি উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত হয়। তবে ১৯৯০ সালে কসোভোর স্বায়ত্তশাসন ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হয়। ১৯৯৯ সালে কসোভো ইউএনএমআইক-এ পা দেয়।
২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কসোভোর জনপ্রতিনিধি সমাজ একতরফাভাবে কসোভোর স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরবর্তীকালে কসোভো প্রজাতন্ত্রের সংবিধান গৃহীত হয়, যা ২০০৮ সালের ১৫ জুন কার্যকর হয়।[4]