Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কল্পনা, স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা নামেও পরিচিত, এটা সৃজনশীল প্রতিচ্ছবি তৈরি করার ক্ষমতা, ধারণা এবং ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের অনুভূতির বাইরে মন থেকে অনুভব করা ঠিক দেখা ও শোনা এর অনুরূপ সরাসরি অনুভব। সমস্যার সমাধানে জ্ঞানের প্রকৃত প্রয়োগে কল্পনা সাহায্য করে এবং এটি অভিজ্ঞতা ও নিয়মিত শিক্ষা একীভূত করার অবলম্বন।[1][2][3][4] কল্পনার মৌলিক প্রশিক্ষণ হচ্ছে গল্পবলার (বর্ণনা) প্রতি মনোযোগের সাথে শোনা,[1][5] যেখানে সঠিক শব্দের চয়ন এবং "গোটা বিশ্বকে আলোড়িত করাই" মুখ্য বিষয়।[6]
এটা সহজাত ক্ষমতা হিসাবেই গ্রহণ করা হয় এবং চারিপাশের পৃথিবীর থেকে ইন্দ্রিয় অনুভবদ্বারা প্রাপ্ত মনের আংশিক বা সম্পূর্ণ সক্রিয় ব্যক্তি প্রতিক্রিয়া। "কল্পনা" শব্দটি টেকনিক্যালি মনোবিজ্ঞানে ব্যবহার করা হয় কোন বিষয় সম্বন্ধে ব্যক্তি অনুভূতির বহিঃপ্রকাশের প্রক্রিয়া হিসাবে মন/চেতনাকে জাগানো। এই ব্যাখা সাধারণ ভাষায় আমাদের বোঝা "কল্পনা" এর সাথে আপাত সাংঘর্ষিক তাই কিছু মনোবিজ্ঞানী প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে যে, "কল্পনা করা" অথবা "কল্পনাকারী" অথবা "পুনর্গঠনকরা" হিসাবে বিবেচনা করা যা "কার্যক্ষম" অথবা "গঠনমূলক" কল্পনা। গঠনমূলক কল্পনাকে পুনরায় বিভক্ত করা হয়েছে, স্বেচ্ছা ভিত্তিক স্বাভাবিক কল্পনা যা ব্যক্তির বাইরের দৃশ্যমান চারিত্রিক ভিত্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একে মানসিক সমন্বয় বলাহয় এবং অপরটি হচ্ছে স্বতঃস্ফূর্ত স্ববিরোধী ও অনিয়ন্ত্রিত গল্পের ন্যয় কল্পনা যা আমরা স্বপ্নে দেখে থাকি। কল্পিত কল্পনা, গল্পাকারে বা স্মৃতিচারণ উভয়ই মনের দৃষ্টিতে দৃশ্যমান হয়।
কল্পনাকে রূপকথা বা দিবাস্বপ্ন হিসাবেও প্রকাশ করা সম্ভব। শিশুরা প্রায়শ কল্পনার চর্চা করে থাকে কোনকিছুর বর্ণনা এবং নিজের মতো সাঁজিয়ে বোঝার জন্যে। যখনই শিশুরা কল্পনার মধ্যে প্রবেশ করে তারা দুইটি ধাপ অনুসরণ করেঃ প্রথমটি, তারা সেই চরিত্রকে অনুকরণ করতে থাকে কল্পনাকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্যে, এবং দ্বিতীয় ধাপে, তারা বাস্তব জগতের মিশ্রণে কল্পনাকে সমৃদ্ধ করে এবং কল্পিত পরিস্থিতির মাঝেই পুনরায় চলতে থাকে।[7]
সাধারনভাবে বললে, এটি একটি প্রক্রিয়া যার সাহায্যে মনের মাঝে পূর্বে দেখা, শোনা বা অনুভবের স্মৃতি অথবা আংশিক অথবা পূর্ব অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ ব্যতীত নতুন কোন প্রতিচ্ছবি বা ছাপ গঠিত হয়। নিম্নে কিছু সাধারন উদাহরণ দেওয়া হল:
কল্পনা, কোনপ্রকার আবশ্যিক ব্যবহারিক জ্ঞানার্জনের বাধ্যবাধকতার মাঝে সীমাবদ্ধ নয়, বাস্তবতার বন্ধনমুক্ত। সামাজিক ভাবে পারস্পারিকের মাঝে সুন্দর সম্পর্ক ও বোঝাপড়ার জন্যে অন্যের স্থানে নিজেকে দাড় করিয়ে অনুভব করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আলবার্ট আইনস্টাইন বলেন, "কল্পনা ... জ্ঞানের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান সীমাবদ্ধ, কল্পনা সারা বিশ্ব ঘিরে।"[8] তথাপি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কল্পনার ব্যবহার খুবই সীমিত; এমনকি কোন ব্যক্তির কল্পনা চিন্তার মৌলিক ধারার অথবা বাস্তবিক অনিবার্য রীতি অথবা স্বাভাবিকভাবে সংঘটনের নিয়ম বিরোধী হলে সাধারণভাবে মানসিকরোগের পেশাজীবীরা পাগল হিসাবে চিহ্নিত করে। কল্পনাকে একই সীমাবদ্ধতার মাঝে বেধে রাখা হয় বিজ্ঞানসম্মত অনুমানধারাতে। বিজ্ঞানের অনেক অনুসন্ধানের অস্থায়ী ব্যাখ্যায় কল্পনার সাহায্য নেয়া হয়, তবে এই অনুমান পূর্বের সমাধানকৃত উপাদানের গণ্ডিতে থাকা এবং বিষয় ভিত্তিক বিজ্ঞানের ধারার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা আবশ্যিক।
কল্পনা ক্রিয়াকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে তত্ত্ব এবং ধারণা গড়ে তোলার মনের ভিতরের পরীক্ষাগার। কল্পনা বাস্তবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যেকোন বিষয় তুলে নিয়ে জটিল ইফ-ফাংশন এর মাধ্যমে নতুন নিজস্ব ধারণা প্রকাশ করে। মনের এই অংশ নতুন ও পুরানো সকল কর্মকাণ্ডের সহজ এবং উৎকৃষ্ট পথ দেখায়। সমাজবিজ্ঞানের ভাষায়, কল্পনা সমাজের বাইরের কোন বিষয়কে অনুভব করার শক্তি যা গৃহীত হয় আংশিক বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি ও সামাজিকভাবে গড়ে ওঠা পারস্পরিক সৌহাদ্য থেকে। এটা অগ্রযাত্রার সেই তত্ত্বকে পথ দেখায় যা স্বাভাবিকের প্রশ্নের বাইরে। এই পরীক্ষামুলক চিন্তাধারাকে অলীক চেতনার মাঝে নিরাপদ ভাবে প্রবাহিত পরীক্ষা করা সম্ভব এবং সফলভাবে সঠিক হিসাবে প্রমাণিত হলে বাস্তবে প্রয়োগ সম্ভব। কল্পনা মনের নতুন উন্নয়নের চাবিকাঠি এবং একে অপরকে আংশিদার করে সম্মিলিত উন্নয়ন সম্ভব।
স্বেচ্ছাসেবক এর ভূমিকায় কল্পনা শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে:
মনোবিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা শুধুমাত্র কল্প চিন্তার সৃজনশীল আকার এবং শৈল্পিক অভিব্যক্তির উপর সীমাবদ্ধ রাখেনি একই সাথে প্রাত্যহিক বাস্তবসম্মত কল্পনাকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। [9] রূথ এম.জে. বাইনি প্রতিদিনের যুক্তি নির্ভর কল্পচিন্তার উপর প্রস্তাব রাখেন যে এটি সামাজিক ধারার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা বাস্তব জ্ঞানেরই বিকল্প হিসাবে বহিঃপ্রকাশ।[10] শিশুরা তাদের প্রাথমিক সময়টা বাস্তবের বিকল্প কল্পনাতে ব্যস্ত থাকে।[11] সাংস্কৃতিক মনোবিজ্ঞান বর্তমানে প্রাত্যহিক স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যক্তি ও সামগ্রিক আঙ্গিকে মনের সর্বোচ্চ ব্যবহারের উপর কল্পনার দৃষ্টিভঙ্গিকে বিস্তৃত করছে।[12] এর সাহায্যে মানুষের পক্ষে ভাষাগত ও নমুনা উভয় মাধ্যমেই সুনিপূণভাবে জটিল ও দ্বৈত অর্থের বাস্তব অনুভব প্রকাশ করা সম্ভব।
স্মৃতি ও কল্পনা একে অপরকে প্রভাবিত করে।[13] কার্যকরী চুম্বকীয় অনুরণন প্রযুক্তি স্মরণশক্তি ও কল্পনার আশ্রয়ে প্রতিচ্ছবি তৈরি করে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ করে।"[13] নিজস্ব স্বকীয় ও বহিঃস্থ প্রভাবের এক কার্যকর সামঞ্জস্যতায় তথ্যের যথাযথ ব্যবহারে যেকোন স্মৃতি স্বল্প মেয়াদের পরিবর্তে দীর্ঘ মেয়াদে মস্তিষ্কে জমা রাখার সম্ভবনা বৃদ্ধি করে। এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ যেকোন অভিজ্ঞতার স্মৃতি মনের গভীরে গেঁথে থাকে এবং সহজেই তাকে স্মরণ করা সম্ভব। এর প্রতিটি ধাপে তথ্য প্রয়োজনীয় উপাত্ত অনুসারে সুবিন্যস্ত ভাবে মস্তিষ্কে সজ্জিত থাকে।[14] এই তথ্য সমূহ যেকোন তরুণ শিক্ষার্থীদের নতুন কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা এবং ভবিষ্যৎ সৃজনশীল কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। মস্তিষ্কের কল্পনা নিয়ন্ত্রণে নিওকরটেক্স এবং থালমাস মূল ভুমিকা হিসাবে কাজ করে তবে সক্রিয় চেতনা এবং অবচেতন চিন্তাধারাসহ মস্তিষ্কের আরও কিছু ক্রিয়াকাণ্ড সহায়ক ভূমিকা পালন করে।[15] যদিও কল্পনা অনেক ভিন্ন ভিন্ন ক্রিয়াকলাপের যেমন- আবেগ, স্মৃতি, চিন্তা প্রভৃতির মধ্যে দিয়ে যায় এবং মস্তিষ্কে বহুমাত্রিক কাজ সংগঠিত হলেও থালমাস ও নিওকরটেক্সই মূল কেন্দ্রস্থান যেখানে কল্পনা প্রক্রিয়ার ছাপ থাকে।[16] কীভাবে মস্তিষ্কে কল্পনা ও স্মৃতি সংযুক্তির পথ তৈরি হবে সেই দিক নির্দেশনা নির্ধারিত হয় প্রতিটি মানুষের অতীত স্মৃতির সাথে কল্পনার বন্ধন তৈরির সামর্থের উপর।
জিন পিয়াজেট দেখিয়েছেন যে মানুষের পারিপার্শ্বিকের প্রতি ব্যক্তি দৃষ্টিভঙ্গির উপর উপলব্ধি নির্ভর করে। জগতের দৃষ্টভঙ্গি হচ্ছে কল্পনার দ্বারা বিদ্যমান ঘটনা প্রবাহের ভিন্ন ভিন্ন উপলব্ধির সন্নিবেশকরণ। পিয়াজেট উদাহরণ হিসাবে একটি বালিকার কথা তুলে ধরেছেন যে সে বলে, যখন সে রাতে গ্রামের পথ ধরে হাঁটে চাঁদ তাকে অনুসরণ করে। একই রকমভাবে, দৃষ্টিভঙ্গির সাথে উপলব্ধি একত্রিকৃত হয়েই কোন কিছু জানতে/বুঝাতে সহায়তা করে। উপলব্ধি প্রকাশ ও অনুভবের জন্যে কল্পনা অনিবার্য।[17]
কল্পনা বিশ্বাস থেকে কিছুটা পৃথক কারণ ব্যক্তি নিজের মনের অনুধাবন থেকে বুঝে নেয়, জরুরী নয় যে সেই বিষয়টির সাথে পারিপার্শ্বিক জগতের ক্রিয়াকলাপের সম্পৃক্ততার; যেখানে বিশ্বাস ধারণ করে সত্যকে যা ব্যক্তির ও পারিপার্শ্বিক উভয়ের সাথে মিশে থাকে। কল্পনার পরিধি যেকোন নিশ্চিত সীমাবদ্ধতার বাইরে (অর্থঃ সুনিশ্চিত স্ববিরোধ এড়িয়ে যায়), এটা শুধুমাত্র মনের তাৎক্ষণিক সাধারণ পরিস্থিতিই বিবেচ্য থাকে। অপর পক্ষে, বিশ্বাস সম্পৃক্তত থাকে ঘটনার বাস্তবিক ক্রিয়ার সাথে; কল্পনাতে সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক সম্ভবনা নিজেকে কোটিপতি ভাবা, কিন্তু যতক্ষন না এটা বাস্তবে রূপ নেবে বিশ্বাস হিসাবে একই ব্যক্তি গ্রহণ করবে না। বিশ্বাস, সর্বদা চেষ্টা করে যেকোন বিষয়ের পূর্ব অভিজ্ঞতা অথবা পরিস্থিতির সম্ভবনার উপর আস্থা অনুযায়ী বিশ্লেষণ করার; যেখানে কল্পনা প্রকৃতপক্ষে এর থেকে মুক্ত। প্রযুক্তিগত উন্নয়নই কল্পনা ও বিশ্বাসের মাঝে বিভক্তি রেখা আকার বৃদ্ধি করে। এইসুত্র ধরে কিছু চূড়ান্ত নমুনায় দেখা যায়, আদিম সংস্কৃতির মানুষ যে অসুস্থ চিন্তাধারার মাঝে বেড়ে উঠে এবং চিন্তার বিকাশ নোংরা ও বিকৃত ফ্রেমে বদ্ধ থাকে তাদের বিশ্বাসে বিজ্ঞান অপেক্ষা প্রতিকূল কালোযাদুর প্রভাব বেশি থাকে। রোগনিরূপণবিদ্যায়ের উপর অজ্ঞতা থাকলে যেকেউ এই ব্যখাকে মেনে নিবে এবং বিশ্বাস করবে; কখনো কখনো মৃত্যুকে অশুভ প্রভাব বা ইঙ্গিত হিসাবে চিহ্নিত করে।
এখান থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, কল্পনা ও বিশ্বাসের পার্থক্য নির্ভর করে ধর্ম, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রভাব ও অনুশীলনের এর উপর।
কল্পনার দৃষ্টিতে একনিষ্ঠভাবে কোন বাস্তব দৃশ্যকে অনুভব করতে বলা হয় একইসাথে মানসিকভাবে ভেঙ্গে বা মিশ্রণ করে দেখার জন্যে ব্যক্তিকে এফএমআরআই এর মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা যায় ব্যক্তির মস্তিষ্কের অসিপিটাল লোব, ফ্রন্টোপেরিয়েতাল, পোস্টেরিয়েটাল পেরিয়েতাল, প্রিকানিউস এবং ডরসোলাটেরাল প্রিফ্রন্টাল অংশে আলোড়ন পাওয়া যায়।[18]
ইন্দ্রিয় দ্বারা সংগৃহীত তথ্যের ব্যাখ্যাই জগতের অভিজ্ঞতা, যেকোন ঘটনা বাস্তবিক হিসাবে অনুভত হয় সেই বিষয়ের সর্বাধিক ধারণা ও কল্পনার মিশ্রণ থেকে। মতিভ্রমশীল ঔষধসেবীদের বলা হয় উচ্চমাত্রায় বা অতি কল্পনাপ্রবণ। এই ব্যবধানটি শুধুমাত্র সামান্য মাত্রার যা বিশ কিছু অনুঘটকের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে থাকে, সেগুলি- মস্তিষ্ক রসায়ন, সম্মোহন, অথবা অপর চেতনার পরিবর্তিত রাজ্যের, ধ্যান, বিভিন্ন মতিভ্রমশীল ঔষধ, মস্তিষ্কের নিদৃষ্ট অংশে সরাসরি বৈদ্যুতিক প্রবাহ চালনা। কল্পনা ও অনুভূত বাস্তব এর মাঝের ব্যবধান মনোব্যাধির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। অনেক মনরোগকেই বিশেষায়িত করায়ায় ব্যক্তির ইন্দ্রিয় সংবেদনা ও আভন্তরীন জগতের মাঝে পৃথক করতে পারার অক্ষমতাকে। কিছু সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বাস্তব জগতকে মনের মায়া হিসাবে বিবেচনা করে, যেমন বুদ্ধ মায়া, অথবা সম্পূর্ণ বিপরিত ধারায় মেনে চলা এবং বর্তমানেই রাজ্যের স্বপ্নে বিভোর থাকা, অস্ট্রেলিয়ান আবরগিনিস এর মতো স্বপ্নক্ষেত্র ধারণা উপর চলা।
কল্পনা, মানুষের বাহ্যিক সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্তির উপায়; এর ফলে যেকেউ পেতে পারে বাস্তবিক সুখের উৎস অথবা হতে পারে অযাচিত দুর্দশার স্বীকার। এই ধারনার সাথে সংগতিপূর্ণভাবে দেখা যায় কাল্পনিক সুখের ও কষ্টের ঘটনা আবেগের সাথে একত্রিত হয়ে মানসিক উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতার উপর আবেগের প্রভাব বিস্তার করতে দেখা যায়।[19] একজন ব্যক্তির প্রতি তার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় এমনকি অপরিচিতদের কাছ থেকে অলীক কল্পনার উপর ভরকরা অতিপ্রত্যাশা মাঝেমাঝেই বিপন্ন করে তোলে উধাহরন হিসাবে তারকাদের তুলনা করা যায়। আবার যন্ত্রণাদায়ক ভবিষ্যতের কখা অতিরিক্ত কল্পনা করা বর্তমানই বারবার ভয়ে কেঁপে উঠতে পারে।
কল্পনা কখনো কখনো প্রকৃত অসুস্থতার কারণ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা কিছু শারীরিক অসুস্থতা এতো বাস্তবিকভাবে অনুভব করে (যেমন কল্পনার মাঝে চামড়ার উপর লাল লাল দানা ও ফুসকুড়ি অনুভব করা) যে বাস্তবিকভাবে অসুস্থতার দিকে এগিয়ে যায়। উদাহরণ হিসাবে, মনোদৈহিক অসুস্থতা এবং দুজনের উন্মত্ততা ফরাসি ভাষায় লেখা বইটির /fɒˈli
এটাও প্রস্তাবিত যে মানুষের সমগ্র চেতনা কল্পনার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে। অর্থ, অনুভবকৃত কিছুই সম্পূর্ণরূপে পর্যবেক্ষণ নয় এটা আসলে কল্পনা ও অনুভূতির মিশ্রিত অনুভব।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.