শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

কলেরা

একটি সংক্রামক রোগ যা পাশ্চাত্যে এশীয় কলেরা নামেই বেশি পরিচিত। উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

কলেরা
Remove ads

কলেরা ভিব্রিও কলেরা (Vibrio cholerae) নামক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত ক্ষুদ্রান্ত্রের একটি সংক্রামক রোগ[][] এ ব্যাধি উপসর্গবিহীন অথবা মৃদু অথবা মারাত্মক হতে পারে।[] কলেরার প্রধান উপসর্গ হলো ঘনঘন চাল ধোয়া পানির মত পাতলা পায়খানা। এছাড়াও থাকতে পারে পেটব্যথা, জলাভাবে শারীরিক দুর্বলতা এবং চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় থাকলে শেষপর্যন্ত পানিশূন্যতার কারণে মৃত্যু ঘটতে পারে।

দ্রুত তথ্য কলেরা, প্রতিশব্দ ...
Remove ads

কলেরা একটি Vibrio cholerae-র কয়েকটি সেরোটাইপ দিয়ে হতে পারে। এদের মধ্যে কিছু সেরোটাইপ অন্যগুলোর চেয়ে বেশি মারাত্মক রোগ ঘটাতে পারে।[১০] শুধু ও১ (O1) এবং ও১৩৯ (O139) সেরোগ্রুপ কলেরা মহামারি ও অতিমারী ঘটায়। মানব শরীরে সংক্রমণের প্রধান বাহক দূষিত পানি অথবা দূষিত খাদ্য।

Remove ads

রোগের কারণসমূহ

সাধারণত আক্রান্ত রোগীর মলের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। সাধারত পয়ঃপ্রণালীর সুষ্ঠু ব্যবস্থার অভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির মল, খাবার ও পানির সংস্পর্শে এসে খাবার ও পানিকে দূষিত করে। পরবর্তীতে উক্ত খাবার ও পানি গ্রহণের মাধ্যমে কলেরার জীবাণু সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করে আক্রান্ত করে। সাধারণত যে কোন পরিবেশেই কলেরার জীবাণু দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে।

উপসর্গ-লক্ষণ

কলেরার সংক্রমণ প্রায়ই মৃদু বা উপসর্গহীন হয়ে থাকে। কিন্তু, কিছু ক্ষেত্রে এটি গুরুতর হতে পারে। ভিব্রিও কলেরা দ্বারা দূষিত খাবার পানি অথবা দূষিত খাদ্য গ্রহণের পর বার ঘণ্টা থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে কলেরার লক্ষণ প্রকাশ পায়।[১১]

গুরুতরভাবে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে যা দেখা যায়:

  • ঘনঘন চাল ধোয়া পানির মত পাতলা পায়খানা
  • বমি
  • পায়ের শিরটান
  • শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলে পানিশূন্যতা ও শক দেখা দিতে পারে।
Remove ads

রোগ প্রক্রিয়া

ভিব্রিও কলেরা কলেরা টক্সিন নামের এন্টেরোটক্সিন তৈরি করে যার বিষক্রিয়ায় ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রাচীরের আবরণী কলা থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরাইড ও জল চোঁয়াতে থাকে যা চাল ধোয়া পানির মত পাতলা পায়খানা গঠন করে। জোরালো সংক্রমণ ও টক্সিনের বিষক্রিয়া হলে কলেরার প্রাণঘাতী ক্রিয়ায় ১ ঘণ্টায় একজন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের রক্তচাপ অস্বাভাবিক কমে যেতে পারে ও ২-৩ ঘণ্টায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণ মাঝারি মাপের সংক্রমণে ৪-১২ ঘণ্টায় শক (অর্থাৎ নিম্ন রক্ত চাপ ইত্যাদি কারণে দেহের সমস্ত অংশে রক্ত সরবরাহের অভাব) এবং পরবর্তী দেড় দিন বা কয়েক দিনের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।[১২]

আক্রমণ সম্ভাবনা

Thumb
বিশ্বে কলেরার প্রাদুর্ভাবপূর্ণ এলাকা (লাল রঙে চিহ্নিত)

কলেরা টীকা

কলেরা টীকা

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading content...
Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads