Loading AI tools
অসমীয়া লেখক এবং কবি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কমলাকান্ত ভট্টাচার্য্য (ইংরেজি: Kamalakanta Bhattacharya) অসম এর একজন প্ৰসিদ্ধ কবি হিসাবে জানা যায়। তিনি ১৯২৯ সালের ৩০ মাৰ্চ যোরহাটএ অনুষ্ঠিত হওয়া অসম সাহিত্য সভার একাদশ অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন।[1]।
কমলাকান্ত ভট্টাচার্য্য | |
---|---|
জন্ম | ১৮৫৫/৫৬ সন বিশ্বনাথ চারিআলি, অসম |
মৃত্যু | ১৮ ডিচেম্বৰ, ১৯০৬ চন গুয়াহাটী |
ছদ্মনাম | অগ্নিকবি |
ভাষা | অসমীয়া |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | চিন্তানল,চিন্তাতরংগ |
কমলাকান্ত ভট্টাচাৰ্য্য এর জন্ম হয় শোণিতপুর জিলার অন্তৰ্গত বিশ্বনাথ চারিআলির ওচরর গড়েহাগি গাঁয়ে। কেউকেউ বলে তার জন্ম ১৮৫২ সালে, কারো মতে ১৮৫৩ সালে। তিনি নিজে তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, “ আমার জন্ম তারিখ যেহেতু হারিয়ে গেছে, এই নিমিত্তে আমার বয়স এখন ১৯২৬ ইংরেজি সাল পৰ্যন্ত কি বলব। সম্ভবতঃ ১৮৫৫ কি ৫৬ খৃষ্টাব্দে আমার জন্ম হইছিল।” তার পিতার নাম বাণেশ্বর ভট্টাচাৰ্য্য। বাণেশ্বর ভট্টাচাৰ্য্য পুলিশের দারোগা ছিলেন। তার পূৰ্বপুরুষদের বিষয়ে কমলাকান্ত ভট্টাচাৰ্য্যই লিখেছেন, “বলতে শুনেছেন বারভূঞারা যখন আসাম তখন সেখানে ছয় ঘর ব্ৰাহ্মণ এবং ছয় ঘর কায়স্থের মধ্যে আমার পূৰ্বপুরুষ রবিদেব ও ছিল। তার চার পুত্ৰ হল- চতুর, মিচির, কংসারি এবং সুনন্দ। এরপরে অনেক বছর পার হল। ঠাল-ঠেঙুলি বাড়ির অনেক ঘর ব্ৰাহ্মণ হল। কেউবা নিজ বেদ রেখে যজুৰ্বেদ নিল। গোবিন্দ নামের একজন নবদ্বীপর শান্তিপুর গ্রামে বড় বিদগ্ধ পণ্ডিত হয়ে আসে। সে বাংলাদেশে বহুদিন থাকার কারণে এবং বৈদিক শ্ৰেণীর ব্ৰাহ্মণদেরকে চক্ৰবর্তী উপাধি দেয়া হইছিল; তার নাম গোবিন্দ চক্ৰবর্তী হয়। তিনিই বিশ্বনাথ দেবালয়ের বরঠাকুর হন। অসম রাজা জয়ধ্বজ সিংহর সময়ে আমার ভট্টাচাৰ্য্য পরিবার বিশ্বনাথ এ আসেন ।”[2]
কমলাকান্ত ভট্টাচাৰ্য্য ১৯৩৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর গুরহাটীর নিজ বাসভবন ‘পূৰ্ণ কুটির’ এ পরলোকগমন করেন।
কমলাকান্ত ভট্টাচাৰ্য্য ছোট বেলা থেকেই সাহিত্য চৰ্চায় ব্ৰতী হন । ছোট বেলায় তিনি বাংলা ভাষাতে লিখতেন (সেই সময় স্কুলে বাংলা ভাষায় চলছিল)- “নিরাশয় আশা বাড়ে বিপদে অভয়, ভারত পারত উঠ এইতো সময় ।” তার কবিতা গ্রন্থ ‘চিন্তানল’ প্ৰথম ১৮৯০ সালে প্ৰকাশ হয় । এই কবিতা গ্রন্থের শেষ বইটি ১৯২২ সালে প্ৰকাশ হয় । তার অন্য আরেকটি কবিতা গ্রন্থ ‘চিন্তাতরঙ্গ’ এর প্ৰথম খণ্ড ১৯৩৩ সালে প্ৰকাশ হয় । তার প্ৰকাশিত গুরুত্বপূর্ণ প্ৰবন্ধসমূহের মধ্যে আছে – আসামর উন্নতি, রত্নেশ্বর বরুয়া হাকিম, গুতিদিয়েক চিন্তার ঢৌ, ব্ৰহ্মার মুখে তন্ত্ৰর ব্যাখ্যা, তন্ত্ৰর ব্যাখ্যার পরসশিষ্ট, অষ্টবক্ৰর আত্মজীবনী ইত্যাদি । তার গ্ৰন্থ ‘কঃ পন্থা’ ১৯১৯ সালে প্ৰকাশিত হয়।
১৯২৯ সালের ৩০ মাৰ্চ যোরহাট তে অনুষ্ঠিত হওয়া অসম সাহিত্য সভার একাদশ অধিবেশনে কমলাকান্ত ভট্টাচাৰ্য্য সভাপতি ছিলেন। তিনি সভাপতির আসন থেকে বলেছিলেন “কোন জাতি কত উন্নত তার একমাত্ৰ সাক্ষী সেই জাতির সাহিত্য ।”
“বুরঞ্জী লিখক জাতীয় গৌরব
কিবা চিন পাবা অসম দেশর;
যত কবিকুল জাতি পদ্মিফল
লভিলে জনম ফলে কি পাপর ।
হায়! হায়! হায়! বুকু ফাটি যায়
যি জুয়ে পুরছে হৃদয় সদায় ।
উহ! পাহরণি কোনে বা দেখাব
গিলিলি বহুতো অসম গৌরব,
কোনে উলিয়াব কোনে বা দেখাব
জন্মিছেনে এনে মহা অনুভব ?
ঠিক অসমীয়া মানুহ নহয়
অসম শ্মশান নোহে কোনে কয় ?”
... ...... ......
“ই অসভ্য দেশ মনুষ্যত্ব লেশ
নাই একেবারে ভারত মাজে,
উলংগ দেশর কাম কি ধোবার
নোশোভে লোকক কাপোর সাজে ।”
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.