কফি আনান
শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী / From Wikipedia, the free encyclopedia
কফি আততা আনান (/ˈkoʊfi
কফি আনান Kofi Annan | |
---|---|
৭ম জাতিসংঘের মহাসচিব | |
কাজের মেয়াদ ১ জানুয়ারি ১৯৯৭ – ৩১ ডিসেম্বর ২০০৬ | |
ডেপুটি | Louise Fréchette Mark Malloch Brown |
পূর্বসূরী | বুত্রোস বুত্রোস গালি |
উত্তরসূরী | বান কি মুন |
জাতিসংঘ এবং সিরিয়া আরব লীগের দূত | |
কাজের মেয়াদ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ – ৩১ আগস্ট ২০১২ | |
Secretary General | বান কি মুন (ইউএন) Nabil Elaraby (AL) |
পূর্বসূরী | পদ সৃষ্ট |
উত্তরসূরী | Lakhdar Brahimi |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (1938-04-08) ৮ এপ্রিল ১৯৩৮ (বয়স ৮৬) কুমাসি, গোল্ড কোস্ট (বর্তমানে কুমাসি, ঘানা) |
মৃত্যু | ১৮ আগস্ট ২০১৮(2018-08-18) (বয়স ৮০) বের্ন, সুইজারল্যান্ড |
জাতীয়তা | Ghanaian |
দাম্পত্য সঙ্গী | টিটি আলাকিযা (1965–late 1970s) Nane Lagergren (1984–present) |
সন্তান | কোজো আমা নিনা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | Kwame Nkrumah University of Science and Technology Macalester College University of Geneva এমআইটি স্লোন স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট |
ধর্ম | প্রোটেস্ট্যান্ট[1] |
স্বাক্ষর |
ঘানার কোমাসি শহরে জন্মগ্রহণ-করা আনান ম্যাকালেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে 'অর্থনীতি', গ্র্যাজুয়েট ইউনিভার্সিটি জেনেভায় 'আন্তর্জাতিক সম্পর্ক' এবং এমআইটিতে 'ব্যবস্থাপনা' নিয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৬২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনেভা কার্যালয়ে কাজ করার মাধ্যমে তিনি জাতিসংঘে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি জাতিসংঘ সচিবালয়ের আরো কিছু পদে কাজ করেছেন, যার মধ্যে আছে মার্চ ১৯৯২ থেকে ডিসেম্বর ১৯৯৬ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালন। ১৯৯৬ সালের ১৩রা ডিসেম্বর নিরাপত্তা পরিষদ তাকে মহাসচিব নিযুক্ত করে, পরে সাধারণ পরিষদেও তা সমর্থিত হয় এবং তিনিই প্রথম জাতিসংঘের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে মহাসচিব হন। ২০০১ সালে তিনি মহাসচিব পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন, এবং ২০০৭ সালের ১লা জানুয়ারি বান-কি-মুনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
মহাসচিব হিসেবে, আনান জাতিসংঘের আমলাতন্ত্র সংস্কার করেন; এইচআইভির প্রতিরোধে কাজ করেন, বিশেষত আফ্রিকায়; এবং জাতিসংঘ বৈশ্বিক চুক্তি সম্পাদন করেন। নিরাপত্তা পরিষদ সম্প্রসারণ না করায় তিনি সমালোচিত হন এবং জাতিসংঘের তেলের-বিনিময়ে-খাদ্য কর্মসূচী নিয়ে তদন্তের পর তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে।[7] জাতিসংঘে কর্মজীবন সমাপ্তির পর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালে তিনি আনান কমিশন গঠন করেন। ২০১২ সালে তিনি চলমান সিরিয়া সংকট সমাধানে জাতিসংঘ-আরব লীগের যৌথ বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।[8][9] কিন্তু সংকট সমাধানে জাতিসংঘের কাজে কোনো অগ্রগতি না দেখে তিনি অব্যাহতি নেন।[10][11] ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে তাকে মায়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট তদন্তে গঠিত একটি জাতিসংঘ কমিশনের প্রধান নিযুক্ত করা হয়, যা 'আনান কমিশন' নামে পরিচিত।[12] ২০১৮ সালের আগস্টে সুইজারল্যান্ডে সামান্য অসুস্থতার পর আনান মৃত্যুবরণ করেন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন কফি আনান ছিলেন শান্তির যোদ্ধা এবং কল্যাণের পথপ্রদর্শক।[13]