![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/1/1e/Ole_R%25C3%25B8mer_%2528Coning_painting%2529.jpg/640px-Ole_R%25C3%25B8mer_%2528Coning_painting%2529.jpg&w=640&q=50)
ওলে রয়মা
ডেনীয় জ্যোতির্বিদ / From Wikipedia, the free encyclopedia
ওলে রয়মা (ডেনীয় ভাষায়: Ole Rømer) ডেনমার্কের জ্যোতির্বিজ্ঞানী। জন্ম ১৬৪৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এবং মৃত্যু ১৭১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/1/1e/Ole_R%C3%B8mer_%28Coning_painting%29.jpg/320px-Ole_R%C3%B8mer_%28Coning_painting%29.jpg)
রয়মা ডেনমার্কের Aarhus শহরে জন্মগ্রহণ করেন, ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেন এ Thomas এবং Erasmus Bartholin অধীনে পড়াশোনা করেন। এরাসমুস তাকে ট্যুকো ব্রাহে-র পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা করতে দিয়েছিলেন এবং তার সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন নিজের মেয়েকে। রয়মা বার্থোলিন এবং জঁ পিকার্ডের সাথে Hven গিয়েছিলেন ব্রাহের মানমন্দিরের প্রকৃত অবস্থান খুঁজে বের করার জন্য যাতে তার পর্যবেক্ষণের ফলাফল আরও ভালভাবে বোঝা যায়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানে তার অবদান অনেক। প্যারিস মানমন্দিরে গিয়ে তিনি তারার অবস্থান নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করার জন্য অনেক যন্ত্র বানান এবং ব্যবহার করেন। বৃহস্পতির সবচেয়ে ভেতরের উপগ্রহ আইও এর গ্রহণকাল পরিমাপ করতে গিয়ে নির্ণয় করে ফেলেন আলোর বেগ। তিনি লক্ষ্য করেছিলেন, আইও-র গ্রহণের মধ্যবর্তী সময় পরিবর্তিত হচ্ছে। পরে বুঝতে পারেন দুই গ্রহণের মাঝামাঝি এই সময় পরিবর্তিত হওয়ার কারণ, বৃহস্পতির সাপেক্ষে পৃথিবীর বেগের পরিবর্তন যা ডপলার সরণের জন্ম দেয়। এই সরণ পরিমাপ করে তিনি বের করেন, সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছুতে ১১ মিনিট সময় লাগে। বর্তমানে এই মান ৪৯৯ সেকেন্ড বা ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড। আইও-র গ্রহণ বিষয়ে রয়মার এই ব্যাখ্যা জোভান্নি কাসিনি এবং রবার্ট হুক বিশ্বাস করেননি। কিন্তু ক্রিস্টিয়ান হাওখেন্স ও আইজ্যাক নিউটন তাকে সমর্থন করেছিলেন।
কাসিনি অন্য গ্যালিলীয় উপগ্রহগুলোর মাধ্যমে এই পরীক্ষার পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি। আর হুক তো লিখেছিলেন, "আলো এত দ্রতগামী যে কল্পনাকে হার মানায়। অন্তত এটা তো নিশ্চিত করে বলা যায় যে, পৃথিবীর ব্যসের সমান দূরত্ব (৮০০০ মাইল) পরিভ্রমণ করতে আলোর ১ সেকেন্ডের চেয়েও কম সময় লাগে, যে সময়ে ১ থেকে ৪ পর্যন্ত গুণেও শেষ করা সম্ভব না। যে এত দ্রুত সে তাৎক্ষণিকভাবেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পৌঁছে যায়, এটা বলতে বাঁধা কোথায় আমার মাথায় আসে না।"
রয়মা কোপেনহেগেনে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও গণিতের অধ্যাপক হয়েছিলেন, তারও পরে ডেনমার্কের রাজা ক্রিস্টিয়ান ৫ ও ফ্রেডেরিক ৪ এর রাজ-জ্যোতির্বিদ হন। তিনি কোপেনহেগেন মানমন্দিরের পরিচালকও ছিলেন। এছাড়া ডেনমার্কের রাষ্ট্রীয় কাজেও তার অবদান ছিল, দেশজুড়ে পরিমাপ ব্যবস্থার সংস্কার করেছিলেন তিনি।