ওয়েল্স্
উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ, যুক্তরাজ্যের অংশ / From Wikipedia, the free encyclopedia
ওয়েলস (ওয়েলশ: Cymru টেমপ্লেট:IPA-cy) হলো গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপের একটি দেশ যা যুক্তরাজ্যের অংশ। এর পূর্বে ইংল্যান্ড, উত্তর ও পশ্চিমে আইরিশ সাগর, দক্ষিণ-পশ্চিমে সেল্টিক সাগর এবং দক্ষিণে ব্রিস্টল চ্যানেল অবস্থিত। ২০২১ সালে এর জনসংখ্যা ছিল ৩,১০৭,৫০০ এবং এর মোট এলাকা ২০,৭৭৯ কিমি২ (৮,০২৩ মা২)। ওয়েলসের ১,৬৮০ মাইল (২,৭০০ কিমি) এরও বেশি উপকূলরেখা রয়েছে এবং স্নোডন (ইয়ার ওয়াইডফা) সহ উত্তর ও মধ্য অঞ্চলে এর উচ্চতর চূড়াগুলোর কারণে এটি মূলত পার্বত্য এলাকা। দেশটি উত্তর নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত এবং একটি পরিবর্তনশীল, সামুদ্রিক জলবায়ু রয়েছে। রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর কার্ডিফ ।
ওয়েল্স্ | |
---|---|
জাতীয় সঙ্গীত: "Hen Wlad Fy Nhadau" ("Land of My Fathers") | |
ওয়েল্স্-এর অবস্থান (dark green)– Europe-এ (green & dark grey)– the United Kingdom-এ (green) | |
অবস্থা | দেশ |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | কার্ডিফ ৫১°২৯′ উত্তর ৩°১১′ পশ্চিম |
দাপ্তরিক ভাষা | |
নৃগোষ্ঠী (২০২১) |
|
ধর্ম (2021) |
|
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | ওয়েলশ |
|
|
সরকার | [সংসদীয় ব্যবস্থা|সংসদীয় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র এর মধ্যে সংসদীয় আইনসভা |
• Monarch | তৃতীয় চার্লস |
• First Minister | মার্ক ড্রেকফোর্ড |
Parliament of the United Kingdom | |
• Secretary of State | ডেভিড টিসি ডেভিস |
• House of Commons | 40 MPs (of 650) |
আইন-সভা | সেনেড |
গঠন | |
• গ্রুফিড আপ লিওয়েলিন কর্তৃক একীভূত | 1057[1] |
• রুডলানের সংবিধি[2] | 3 March 1284 |
• ওয়েলস আইন[3] | 1543 |
27 July 1967 | |
31 July 1998 | |
আয়তন | |
• Total | ২০,৭৭৯ কিমি২ (৮,০২৩ মা২) |
জনসংখ্যা | |
• 2022 আনুমানিক | 3,267,501[6] |
• 2021 আদমশুমারি | 3,107,500[7] |
• ঘনত্ব | ১৫০/কিমি২ (৩৮৮.৫/বর্গমাইল) |
GVA | 2020[8] estimate |
• Total | £67 billion |
• Per capita | £21,010[9] |
জিডিপি (মনোনীত) | আনুমানিক |
• মোট | £75.7 billion (2020)[10] |
মানব উন্নয়ন সূচক (2019) | 0.901[11] অতি উচ্চ |
মুদ্রা | Pound sterling (GBP; £) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি (GMT) |
ইউটিসি+1 (British Summer Time) | |
তারিখ বিন্যাস | dd/mm/yyyy (AD) |
গাড়ী চালনার দিক | left |
কলিং কোড | +44 |
ইন্টারনেট টিএলডি | .wales .cymru [a] |
ওয়েবসাইট wales | |
|
২০২১ সালে এর জনসংখ্যা ছিল ৩,১০৭,৫০০ এবং এর মোট আয়তন ২০,৭৭৯ কিমি২ (৮,০২৩ বর্গ মাইল)। ওয়েলসের ১,৬৮০ মাইল (২,৭০০ কিমি) দেশটি উত্তর নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত এবং একটি পরিবর্তনযোগ্য, সামুদ্রিক জলবায়ু রয়েছে। রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর কার্ডিফ।
৫ম শতাব্দীতে ব্রিটেন থেকে রোমানদের প্রত্যাহারের পর সেল্টিক ব্রিটেনদের মধ্যে ওয়েলশ জাতীয় পরিচয় উদ্ভূত হয় এবং ১০৫৫ সালে গ্রুফিড এপি লিওয়েলিনের অধীনে ওয়েলস একটি রাজ্য হিসেবে গঠিত হয়। ওয়েলসকে কেল্টিক দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে গণ্য করা হয়। ২০০ বছরেরও বেশি যুদ্ধের পর, ১২৮৩ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম এডওয়ার্ডের ওয়েলস বিজয় সম্পন্ন হয়। যদিও ১৫ শতকের গোড়ার দিকে ওওয়েন গ্লিন্ডর ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে ওয়েলশ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য একটি স্বাধীন ওয়েলশ রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। এর নিজস্ব জাতীয় সংসদ সেনেড্ড (ওয়েলশ: senedd) ছিল। ১৬ শতকে ইংল্যান্ড সমগ্র ওয়েলসকে নিজেদের সাথে সংযুক্ত করে এবং ১৫৩৫ ও ১৫৪২ সালের ওয়েলস আইনের অধীনে ইংরেজী আইনি ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল দেশটি। ১৯ শতকে স্বতন্ত্র ওয়েলশ রাজনীতির বিকাশ ঘটে। ডেভিড লয়েড জর্জ দ্বারা ২০ শতকের প্রথম দিকে স্বতন্ত্র ওয়েলশ রাজনীতির উদাহরণ হিসেবে ছিল ওয়েলশ লিবারেলিজম। সমাজতন্ত্র ও লেবার পার্টির ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির ফলে পরবর্তী কালে এটি অজনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিল। ওয়েলশ জাতীয় অনুভূতি শতাব্দী ধরে বেড়েছে। এর ধারাবাহিকয়াউ ১৯২৫ সালে প্লেইড সিমরু এনামের কটি জাতীয়তাবাদী দল এবং ১৯৬২ সালে ওয়েলশ ভাষা সোসাইটি গঠিত হয়। ওয়েলশ বিকেন্দ্রীকরণের একটি শাসন ব্যবস্থা ওয়েলসে নিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ছিল ১৯৯৮ সালে ওয়েলশ পার্লামেন্ট (Senedd; পূর্বে ওয়েলসের জাতীয় পরিষদ) গঠন। এটি ওয়েলসের বিভিন্ন নীতিগত বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দায়ী।
শিল্প বিপ্লবের প্রারম্ভে, খনি ও ধাতুবিদ্যা শিল্পের বিকাশ দেশটিকে একটি কৃষি সমাজ থেকে একটি শিল্প সমাজে রূপান্তরিত করে। সাউথ ওয়েলসের কয়লাক্ষেত্রের শোষণ ওয়েলসের জনসংখ্যার দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটায়। জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ কার্ডিফ, সোয়ানসি, নিউপোর্ট এবং নিকটবর্তী উপত্যকা সহ সাউথ ওয়েলসে বাস করে। উত্তর ওয়েলসের পূর্বাঞ্চলে মোট জনসংখ্যার প্রায় এক ষষ্ঠাংশ রয়েছে। রেক্ সহ্যাম হচ্ছে উত্তরের বৃহত্তম শহর। ওয়েলসের অবশিষ্ট অংশগুলো খুব কম জনবহুল। এখন যেহেতু দেশের ঐতিহ্যবাহী নিষ্কাশন এবং ভারী শিল্প চলে গেছে বা হ্রাস পাচ্ছে, তাই এর অর্থনীতি সরকারি খাত, হালকা এবং পরিষেবা শিল্প এবং পর্যটনের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত। ওয়েলসের কৃষি মূলত পশুসম্পদ ভিত্তিক। এটি ওয়েলসকে পশু উৎপাদনের একটি বড় রপ্তানিকারক করে তোলে। এর ফলে অঞ্চলটি জাতীয় কৃষি স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে অবদান রাখে।
দেশটির একটি স্বতন্ত্র জাতীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রয়েছে। ১৯ শতকের শেষের দিক থেকে ওয়েলস তার কিছু অংশে ইস্টেডফোড ঐতিহ্য ও উত্তেজনাপূর্ণ গায়কদলের গানের কারণে জনপ্রিয় উপাধি "গানের দেশ" অর্জন করে। ওয়েলশ এবং ইংরেজি উভয়ই ওয়েলসের সরকারি ভাষা। বেশিরভাগ এলাকার জনসংখ্যার একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ইংরেজিতে কথা বলে। উত্তর ও পশ্চিমের কিছু অংশের জনসংখ্যার অধিকাংশই ওয়েলশ ভাষায় কথা বল। সমগ্র দেশে মোট ৫৩৮,৩০০ জন ওয়েলশ ভাষাভাষী ।