এর্ভিন রমেল
From Wikipedia, the free encyclopedia
এর্ভিন ইয়োহানেস অয়গেন রমেল ((১৮৯১-১১-১৫)১৫ নভেম্বর ১৮৯১–ফেব্রুয়ারি ১০, ১৯৪৪(১৯৪৪-০২-১০)), যিনি ইতিহাসে ‘ডেজার্ট ফক্স’ বা ‘মরুভূমির শিয়াল’ নামে খ্যাত, একজন জার্মান ফিল্ড মার্শাল।
এর্ভিন ইয়োহানেস অয়গেন রমেল | |
---|---|
ডাকনাম | "ভুস্টেনফুক্স" (মরুভূমির শিয়াল) |
আনুগত্য | জার্মান সাম্রাজ্য (১৯১৮ পর্যন্ত) ভাইমার প্রজাতন্ত্র (১৯৩৩ পর্যন্ত) নাৎসি জার্মানি |
কার্যকাল | ১৯১১-১৯৪৪ |
পদমর্যাদা | ফিল্ড মার্শাল |
নেতৃত্বসমূহ | ৭তম পান্ৎসার ডিভিশান আফ্রিকা কর্পস পান্ৎসার আর্মি আফ্রিকা আর্মি গ্রুপ আফ্রিকা আর্মি গ্রুপ-বি |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
|
পুরস্কার | পুর ল্য মেরিত খেতাব (প্রুশিয়া) নাইটস ক্রস অফ আয়রন ক্রস (ওক পাতা, তলোয়ার ও হীরাসহ) মিলিটারি মেরিট ক্রস (অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি) |
সম্পর্ক | মানফ্রেড রমেল |
রমেলের অবদান হিসেবে মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা বলা হলেও তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধেই একজন অত্যন্ত দক্ষ ও সন্মানিত কর্মকর্তা ছিলেন এবং সে সময়ে ইতালীয় ফ্রন্টে বীরত্ব প্রদর্শনের বিনিময়ে তৎকালীন প্রুশিয়ার সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব পুর ল্য মেরিত অর্জন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর দিকে ১৯৪০ সালে জার্মানির ফ্রান্স অভিযানের সময় রমেল একটি পান্ৎসার ডিভিশানের নেতৃত্বে ছিলেন, মিত্রবাহিনী যে ডিভিশানটিকে রমেলের বিশেষ রণকৌশলের কারণে ‘ভৌতিক ডিভিশান’ আখ্যা দিয়েছিল।
১৯৪০ সালে শুরু হওয়া অপর এক সামরিক অভিযান ‘উত্তর আফ্রিকা অভিযান’ যেটিতে জার্মানি ও ইটালির সৈন্যদের নেতৃত্ব দিয়ে রমেল তার শত্রুদেরই দ্বারা একজন শ্রেষ্ঠ রণকৌশলী হিসেবে ‘ডেজার্ট ফক্স’ বা ‘মরুভুমির শিয়াল’ আখ্যা লাভ করেন। উল্লেখ্য ব্রিটিশ ফিল্ড মার্শাল বার্নার্ড মন্টগোমরি উত্তর আফ্রিকার যুদ্ধে প্রতিপক্ষ রমেলের অসাধারণ রণকৌশল ও দক্ষতায় অভিভূত হয়ে তাঁকে এই নামটি দিয়ছিলেন।[1]
এর্ভিন রমেল তার মানবীয় গুণাবলীর কারণে শত্রুদের কাছেও অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ছিলেন কেননা এরূপ মানবীয় গুণাবলী তৎকালীন নাৎসি উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের মাঝে খুব সহজলভ্য ছিলনা। এই কারণে রমেলের নেতৃত্বাধীন আফ্রিকা কর্পস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়নি।