একরেম ইমামো'লু (তুর্কি উচ্চারণ: [ekrɜm imamo:ɫu]; জন্ম ৪ জুন ১৯৭০[2]) হলেন তুরস্কের একজন রাজনীতিবিদ ও ইস্তানবুলের বর্তমান মেয়র। তিনি ২০১৯ এর মার্চে অনুষ্ঠিত ইস্তানবুলের মেয়র নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পান এবং ১৭ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত ইস্তানবুলের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৯ সালের ২৩ জুন তিনি ইস্তানবুলের মেয়র হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন।[3][4][5][6] তিনি পূর্বে বেলিকডুজুর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[7][8]
একরেম ইমামো'লু Ekrem İmamoğlu | |
---|---|
বেলিকডুজুর মেয়র | |
কাজের মেয়াদ এপ্রিল ২০১৪ – ৭ এপ্রিল ২০১৯ | |
পূর্বসূরী | ইউসুফ উজুম |
উত্তরসূরী | মেহমেত মুরাত সালিক |
ইস্তানবুলের মেয়র | |
কাজের মেয়াদ ১৭ এপ্রিল ২০১৯ – ৬ মে ২০১৯ | |
পূর্বসূরী | মেভলুত উয়সাল |
উত্তরসূরী | আলী ইয়েরলিকায়া |
কাজের মেয়াদ ২৭ জুন ২০১৯ – বর্তমান | |
পূর্বসূরী | আলী ইয়েরলিকায়া |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আকসাবাত, ট্রাবজোন, তুরস্ক | ৪ জুন ১৯৭০
জাতীয়তা | তুর্কি |
রাজনৈতিক দল | প্রজাতন্ত্রী জনতা দল |
দাম্পত্য সঙ্গী | দিলেক কায়া (বি. ১৯৯৫) |
সন্তান | ৩[1] |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয় |
স্বাক্ষর | |
ওয়েবসাইট | www |
প্রারম্ভিক জীবন
একরেম ইমামো'লু ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ট্রাবজোন উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়েছেন। তিনি সেখানে পড়াকালীন সময়ে অপেশাদার ফুটবল ও হ্যান্ডবল খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন।[1][9] ১৯৮৭ সালে তার পরিবার ইস্তানবুলে চলে আসে। তিনি ইস্তানবুলI বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক হবার পর মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।[7] স্নাতক শেষ করার পর তিনি তাদের পারিবারিক ঠিকাদারি ব্যবসায় যোগদান করেন।[8]
রাজনৈতিক জীবন
একরেম ইমামো'লু ২০০৮ সালে রিপাবলিকান পিপলস পার্টিতে যোগ দেন।[10] তিনি ২০০৯ সালে তিনি দলটির যুব অঙ্গসংগঠনের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন।[11] ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরে তিনি রিপাবলিকান পিপলস পার্টির বেলিকডুজু শাখার সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ২০১২ সালের ৮ মার্চে পুনরায় রিপাবলিকান পিপলস পার্টির বেলিকডুজু শাখার সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের ১৫ মার্চে তিনি বেলিকডুজুর মেয়র হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য রিপাবলিকান পিপলস পার্টির বেলিকডুজু শাখার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা প্রদান করেন।[9] নির্বাচনে তিনি ৫০.৪৪% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।[1][10][12]
২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরে ইস্তানবুলের তৎকালীন মেয়র কাদির তোপবাস পদত্যাগ করলে তিনি তার দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইস্তানবুল মেয়র উপনির্বাচনে। নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন একেপির মেভলুত উয়সালের নিকট পরাজিত হন।[13]
তার দল তাকে ২০১৯ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত ইস্তানবুলের মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রদান করে।[14] ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি খুবই সামান্য ব্যবধানে একেপি বিনালি ইলিদিরিমকে পরাজিত করেন।[15][16][17] নির্বাচিত হবার পর তাকে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিতব্য তুরস্কের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করে গণমাধ্যম।[18]
খুবই সামান্য ব্যবধানে তিনি নির্বাচিত হবার পর পরাজিত দল একেপি অভিযোগ জানায় যে, বাতিল হওয়া ভোট নির্বাচনী ফলাফল পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারত। তুরস্কের আইনানুযায়ী, নির্বাচন কর্মকর্তাদের অবশ্যই সেদেশের সরকারি চাকরিজীবী হতে হবে।[19][20] সেজন্য তারা পুনঃনির্বাচনের দাবি জানায়।[21] তিনি এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একেপিকে 'ব্যাড লুজার' বলে অভিহিত করেন।[22] ভোট পুনর্গণনায় দুই প্রার্থীর ব্যবধান পঁচিশ হাজার থেকে কমে ষোল হাজারে নামে।[23] ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিলে ইস্তানবুলের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
একেপির অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে তাদের অভিযোগের সত্যতা পায় দেশটির সর্বোচ্চ নির্বাচন পরিষদ। একরেম ইমামো'লু-র দায়িত্ব গ্রহণের ১৭ দিন পর ২০১৯ সালের ৬ মে দেশটির সর্বোচ্চ নির্বাচন পরিষদ ৭-৪ ভোটাভুটিতে তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয় এবং ২৩ জুন পুনঃনির্বাচনের নির্দেশ দেয়।[24][25][26] শাসক দলের চাপেই নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করে। অন্তর্বর্তীকালীন মেয়র হিসেবে আলী ইয়েরলিকায়া ২০১৯ সালের ৭ মে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[27]
২০১৯ সালের ২৩ জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি ৫৪.২১% ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হন। টানা দ্বিতীয়বার পরাজিত হবার পর বিনালি ইলিদিরিম ফলাফল মেনে নেন ও একরেম ইমামো'লুকে অভিনন্দন জানান।[3][4][5][28][29] রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান-ও এক টুইট বার্তায় তাকে নির্বাচনে জয়লাভের জন্য অভিনন্দন জানান।[4][30]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.