উৎপাদনশীল ব্যাকরণ
From Wikipedia, the free encyclopedia
উৎপাদনশীল ব্যাকরণ (ইংরেজি: Generative grammar) একটি ভাষাবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব যেটি অনুসারে ব্যাকরণ হল কতগুলি সূত্র বা নিয়ম সংবলিত একটি ব্যবস্থা যে সূত্রগুলি কোনও নির্দিষ্ট ভাষার সমস্ত এবং কেবলমাত্র ব্যাকরণসম্মত বাক্য বা পদসমষ্টি উৎপাদন করে। মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী নোম চমস্কি ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে তার নিজের উদ্ভাবিত ভাষাবৈজ্ঞানিক তত্ত্বের বর্ণনা দিতে গিয়ে এই পরিভাষাটি ব্যবহার করেন।[1] যেসব ভাষাবিজ্ঞানী উৎপাদনশীল পথে গবেষণা করেন, তাদেরকে "উৎপাদনশীলবাদী" নামে ডাকা হয়। উৎপাদনশীলবাদী ঘরানার ভাষাবিজ্ঞানীরা মূলত বাক্যতত্ত্বের উপর জোর দিলেও ভাষার কাঠামোর অন্যান্য দিক নিয়েও তারা গবেষণা করেছেন (যেমন শব্দরূপমূল তত্ত্ব এবং ধ্বনিতত্ত্ব)
চমস্কির তত্ত্বের প্রাথমিক সংস্করণগুলিকে রূপান্তরমূলক ব্যাকরণ নামে ডাকা হত। তবে চমস্কির সর্বশেষ তত্ত্বটির নাম হল ন্যূনতমবাদী প্রকল্প, যেখানে প্রস্তাব করা হয়েছে যে কোনও উৎপাদনশীল ব্যাকরণ একটি বিশ্বজনীন ব্যাকরণ থেকে উদ্ভূত হয়, যে বিশ্বজনীন ব্যাকরণটি মানুষের মস্তিষ্কে জন্ম থেকেই উপস্থিত থাকে।
বর্তমানে উৎপাদনশীল ব্যাকরণের বেশ কিছু সংস্করণ বা ধারা ভাষাবৈজ্ঞানিক গবেষণাক্ষেত্রে প্রচলিত। এদের মধ্যে সীমাবদ্ধতা-ভিত্তিক ব্যাকরণের বিভিন্ন রূপ, যেমন নির্ভরশীলতা ব্যাকরণ, মস্তক-চালিত পদকাঠামো ব্যাকরণ, আভিধানিক ভূমিকামূলক ব্যাকরণ, শ্রেণীভিত্তিক ব্যাকরণ, সম্বন্ধবাচক ব্যাকরণ, সংযোগ ব্যাকরণ এবং বৃক্ষযোজী ব্যাকরণ উল্লেখযোগ্য। সম্ভাব্যতামূলক ব্যাকরণে ব্যাকরণিক শুদ্ধতাকে একটি সম্ভাবনাভিত্তিক চলরাশি হিসেবে গণ্য করা হয়, হ্যাঁ-না জাতীয় বিযুক্ত ধর্ম হিসেবে নয়।