উসামা ইবনে মুনকিজ
কবি / From Wikipedia, the free encyclopedia
মাজদ আদ-দীন উসামা ইবনে মুরশিদ ইবনে আলি ইবনে মুনকিজ আল-কিনানি আল-কালবি[1] (আরবি: أسامة بن منقذ) (৪ জুলাই ১০৯৫ – ১৭ নভেম্বর ১১৮৮[2]) ছিলেন উত্তর সিরিয়ার শাইজারের বনু মুনকিজ বংশীয় মধ্যযুগের একজন মুসলিম কবি, লেখক, ফারিস ও কূটনৈতিক। তার জীবনকালে কয়েকটি মুসলিম রাজবংশের উত্থান হয়েছে। এছাড়াও এসময় প্রথম ক্রুসেড সংঘটিত হয় এবং ক্রুসেডার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
উসামা শাইজারের আমিরের ভ্রাতুষ্পুত্র এবং সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী ছিলেন। কিন্তু ১১৩১ খ্রিস্টাব্দে তিনি নির্বাসিত হন। বাকি জীবন তিনি অন্যান্য নেতাদের অধীনে কাজ করেছেন। পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় তিনি বুরি, জেনগি ও আইয়ুবীয় দরবারের সদস্য ছিলেন এবং ইমাদউদ্দিন, নুরউদ্দিন ও সালাহউদ্দিনকে সহায়তা করেছেন। এছাড়াও তিনি কায়রোতে ফাতেমীয় দরবারে ও হিসন কাইফায় অরতুকিদের অধীনে দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি অনেক আরব অঞ্চল সফর করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মিশর, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, টাইগ্রিস নদী। তিনি হজ্জের জন্য মক্কায় গিয়েছিলেন। তিনি দরবারের কার্যক্রমে কয়েকবার হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তাকে দামেস্ক ও কায়রো উভয় স্থান ত্যাগ করতে হয়েছিল।
জীবনকালে ও মৃত্যুপরবর্তী সময়ে তিনি একজন কবি ও আদিব হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি কবিতা সংকলন প্রণয়ন করেছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে কিতাব আল-আসা, লুবাব আল-আদাব ও আল-মানজিল ওয়াল-দিয়ার। তার নিজস্ব কবিতার সংকলনও রয়েছে। বর্তমানকালে তাকে তার কিতাব আল-ই'তিবার নামক গ্রন্থের জন্য স্মরণ করা হয়। এতে ক্রুসেডারদের বর্ণনা রয়েছে। বিভিন্ন উপলক্ষে ক্রুসেডারদের সাথে তার সাক্ষাত হয়েছিল। কিছু ক্রুসেডারদেরকে তিনি বন্ধু হিসেবে দেখলেও সামগ্রিকভাবে তাদের অশিক্ষিত বিদেশি হিসেবে দেখতেন।
১১৫৭ খ্রিস্টাব্দে শাইজারে সংঘটিত ভূমিকম্পে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য নিহত হন। ১১৮৮ খ্রিস্টাব্দে ৯৩ বছর বয়সে তিনি দামেস্কে মৃত্যুবরণ করেন।