![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f2/Sri_Sri_Ugratara_Devalaya.jpg/640px-Sri_Sri_Ugratara_Devalaya.jpg&w=640&q=50)
উগ্রতারা দেবালয়
ভারতের একটি হিন্দু মন্দির / From Wikipedia, the free encyclopedia
উগ্রতারা দেবালয় গুয়াহাটির লতাশিল অঞ্চলে অবস্থিত দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় দেবী তারার উগ্র স্বরূপ উগ্রতারার নামে উৎসর্গিত মন্দির। এই মন্দিরের পিছনে জোড়পুখুরী নামে একটি পুষ্করিণী আছে। গুয়াহাটির পঞ্চতীর্থর অন্যতম উগ্রতারা দেবালয় গুরুত্বপূর্ণ শক্তিপীঠ। লোকবিশ্বাস মতে, এখানে ভগবান শিব-এর পত্নী দেবী সতীর নাভি পড়েছিল। তিব্বতীয় বৌদ্ধ বিশ্বাস মতে, আসামের উগ্রতারাকে তীক্ষ্ণকণ্ঠ একজটা হিসাবে গণ্য করা হয়।[1][2] তারা শব্দটি সংস্কৃতের "তার্" মূল থেকে এসেছে, এর অর্থ "পার করানো" এবং উগ্র মানে ভয়ানক।[3]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f2/Sri_Sri_Ugratara_Devalaya.jpg/640px-Sri_Sri_Ugratara_Devalaya.jpg)
বর্তমান উগ্রতারা দেবালয় আহোম রাজা শিব সিংহ ১৭২৫ খ্রীষ্টাব্দে নির্মান করেছিলেন। এর পূর্ব দিকে অবস্থিত জোড়পুখুরী তিনি মন্দির নির্মাণের তিনবছর আগে খুড়িয়েছিলেন। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির কাচকে সংরক্ষিত অবস্থায় রাখা হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে মন্দিরের বিস্তর ক্ষতি হয়েছিল যদিও পরে নাগরিকগণ পুনরায় নির্মাণ করে।
কালিকা পুরাণে উল্লিখিত মতে, দিক্করাবাসিনী নামক একটি শক্তিপীঠ ছিল। দিক্করাবাসিনীর দুটি রূপ বিদ্যমান, তীক্ষ্ণকণ্ঠ এবং ললিতকণ্ঠ। তীক্ষ্ণকণ্ঠের দেহের বরণ কালো এবং পেট ঘটির মতো। এইরূপকে উগ্রতারা বা একজটা বলে। ললিত কণ্ঠ ধুনীয়া ও আকর্ষণীয় এবং তাঁকে তাম্রেশ্বরী বলা হয়।
উগ্রতারা দেবালয়ের গর্ভগৃহে দেবী উগ্রতারার কোনো মূর্তি বা আকৃতি নেই। জলে পূর্ণ কুণ্ডকে দেবী হিসাবে গণ্য করা হয়। এর সঙ্গে এখানে পাল সাম্রাজ্যের সময়ের অষ্টধাতুর উগ্রতারার মূর্তি আছে। মন্দিরের কাছে শিবের মন্দির শিবালয় অবস্থিত। দুটি মন্দিরের পিছনে জোড়পুখুরী অবস্থিত।