ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাত

চলমান রাজনৈতিক ও সামরিক সংঘাত উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাত

ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাত অনেক দিন ধরে ফিলিস্তিনইসরায়েল এর মধ্যে চলে আসা সংঘাতকে নির্দেশ করে। একে বৃহত্তর অর্থে আরব-ইসরায়েল সংঘাতের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবেও আখ্যায়িত করা যায়। দুইটি আলাদা জাতি করার জন্য অনেক পরিকল্পনাই করা হয়েছে। এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েলের পাশে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রও গঠিত হতো। একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, দুই দেশের অধিকাংশ মানুষই এই সংঘাত নিরসনে অন্য যেকোন পরিকল্পনার তুলনায় দুই-জাতি পরিকল্পনাকে বেশি সমর্থন করে। অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মনে করে, তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র হওয়া উচিত পশ্চিম তীরগাজা উপত্যকা-কে কেন্দ্র করে। অধিকাংশ ইসরায়েলীও এই ধারণা সমর্থন করে। হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন শিক্ষাবিদ সবকিছু বাদ দিয়ে একটিমাত্র রাষ্ট্র গঠনকে সমর্থন করে। তাদের মতে সমগ্র ইসরায়েল, পশ্চিম তীর ও গাজা মিলে একটি দ্বি-জাতীয় রাষ্ট্র গঠিত হওয়া উচিত যেখানে সবার সমান অধিকার থাকবে। কিন্তু এ নিয়ে কোন স্থির সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। কারণ প্রত্যেকেই অন্যের কোন না কোন প্রস্তাবে অসম্মতি জ্ঞাপন করছে।

দ্রুত তথ্য ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত, তারিখ ...
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত
আরব-ইসরায়েলি সংঘাতের অংশ
Thumb
মধ্য ইসরায়েল এবং এরিয়া সি (নীল), পশ্চিম তীরের এই এলাকা ইসরায়েলের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে, ২০১১
(আরো হালনাগাদকৃত ম্যাপ দেখতে এখানে দেখুন।)
তারিখবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি – বর্তমান
অন্যতম পর্ব: ১৯৬৪–১৯৯৩
অবস্থান
অবস্থা

চলমান

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়া
নিম্নমানের যুদ্ধ, প্রধানত ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে
অধিকৃত
এলাকার
পরিবর্তন
ফিলিস্তিনি প্রশাসনের প্রতিষ্ঠা ও সমাপ্তি (১৯৪৮–১৯৫৯) গাজায়
পশ্চিম তীরে জর্ডানীয় সংযুক্তি (১৯৪৮–১৯৬৭)
১৯৬৭ সালে ইসরায়েলের গাজা এবং পশ্চিম তীর দখল
১৯৯৪–১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে "এ" এবং "বি" এলাকা ইসরায়েলি বেসামরিক প্রশাসন থেকে ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের শাসনে পরিবর্তন
২০০৫ থেকে ইসরায়েলের গাজা থেকে বিচ্ছিন্নতা
বিবাদমান পক্ষ
 ইসরায়েল

ফিলিস্তিন


হামাস (১৯৮৭–বর্তমান)
ইসলামিক জিহাদ (১৯৮৭–বর্তমান)
সমর্থন:
সমর্থন:
বন্ধ
Thumb
মানচিত্রে ইসরায়েল, পশ্চীম তীর, গাজা উপত্যকা ও গোলান হাইট্‌স

এই সংঘাতে দেশী-বিদেশী অনেকগুলো শক্তি ও বিষয় জড়িয়ে পড়েছে। সংঘাতে সরাসরি অংশ নেয়া দলগুলো হচ্ছে, এক পক্ষে ইসরায়েল সরকার যার প্রধান নেতা এহুদ ওলমার্ট। আর অন্য পক্ষে ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) যার প্রধান নেতা বর্তমানে মাহমুদ আব্বাস। এই দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সমঝোতা তৈরীতে কেন্দ্রী চরিত্র হিসেবে কাজ করে কোয়ার্টেট অফ দ্য মিড্‌ল ইস্ট (বা শুধু কোয়ার্টেট) নামে পরিচিত একটি দল। এই দলে কূটনৈতিকভাবে অংশ নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘআরব লীগ এই সংঘাতের আরেক নায়ক যারা একটি বিকল্প শান্তি পরিকল্পনা পেশ করেছে। আরব লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিশর এতে মুখ্য ভূমিকা রাখছে।

২০০৬ সালের পর থেকে প্যালেস্টাইনীয় (ফিলিস্তিনি) অংশ দুটি প্রধান দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে: ফাতাহ এবং হামাস। এর মধ্যে ফাতাহ-ই বর্তমানে সবচেয়ে বড় দল। এর ফলে দেশের কেন্দ্রীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক শাসিত মূল ভূমি ব্যবহারিক অর্থে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে: পশ্চিম তীরে (West Bank) ফাতাহ এবং গাজা উপত্যকায় হামাস প্রভাব বিস্তার করেছে। এতে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ ইসরায়েলসহ অনেকগুলো দেশই হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে। তার মানে, ২০০৬ সালে এর নির্বাচনে হামাস সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হলেও তাদেরকে কোন আন্তর্জাতিক সমঝোতা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেয়া হবে না।

সবচেয়ে সাম্প্রতিক সময়ের সমঝোতা অনুষ্ঠানটি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের অ্যানাপোলিসে, ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে। এই আলোচনার মাধ্যমে ২০০৮ সালে এর শেষ নাগাদ একটি চিরস্থায়ী শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছিল। অংশগ্রহণকারী দলগুলো বলেছে, ৬ টি প্রধান বিষয় আছে যেগুলোর সমাধান না হলে শান্তি আসবে না। এগুলো হচ্ছে: জেরুসালেম, শরণার্থী, আবাসন, নিরাপত্তা, সীমান্ত এবং পানি। এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এই সংঘাত নিয়ে বিভিন্ন রকম মতামতের সৃষ্টি হয়েছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, সংঘাতটা শুধু ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনের মধ্যে নয়, উভয়ের অভ্যন্তরেও অনেক অন্তর্দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। এই সংঘাতের সবচেয়ে বীভৎস দিক হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী সহিংসতা। অনেক দিন ধরে এই অঞ্চলে এক নাগাড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এই যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। শুধু সামরিক লোকই মারা যাচ্ছে না, সাথে প্রচুর বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

রাজনৈতিক নেতার মৃত্যু

এই সংঘাত বর্তমানে সারা মধ্য-প্রাচ্চে ছড়িয়ে পড়ে। এই সংঘাতে মারা যান

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.