ইসমত ইনোনু
তুর্কি জেনারেল ও রাজনীতিবিদ এবং তুরস্কের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
মুস্তাফা ইসমত ইনোনু (তুর্কি উচ্চারণ: [isˈmet ˈinøny]; ২৪ সেপ্টেম্বর ১৮৮৪ – ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩) ছিলেন একজন তুর্কি জেনারেল[1] ও রাজনীতিবিদ। মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের মৃত্যুর পর ১৯৩৮ সালের ১১ নভেম্বর তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৫০ সালের ২২ মে পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এসময় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রিপাবলিকান পিপল'স পার্টি পরাজিত হয়। এছাড়াও তিনি ১৯২২ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত চীফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ ছিলেন। ১৯২৩ সাল থেকে ১৯২৪ সাল, ১৯২৫ সাল থেকে ১৯৩৭ সাল এবং ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাকে দাপ্তরিক খেতাব মিল্লি সেফ (জাতীয় প্রধান) প্রদান করা হয়েছিল।[2]
মুস্তাফা ইসমত ইনোনু | |
---|---|
তুরস্কের ২য় রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১১ নভেম্বর ১৯৩৮ – ২২ মে ১৯৫০ | |
প্রধানমন্ত্রী | জালাল বায়ার রফিক সাইদাম আহমেদ ফিকরি তুজার শুকরু সারাকোগলু রজব পেকের হাসান সাকা শামসউদ্দিন গুনালতাই |
পূর্বসূরী | মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক |
উত্তরসূরী | জালাল বায়ার |
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১ নভেম্বর ১৯২৩ – ২২ নভেম্বর ১৯২৪ | |
পূর্বসূরী | আলি ফাতহি ওকাইর (গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি সরকারের প্রধানমন্ত্রী) |
উত্তরসূরী | আলি ফাতহি ওকাইর |
কাজের মেয়াদ ৪ মার্চ ১৯২৫ – ২৫ অক্টোবর ১৯৩৭ | |
রাষ্ট্রপতি | মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক |
পূর্বসূরী | আলি ফাতহি ওকাইর |
উত্তরসূরী | জালাল বায়ার |
কাজের মেয়াদ ২০ নভেম্বর ১৯৬১ – ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫ | |
রাষ্ট্রপতি | জামাল গুরসাল |
পূর্বসূরী | আমিন ফখরউদিন ওজদিলেক |
উত্তরসূরী | সুয়াত হাইরি উরগুপলু |
রিপাবলিকান পিপল'স পার্টির নেতা | |
কাজের মেয়াদ ১১ নভেম্বর ১৯৩৮ – ৮ মে ১৯৭২ | |
পূর্বসূরী | মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক |
উত্তরসূরী | বুলেন্ত এজেভিত |
তুরস্কের চীফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ | |
কাজের মেয়াদ ২০ মে ১৯২০ – ৩ আগস্ট ১৯২১ | |
পূর্বসূরী | নতুন দপ্তর |
উত্তরসূরী | ফাওজি চাকমাক |
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৬ অক্টোবর ১৯২২ – ২১ নভেম্বর ১৯২৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | রওফ ওরবাই আলি ফাতহি ওকাইর |
পূর্বসূরী | ইউসুফ কামাল তেনগিরশেঙ্ক |
উত্তরসূরী | শুকরু কায়া |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মুস্তাফা ইসমত (১৮৮৪-০৯-২৪)২৪ সেপ্টেম্বর ১৮৮৪ ইজমির, আইদিন ভিলায়েত, উসমানীয় সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩(1973-12-25) (বয়স ৮৯) আঙ্কারা, তুরস্ক |
সমাধিস্থল | আনিতকাবির আঙ্কারা, তুরস্ক |
জাতীয়তা | তুর্কি |
রাজনৈতিক দল | রিপাবলিকান পিপল'স পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | মেভহিবে ইনোনু |
স্বাক্ষর | |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | উসমানীয় সাম্রাজ্য (১৯০৩–১৯২০) তুরস্ক (১৯২০–১৯২৬) |
শাখা | তুর্কি স্থলবাহিনী |
পদ | জেনারেল |
যুদ্ধ | প্রথম বিশ্বযুদ্ধ তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধ |
১৯৩৪ সালে পদবী আইন চালু হওয়ার পর তিনি ইনোনু পদবী গ্রহণ করেন। এর কারণ ইতিপূর্বে ১৯১৯ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত চলমান গ্রীক-তুর্কি যুদ্ধে তিনি ইনোনুতে তুর্কি বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এসকল যুদ্ধ ইনোনুর প্রথম যুদ্ধ ও ইনোনুর দ্বিতীয় যুদ্ধ হিসেবে পরিচিতি পায়।