![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/d6/White-noise.png/640px-White-noise.png&w=640&q=50)
ইলেকট্রনিক ভয়েস ফেনোমেনা
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইলেকট্রনিক ভয়েস ফেনোমেনা (Electronic Voice Phenomena - ইভিপি) বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রে ধারণকৃত এমন ধরনের শব্দ বা কণ্ঠস্বর যাকে বর্তমান ভৌত নীতিসমূহ দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়না। এ ধরনের কন্ঠস্বরগুলো সাধারণত খুবই ছোট ধরনের বাক্য বা শব্দের উচ্চারণ হয়ে থাকে। এই কণ্ঠস্বরগুলো বাস্তব পরিস্থিতি, পরিবেশ বা ঘটনার প্রতিক্রিয়া বা সেগুলো সম্বন্ধে মন্তব্য হিসেবে প্রকাশিত হয়ে থাকে। মানব কণ্ঠস্বর ধারণ করতে পারে এমন যেকোন ধরনের যন্ত্রে ইভিপি ধারণের প্রমাণ পাওয়া গেছে, অর্থাৎ এ ধরনের যেকোন ধারণক্ষম যন্ত্রে ইভিপি ধরা পড়তে পারে। তবে মূলত বিভিন্ন অডিও রেকর্ডিং যন্ত্র এবং অডিও রেকর্ডিংয়ের কম্পিউটার সফ্টওয়ারের সাহায্যে এই ধারণগুলো করা হয়। মৌলিক ইভিপিগুলো রেকর্ডিংয়ের সময় শোনা যায়না বরং ধারণকৃত শব্দ বা কণ্ঠস্বর যখন প্লেব্যাক করা হয় তখন শোনা যায়।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/d6/White-noise.png/640px-White-noise.png)
এই কণ্ঠস্বর বা শব্দগুলোর উৎস কি বা এদের গঠন প্রক্রিয়া কি ধরনের তা নিয়ে বিস্তর গবেষণার সুযোগ রয়েছে। ইভিপির বৈশিষ্ট্য এবং তত্ত্বসমূহ পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। এর মধ্যে সারভাইভাল প্রকল্প দ্বারা এর বৈশিষ্ট্যসমূহ সবচেয়ে সুন্দরভাবে বর্ণনা করা সম্ভব। কিন্তু এর বিপরীতেও অনেক তত্ত্ব ও মত রয়েছে। একটি ধারণামতে ইভিপি এক্সপেরিমেন্টারের কোন একটি ইথারীয় (ভৌত নয় এমন) সত্তার মাধ্যমেই এই কণ্ঠস্বরের সৃষ্টি হয়। অন্য একটি মত হল: প্রত্যেক জীবিত মানুষেরই জৈবিকভাবে বিবর্তিত সতর্কতা বা অবগতি রয়েছে যা দৈহিক মৃত্যুর পরও টিকে থাকে। এবি এই বিবর্তিত সচেতনতাটিই ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়। এই তত্ত্বটিকে কোয়ান্টাম-হলোগ্রাফিক প্রকল্প বলা হয়।