ইরানে সমকামীদের অধিকার
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইরানে সমকামিতাকে একধরনের মানসিক অসুস্থতা এবং যৌনবিকৃতি হিসেবে দেখা হয়। দেশটিতে সমকামিতার পক্ষে কোনো সরকারী বা সামাজিক স্বীকৃতি নেই। ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের আগে মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকার সমকামীদের পক্ষে ছিলো (তখন সমকামীদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হতোনা) কারণ রেজা ছিলেন পশ্চিমা সংস্কৃতির পূজারি যদিও তখনো সরকারীভাবে সমকামিতার পক্ষে ইরানে কোনো আইন ছিলোনা। ইরানের সমাজে যৌন বিভাজন ভালো করেই চোখে পড়ে, যেখানে নারীপুরুষের অবাধ মেলামেশাই নিষেধ (যদিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রেম করে বিয়ে করা যায়) সেখানে সমকামের মত কাজ অত্যন্ত দুরূহ। ইরানের সাবেক রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ইরানের সমাজ এবং সংস্কৃতির সঙ্গে সমকামিতা বেমানান বলে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন পশ্চিমা গণমাধ্যম সিএনএনকে ২০০৭ সালে।[3] ইরানে নারী সমকামী হোক আর পুরুষ সমকামী হোক, পুলিশ সমকামিতার অভিযোগ পেলেই তাদেরকে গ্রেফতার করে।[4] ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ ২০১৯ সালে বলেছিলেন যে,
“ | আমাদের সমাজের নৈতিক নীতি রয়েছে। এবং আমরা এই নীতিমালা অনুযায়ী বাস করি। এগুলি সাধারণভাবে মানুষের আচরণ সম্পর্কিত নৈতিক নীতিগুলি। এবং এর অর্থ এই যে আইনটি সম্মানিত এবং আইন মানা হচ্ছে | ” |
এই নিবন্ধটির নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। |
সমকামী অধিকার : ইরান | |
---|---|
সমকামী অধিকার? | সমকামিতা বিকৃতি এবং অনৈতিক কর্ম হিসেবে স্বীকৃত; অধিকার নেই |
শাস্তি: | কারাদণ্ড, বেত্রাঘাত বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড (পায়ুকাম করে পায়ুপথের ক্ষতি করলে)[1] |
লিঙ্গ স্বীকৃতি | ইরানে লিঙ্গপরিবর্তন করা যায় (শুধু হিজড়াদের)[2] |
সামরিক চাকরিতে | না |
বৈষম্য নিরাপত্তা | কিছুই নেই |
পারিবারিক অধিকার | |
সম্পর্কের স্বীকৃতি | সমলিঙ্গের মানুষের মধ্যকার কোনো ধরনের প্রেমের সরকারী বা সামাজিক স্বীকৃতি নেই |
সন্তান দত্তক | না |