ইয়েরেভান
আর্মেনিয়ার রাজধানী / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইয়েরেভান (ইউকে: /ˌjɛrəˈvæn/ YERR-ə-VAN, ইউএস: /-ˈvɑːn/ -VAHN, আর্মেনীয়: Երևան [jɛɾɛˈvɑn] (শুনুনⓘ), কখনও কখনও বানান এরেভান) আর্মেনিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর এবং একই সাথে এটি বিশ্বের অন্যতম পু্রোনো, সর্বদা জনবসতিপূর্ণ, লোকসমাগম থাকা শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। হ্রাজডেন নদীর তীরে অবস্থিত ইয়েরেভান শহর আর্মেনিয়ার প্রশসনিক, সাংস্কৃতিক এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র। আর্মেনিয়ার ইতিহাসে চতুর্দশতম এবং এরারাত সমভূমি ও এর আশেপাশের সপ্তম, ইয়েরেভান ১৯১৮ সাল থেকে দেশটির রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শহরটি আর্মেনিয়ার জাতীয়, সবচেয়ে বড় এবং একই সাথে পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম পুরনো রিশপগুলোর একটিকে সংরক্ষণ করে রেখেছে।[11]
ইয়েরেভান Երևան | |
---|---|
রাজধানী শহর | |
ইয়েরেভানের স্কাইলাইন সাথে আরারাত পর্বত প্রজাতন্ত্র চত্বর এবং সরকারি হাউস | |
আর্মেনিয়ায় ইয়েরেভানের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৪০°১০′৫৩″ উত্তর ৪৪°৩০′৫২″ পূর্ব | |
দেশ | আর্মেনিয়া |
Founded as Erebuni by Argishti I | 782 BC |
City status by Alexander II of Russia | 1 October 1879[1] |
Capital of Armenia | 19 July 1918 (de facto)[2] |
ইয়েরেভানের জেলা | 12 |
সরকার | |
• ধরন | Mayor–Council |
• শাসক | City Council |
• Mayor | Hayk Marutyan |
আয়তন | |
• রাজধানী শহর | ২২৩ বর্গকিমি (৮৬ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৯৯০ মিটার (৩,২৫০ ফুট) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ১,৩৯০ মিটার (৪,৫৬০ ফুট) |
সর্বনিন্ম উচ্চতা | ৮৬৫ মিটার (২,৮৩৮ ফুট) |
জনসংখ্যা (2017)[3] | |
• রাজধানী শহর | ১০,৭৫,৮০০ |
• আনুমানিক (1 October 2019) | ১০,৮৩,৬০০[4] |
• জনঘনত্ব | ৪,৮২৪/বর্গকিমি (১২,৪৯০/বর্গমাইল) |
• মহানগর (2001 estimate)[5] | ১৪,২০,০০০ |
বিশেষণ | Yerevantsi(s),[6][7] Yerevanite(s)[8][9] |
সময় অঞ্চল | AMT (ইউটিসিইউটিসি+০৪:০০) |
এলাকা কোড | +374 10 |
International airport | Zvartnots International Airport |
HDI (2018) | 0.802[10] very high · 1st |
ওয়েবসাইট | www |
খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতক থেকে ইয়েরেভেনে ইতিহাস পাওয়া যায়, খ্রিস্টপূর্ব ৭৪২ খ্রিষ্টাব্দে রাজা আরগিস্টি এরারাত সমভূমির পশ্চিমে ইরেবুনি দুর্গ নির্মাণ করেন[12] । ইয়েরেভান শব্দটি ইরেবুনি থেকেই এসেছে বলে ধরা হয়ে থাকে। রাজা আরগিস্টি ইরেবুনিকে প্রশাসনিক এবং ধর্মীয় আচার-ব্যবহারের কেন্দ্র হিসেবেই নির্মাণ করেছিলেন, যদিও পরবর্তীকালে শহরটি রাজধানী স্থানান্তরের কারণে তার জৌলুস এবং গুরুত্ন হারিয়ে ফেলে।[13] ১৮৫০ থেকে ১৯১৭ সালে ইরানিয়ান এবং রশিয়ান শাসনামলে শহরটি প্রধান প্রশাসনিক শহর হিসেবে ছিলো।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ইয়েরেভান পুনরায় প্রথম গণপ্রজাতন্ত্রী আর্মেনিয়ার রাজধানী হয়ে উঠে। এসময় অটোমান সম্রাজ্যের গণহত্যা থেকে বেচে যাওয়া হাজার-হাজার আর্মেনিয়ান শহরটিতে বসবাস শুরু করে।[14] ২০ শতকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ইয়েরেভান দ্রুত বিস্তার লাভ করতে শুরু করে। অল্প কয়েকদশকের মধ্যে, শহরটি আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে সমগ্র আর্মেনিয়ার শিল্প-সংস্কৃতি ও প্রধান প্রশাসনিক শহরে পরিণত হয়।
আর্মেনিয়ার অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে একবিংশ শতকের দোরগোড়া থেকেই ইয়েরেভানের কাঠামোগত উন্নয়ন তরান্বিত হতে থাকে যেটা সোভিয়েত আমলে অনেক কম ছিলো। শহরটি বর্তমানে ইউরোসিটিজ (ইউরোপীয় বড় শহরগুলোর নেটওয়ার্ক) এর অন্তর্ভুক্ত। ২০০১ সালের হিসেবে ইয়েরেভানের জনসংখ্যা ১,০৬০,১৩৮ জন যেটা সমগ্র আর্মেনিয়ার মোট লোকসংখ্যার ৩৫%। ২০১৬ সালের দাপ্তরিক গণনায় শহরটির বর্তমান জনসংখ্যা ১,০৭৩,৭০০[15] ইউনেস্কো ২০১২ সালে শহরটিকে "ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল" উপাধি [16]। ইয়েরেভান ইউরোশহরগুলোর একটি।[17]
ইরেবুনি দুরগকে ইয়েরেভান শহরের জন্মস্থান হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এই শহরে রয়েছে কাটাঘিকে সিরানাভর, যেটা ইয়েরেভানের সবচেয়ে পুরোনো গীর্জা এবং রয়েছে সবচেয়ে বড় আর্মেনিয়ান ক্যাথিড্রাল- সেইন্ট গ্রেগরি ক্যাথিড্রাল। আর্মেনিয়ান গণহত্যার জন্য নির্মত
সিটসারনাকাবেরড মেমোরিয়াল অবস্থিত এই ইয়েরেভান শহরে। এখানে আরো রয়েছে অনিন্দ্যসুন্দর ইয়েরেভান অপেরা থিয়েটার, সবচেয়ে বড় আর্মেনিয়ান শিল্প জাদুঘর- ন্যাশনাল গ্যালারি অফ আর্মেনিয়া, এবং মেটেনাদারান, যেটা কিনা বিশ্বের অন্যতম বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ বই-দলিলাদির সংগ্রহশালা।