ইজ্জউদ্দিন আল-কাসসাম
একজন সিরিয়ান মুসলিম প্রচারক, লেভান্টে ব্রিটিশ ও ফরাসি মেন্ডেট শাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইজ্জউদ্দিন আবদুল কাদির ইবনে মুস্তাফা ইবনে ইউসুফ ইবনে মুহাম্মদ আল-কাসসাম (১৮৮১[1] বা ১৮৮২ [2][3] – ১৯৩৫) (আরবি: عز الدين بن عبد القادر بن مصطفى بن يوسف بن محمد القسام) ছিলেন ১৯২০ ও ১৯৩০ এর দশকের একজন সিরিয়ান মুসলিম প্রচারক, লেভান্টে ব্রিটিশ ও ফরাসি মেন্ডেট শাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রতিরোধে নেতৃত্বদানকারী এবং জায়নবাদের সশস্ত্র প্রতিরোধকারী নেতা।
ইজ্জউদ্দিন আল-কাসসাম | |
---|---|
عز الدين القسام | |
জন্ম | ১৯ ডিসেম্বর ১৮৮২ |
মৃত্যু | ২০ নভেম্বর ১৯৩৫(1935-11-20) (বয়স ৫২) |
মাতৃশিক্ষায়তন | আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | বিদ্রোহী নেতা, মুসলিম কর্মী, শিক্ষক, ইমাম |
প্রতিষ্ঠান | জামিয়াত আল-শুব্বান আল-মুসলিমিন, আল-কাফ আল-আসওয়াদ |
আল-কাসসাম মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। উসমানীয় শাসনের শেষের দিকে সিরিয়ায় নিজ শহর জাবলাহতে তিনি একজন ইসলামি পুনর্জাগরণবাদি হিসেবে কাজ শুরু করেন। এখানে আসার পর তিনি লিবিয়ায় ইতালীয় শাসনের বিরুদ্ধে লিবিয়ান প্রতিরোধের একজন সমর্থক হয়ে উঠেন। তিনি লিবিয়ানদের সাহায্যের জন্য তহবিল ও যোদ্ধা সংগ্রহ করেছেন। তিনি তাদের জন্য সঙ্গীত রচনা করেছেন। পরবর্তীতে ১৯১৯-২০ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর সিরিয়ায় ফরাসি মেন্ডেটরি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার তিনি ইবরাহিম হানানুর সাথে নিজ বিদ্রোহী দলকে নিয়ে যোগ দেন।
বিদ্রোহীরা পরাজিত হওয়ার পর তিনি ফিলিস্তিনে অভিবাসী হন।[4][5][6][7] এখানে তিনি একজন মুসলিম ওয়াকফ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। ফিলিস্তিনি আরব কৃষকদের দুর্দশার ব্যপারে তিনি তাদেরকে সচেতন করেছিলেন। ১৯৩০ এর দশকে তিনি স্থানীয় যোদ্ধাদের নিয়ে দল গঠন করেন এবং ব্রিটিশ ও ইহুদি লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেন। একজন ব্রিটিশ পুলিশ নিহত হওয়াতে তার ভূমিকার রয়েছে সন্দেহ হওয়ায় গ্রেপ্তার অভিযানে তিনি নিহত হন। ইসরায়েলি ইতিহাসবিদ টম সেগেভ তাকে আরব জোসেফ ট্রাম্পেলডোর বলে অবিহিত করেছেন।[8] ১৯৩৬-৩৯ খ্রিষ্টাব্দে ফিলিস্তিনের আরব বিদ্রোহে তার মৃত্যু ও অভিযান ভূমিকা রেখেছে।