ইজারা
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইজারা, ([1] আরবি: الإجارة , আল-ইজরাহ, "ভাড়া দিয়ে কিছু দেওয়ার জন্য" [2][3] বা "সাময়িকভাবে মজুরির জন্য পরিষেবা ও পণ্য সরবরাহ" " [4] (বিশেষ্য, ক্রিয়া নয়)) ফিকহের একটি শব্দ (ইসলামিক আইনশাসন) ) [2] এবং ইসলামী ব্যাংকিং এবং ফিনান্সে পণ্য। ইসলামী ফিকাহে এর অর্থ হ'ল ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া বা পরিষেবাগুলি ভাড়া দেওয়া/লিজ দেওয়ার জন্য একটি সম্পত্তি বা কোনও সম্পত্তির " সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে মূল্যের ভিত্তিতে চুক্তি [5] ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাকে মুস্তা'জির বলা হয়, আর কর্মচারীকে আজির বলা হয় । [2] ইজারঃ কেনার জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার দরকার নেই। পৃথিবীর প্রাচীন আমল থেকে প্রচলিত এক প্রকার রাজস্ব চুক্তি।[6] নির্দিষ্ট খাজানায় জমি, খাল, বিল, কারবার প্রভৃতির মেয়াদী বন্দোবস্ত বা ভাড়া দেয়া ইজারা হিসেবে পরিচিত। এটি হলো চুক্তিমূলক আহ্বান ব্যবস্থা ইজারাদার (ব্যবহারকারী) পরিশোধ করে ইজারাদাতা কোনো সম্পদের ব্যবহারের জন্য (মালিক) অধিকারপ্রাপ্ত হন।[7] ভূমি, কৃষি জমি, ভবন এবং যানবাহনকে সাধারণ সম্পত্তি হিসেবে ইজারা দেওয়া হয়। এছাড়া শিল্প বা ব্যবসায়িক সরঞ্জামাদিও ইজারা দেওয়া হয়।[8]
স্পষ্টতই বলতে গেলে, ইজারা চুক্তি হ'ল দুই পক্ষের, চুক্তিদাতা ও ইজারাধারীর মধ্যে একটি চুক্তি। ভাড়াটে সম্পত্তির আইনি মালিক; ভাড়াটে নিয়মিত ভাড়া প্রদানের বিনিময়ে সম্পদ ব্যবহারের অধিকার অর্জন করে। লিজপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাদের সম্পত্তি বা সরঞ্জাম ব্যবহার সম্পর্কিত বিভিন্ন শর্ত মেনে চলতেও সম্মত হন। উদাহরণস্বরূপ, গাড়ি ভাড়া দেওয়ার কোনও ব্যক্তি সম্মত হতে পারে যে গাড়িটি কেবল ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হবে। ভারতীয় উপমহাদেশে মোগল আমলে ইজারা ব্যবস্থার প্রথম প্রচলন হয়। ওই সময়ে রাজা বা শাসকের নিয়াগকৃত একজন রাজস্ব চুক্তিকারী থাকতেন। যাকে ইজারাদার বা মুসতাজির নামে ডাকা হতো। ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজ শাসনামলে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জলমহাল ও হাটবাজার প্রভৃতিও ইজারা দেয়া হতো। [9]