Loading AI tools
৪র্থ ইরাকের রাষ্ট্রপতি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আহমেদ হাসান আল বকর (Arabic أحمد حسن البكر 'Aḥmad Ḥasan al-Bakr; ১ জুলাই ১৯১৪ – ৪ অক্টোবর ১৯৮২)[১] ছিলেন ইরাকের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি। ১৯৬৮ সালের ১৭ জুলাই থেকে ১৯৭৯ সালের ১৬ জুলাই তিনি এই দায়িত্বপালন করেন। তিনি বিপ্লবী আরব সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টির অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় নেতা ছিলেন।
আহমেদ হাসান আল বকর Ahmed Hassan al-Bakr أحمد حسن البكر | |
---|---|
বিপ্লবী কমান্ড কাউন্সিলের ১ম চেয়ারম্যান | |
কাজের মেয়াদ ১৭ জুলাই ১৯৬৮ – ১৬ জুলাই ১৯৭৯ | |
ডেপুটি | সাদ্দাম হোসেন |
পূর্বসূরী | নতুন অফিস |
উত্তরসূরী | সাদ্দাম হোসেন |
ইরাকের ৪র্থ রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৭ জুলাই ১৯৬৮ – ১৬ জুলাই ১৯৭৯ | |
উপরাষ্ট্রপতি | সাদ্দাম হোসেন |
পূর্বসূরী | আবদুল রহমান আরিফ |
উত্তরসূরী | সাদ্দাম হোসেন |
আরব সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডের আঞ্চলিক সেক্রেটারি | |
কাজের মেয়াদ অক্টোবর ১৯৬৬ – ১৬ জুলাই ১৯৭৯ | |
জাতীয় সেক্রেটারি | মিশেল আফলাক |
পূর্বসূরী | সাদ্দাম হোসেন |
উত্তরসূরী | সাদ্দাম হোসেন |
কাজের মেয়াদ ১১ নভেম্বর ১৯৬৩ – ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪ | |
পূর্বসূরী | হামদি আবদুল মজিদ |
উত্তরসূরী | সাদ্দাম হোসেন |
ইরাকের ৪৮তম ও ৫৬তম প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৩১ জুলাই ১৯৬৮ – ১৬ জুলাই ১৯৭৯ | |
রাষ্ট্রপতি | নিজে |
পূর্বসূরী | আবদুর রাজ্জাক আন নাইফ |
উত্তরসূরী | সাদ্দাম হোসেন |
কাজের মেয়াদ ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩ – ১৮ নভেম্বর ১৯৬৩ | |
রাষ্ট্রপতি | আবদুল সালাম আরিফ |
পূর্বসূরী | আবদুল করিম কাসেম |
উত্তরসূরী | তাহের ইয়াহিয়া |
৪৯তম প্রতিরক্ষামন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১১ নভেম্বর ১৯৭৪ – ১৫ অক্টোবর ১৯৭৭ | |
প্রধানমন্ত্রী | নিজে |
পূর্বসূরী | হাম্মাদ শিহাব (অফিসে মৃত্যুবরণ) আবদুল্লাহ আল খাদুরি (১৯৭৩ সালের জুলাই থেকে ভারপ্রাপ্ত) |
উত্তরসূরী | আদনান খাইরাল্লাহ |
আরব সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডের সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১১ নভেম্বর ১৯৬৩ – ১৬ জুলাই ১৯৭৯ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | তিকরিত, উসমানীয় সাম্রাজ্য | ১ জুলাই ১৯১৪
মৃত্যু | ৪ অক্টোবর ১৯৮২ ৬৮) বাগদাদ, ইরাক | (বয়স
রাজনৈতিক দল | বাথ পার্টি (১৯৪০এর দশক–১৯৬৬) বাগদাদ ভিত্তিক বাথ পার্টি (১৯৬৬–১৯৮২) (ন্যাশনাল প্রোগ্রেসিভ ফ্রন্ট (ইরাক)) |
ধর্ম | ইসলাম |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | ইরাক |
শাখা | ইরাকি সেনাবাহিনী |
পদ | জেনারেল |
যুদ্ধ | ইঙ্গ-ইরাকি যুদ্ধ |
১৪ জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে রাজতন্ত্র উৎখাত করা হয়। এরপর আল বকর উপরে উঠে আসেন। নবগঠিত সরকারে আল বকর ইরাকি-সোভিয়েত সম্পর্ক বৃদ্ধিতে নিয়োজিত ছিলেন ১৯৫৯ সালে আল বকর ইরাকের সামরিক বাহিনী থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তৎকালীন সরকার তার বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ করে। বাধ্যতামূলক অবসরের পর তিনি বাথ পার্টির ইরাকি অংশের সামরিক ব্যুরোর চেয়ারম্যান হন। এই পদের মাধ্যমে তিনি বাথিস্ট মতাদর্শের জন্য নতুন কর্মী সংগ্রহ করতে সক্ষম ছিলেন। রমজান বিপ্লবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আবদুল করিম কাসেম ক্ষমতাচ্যুত হলে আল বকর প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং পরবর্তীতে বাথ-নাসেরবাদি জোট সরকারের উপরাষ্ট্রপতি হন। এই সরকার একবছরের কিছু বেশি সময় টিকে ছিল। ১৯৬৩ সালের নভেম্বরে সংঘটিত অভ্যুত্থানে সরকার উৎখাত হয়।
১৯৬৩ সালে আরব সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টি সরকার থেকে বহিষ্কৃত হলে আল বকর ও তার দল আত্মগোপনে থেকে কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে। তারা সরকারের সমালোচক হয়ে উঠে। এসময় আল বকর বাথ পার্টির ইরাকি অংশের সেক্রেটারি জেনারেল (প্রধান) হন এবং সাদ্দাম হোসেনকে দলীয় সেলের উপনেতা নিয়োগ দেন। আল বকর ও তার বাথ পার্টি ১৯৬৮ সালে ১৭ জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। অভ্যুত্থানের পর আল বকর বিপ্লবী কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি সাদ্দাম হোসেনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
তার শাসনামলে ইরাকে সমৃদ্ধি ছিল। অর্থনৈতিক অগ্রগতি বৃদ্ধি পায়। আরব বিশ্বে ইরাকের প্রভাব বৃদ্ধি পায় এবং জনসাধারণের জীবনমান উন্নত হয়। ভূমি সংস্কার করা হয় এবং সমতার ভিত্তিতে সম্পদ বণ্টন করা হয়। ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশনায় সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এই দশকে আল বকর ধীরে ধীরে সাদ্দাম হোসেনের কাছে ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। সাদ্দাম হোসেন দলের ভেতরে ও রাষ্ট্রে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে আল বকর স্বাস্থ্যগত কারণে সকল দায়িত্ব থেকে অবসর নেন। তিনি ১৯৮২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.