আলবের কাম্যু
সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী / From Wikipedia, the free encyclopedia
আলব্যার কাম্যু[lower-alpha 1] (ফরাসি: Albert Camus, উচ্চারণ: [albɛʁ kamy] (শুনুনⓘ); ৭ই নভেম্বর ১৯১৩ – ৪ঠা জানুয়ারি ১৯৬০) ছিলেন একজন আলজেরীয়–ফরাসি দার্শনিক, লেখক ও সাংবাদিক। ১৯৫৭ সালে ৪৪ বছর বয়সে, নোবেল ইতিহাসের দ্বিতীয়-কনিষ্ঠতম প্রাপক হিসেবে, তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার কাজগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দি স্ট্রেঞ্জার, দি প্লেগ, দি মিথ অব সিসিফাস, দি ফল এবং দি রেবেল।
আলবের কাম্যু | |||||
---|---|---|---|---|---|
জন্ম | (১৯১৩-১১-০৭)৭ নভেম্বর ১৯১৩ মন্ডোভি, ফরাসী অধিকৃত আলজেরিয়া (বর্তমানে ড্রিন, আলজেরিয়া) | ||||
মৃত্যু | ৪ জানুয়ারি ১৯৬০(1960-01-04) (বয়স ৪৬) ভিলেব্লেভিন, ফ্রান্স | ||||
মাতৃশিক্ষায়তন | আলজিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় | ||||
উল্লেখযোগ্য কর্ম | The Stranger / The Outsider The Myth of Sisyphus The Rebel The Plague | ||||
অঞ্চল | পাশ্চাত্য দর্শন | ||||
ধারা | মহাদেশীয় দর্শন অলীকবাদ অস্তিত্ববাদ নৈরাষ্ট্রবাদ | ||||
প্রধান আগ্রহ | নীতিবাদ, মানবতাবাদ, বিচারব্যবস্থা, রাজনীতি, আত্মহত্যা | ||||
উল্লেখযোগ্য অবদান | অলীকতা | ||||
ভাবগুরু
| |||||
| |||||
স্বাক্ষর | |||||
কাম্যু আলজেরিয়াতে (তৎকালীন ফরাসি উপনিবেশ) ফরাসি পাইড নোয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার নাগরিকত্ব ছিল ফ্রান্সের। তার শৈশব দরিদ্র পরিবেশে কেটেছিল এবং পরবর্তীকালে তিনি আলজিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানরা যখন ফ্রান্স দখন করেছিল তিনি তখন প্যারিসে ছিলেন। কাম্যু পালাবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু শেষে তিনি ফ্রেঞ্চ রেসিস্ট্যান্স দলে যোগদান করেন এবং সেখানে কোঁবা (Combat "লড়াই")নামে একটি বেআইনি সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদকের ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধ-পরবর্তীকালে, তিনি একজন খ্যাতিমান ব্যক্তি হয়ে ওঠেন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় তিনি ভাষণ দিতে থাকেন। তিনি দুবার বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন এবং তার একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কও ছিল। কাম্যু সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন; তিনি বামপন্থীদের একটা অংশের সাথে যুক্ত ছিলেন যারা সর্বনিয়ন্ত্রণবাদী সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরোধীতা করত। কাম্যু ছিলেন একজন নীতিবাদী এবং তিনি কিছুটা ট্রেড ইউনিয়ন ভিত্তিক নৈরাষ্ট্রবাদের দিকে ঝুঁকেছিলেন। ইউরোপের সংহতিকরণের পক্ষে থাকা অনেক সংস্থার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছলেন। আলজেরিয় যুদ্ধের সময় (১৯৫৪–১৯৬২), তিনি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিলেন; আলজেরিয়ার বহুসংস্কৃতি ও বহুত্ববাদের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন যা বিতর্কের সৃষ্টি করে এবং বেশিরভাগ দলই কাম্যুর এই বক্তব্য মেনে নেয়নি।
দার্শনিক মতবাদের দিক থেকে কাম্যুর চিন্তাভাবনা অ্যাবসার্ডিজম নামক দর্শনের উত্থানের অবদান রেখেছিল যা ছিল শূন্যবাদ (নিহিলিজম) দর্শনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এক আন্দোলন। তাঁকে একজন অস্তিত্ববাদী হিসেবেও গণ্য করা হয়, যদিও তিনি নিজে সারাজীবন ধরে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।