Loading AI tools
রাশিয়ার প্রথম শ্রেণীর প্রশাসনিক বিভাগ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আলতাই প্রজাতন্ত্র (/ˈæltaɪ/; রুশ: Респу́блика Алта́й, রোমানাইজড: Respublika Altay, উচ্চারিত [rʲɪˈspublʲɪkə ɐlˈtaj]; আলতাই: Алтай Респу́блика এবং রেফারিলিমা [Altai: Алтай Республика] এবং আলপাইকোলিও [আলপিউরিকা] নামেও পরিচিত। গোর্নি আলতাই (রাশিয়ান: Горный Алтай, lit. 'The পর্বতীয় আলতাই'), দক্ষিণ সাইবেরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ার একটি প্রজাতন্ত্র। এটি সাইবেরিয়ান ফেডারেল জেলার অংশ, এবং 92,903 বর্গ কিলোমিটার (35,870 বর্গ মাইল) এলাকা জুড়ে রয়েছে; 210,9 জনসংখ্যা সহ এটি রাশিয়ার সবচেয়ে কম জনবহুল প্রজাতন্ত্র এবং সাইবেরিয়ান ফেডারেল ডিস্ট্রিক্টের সবচেয়ে কম জনবহুল ফেডারেল বিষয়। গর্নো-আলতাইস্ক কোপেনহেগেন প্রজাতন্ত্রের রাজধানী।
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ। (সেপ্টেম্বর ২০১৮) |
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ। (সেপ্টেম্বর ২০১৮) |
আলতাই প্রজাতন্ত্র | |
---|---|
প্রজাতন্ত্র | |
Республика Алтай | |
অন্য প্রতিলিপি | |
• আলতাই | Алтай Республика |
সঙ্গীত: আলতাই প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত | |
স্থানাঙ্ক: ৫০°৫৫′ উত্তর ৮৬°৫৫′ পূর্ব | |
দেশ | রাশিয়া |
যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলা | সাইবেরীয়[1][2] |
অর্থনৈতিক অঞ্চল | পশ্চিম সাইবেরীয়[3] |
প্রতিষ্ঠা | জুলাই ১, ১৯২২ |
রাজধানী | গোর্নো-আলতাইস্ক |
সরকার | |
• শাসক | State Assembly—El Kurultai |
আয়তন[4] | |
• মোট | ৯২,৬০০ বর্গকিমি (৩৫,৮০০ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৩৫ তম |
জনসংখ্যা (আদমশুমারি ২০১০)[5] | |
• মোট | ২,০৬,১৬৮ |
• আনুমানিক (2018)[6] | ২,১৮,০৬৩ (+৫.৮%) |
• ক্রম | ৭৯ তম |
• জনঘনত্ব | ২.২/বর্গকিমি (৫.৮/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ২৭.৬% |
• গ্রামীণ | ৭২.৪% |
সময় অঞ্চল | ওমস্ক সময় [7] (ইউটিসি+৬) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | RU-AL |
লাইসেন্স প্লেট | 04 |
প্রাতিষ্ঠানিক ভাষা | রুশ;[8] আলতাই , রাশিয়ান, কাজাখ[9] |
ওয়েবসাইট | http://www.altai-republic.ru |
বর্তমান আলতাই প্রজাতন্ত্র অঞ্চলটি খ্রিস্টপূর্ব ২০৯ সাল হতে ৯৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জিওংনু সাম্রাজ্যের শাসনাধীন ছিল।
পরবর্তীতে আলতাই প্রজাতন্ত্রের দক্ষিণাংশ নাইমান খানাতের অধীনে আসে। বর্তমান আলতাই প্রজাতন্ত্র অঞ্চলটি অতীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাম্রাজ্যের শাসনাধীন ছিল। এর মধ্যে মঙ্গোলীয় জিয়ানবেই রাজ্য (৯৩-২৩৪), রৌরান খানাত (৩৩০-৫৫৫), মঙ্গোল সাম্রাজ্য (১২০৬-১৩৬৮), গোল্ডেন হোরড (১২০৪-১৫০২), জুনঘার খানাত (১৬৩৪-১৭৫৮) এবং ১৭৫৭ হতে ১৮৬৪ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলটি চিং সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল।
চিং শাসনামলে এই অঞ্চলটি দুইজন আলতিয় নুর উরিয়ানখাই শাসকের অধীন একটি অর্ধ-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ছিল। চিং প্রশাসনের সময়ে ১৭৬০ সালে সাইবেরিয়ার জেনারেল ফেডর ইভানোভিচ আলতাই নুর অঞ্চলে একটি অসামরিক অভিযান পরিচালনা করেন এবং দুর্গ নির্মাণ শুরু করেন। যেগুলো পরবর্তীতে চিংয়ের হেসেরি জালাফুংগাদের দ্বারা অপসারিত হয়। ১৮২০ এর দশকের দিকে এই অঞ্চলে নিয়মিত সীমান্ত প্রহরা কমতে থাকে এবং চুই নদীর অববাহিকা রুশরা দখল করে নেয়।
১৮৬৪ হতে ১৮৬৭ সালের মধ্যে তারবাগাতাই চুক্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ আলতান নুর উরিয়ানখাই অঞ্চলটি রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয় এবং স্বায়ত্তশাসন হারায়। পরবর্তীতে ১৯২২ সালের ১ জুন আলতাই ক্রাইয়ের অংশ হিসেবে ওইরত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল (Ойро́тская автоно́мная о́бласть) গঠন করা হলে এই অঞ্চলটি পুনরায় স্বায়ত্তশাসন ফিরে পায়। এই অঞ্চলের আদি নাম ছিল বাজলা।১৯৪৮ সালের ৭ই জানুয়ারি অঞ্চলটিকে গোর্নো-আলতাই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল (Го́рно-Алта́йская автоно́мная о́бласть) নামে নামকরণ করা হয়। ১৯৯২ সালে অঞ্চলটিকে পুনরায় আলতাই প্রজাতন্ত্র নামে নামকরণ করা হয়।
আলতাই প্রজাতন্ত্র এশিয়ার ঠিক মধ্যভাগে আলতাই পর্বতমালায় অবস্থিত। এটি সাইবেরিয় তৈগা, কাজাখস্তানের স্তেপ এবং মঙ্গোলিয়ার আংশিক মরুভূমি এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। প্রজাতন্ত্রের প্রায় ২৫% এলাকায় বনভূমি রয়েছে।
আলতাই প্রজাতন্রের পার্বত্য এলাকা দিয়ে আঁকাবাঁকা পথে প্রায় ২০,০০০ উপনদী প্রবাহিত হয়েছে, যেগুলো সম্মিলিত ভাবে মোট ৬০,০০০ কিলোমিটার (৩৭,০০০ মা) বিস্তৃত জলপথের সৃষ্টি করেছে। প্রজাতন্ত্রের বৃহত্তম নদী দুটি হলো কাতুন এবং বিয়া নদী। উভয় নদীই পার্বত্য এলাকায় সৃষ্টি হয়ে উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়েছে। এই দুটি নদীর মিলনস্থলে অব নদীর সৃষ্টি হয়েছে। অব নদী সাইবেরিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘতম নদী, নদীটি উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে আর্কটিক মহাসাগরে পতিত হয়েছে।
কালো বিয়া নদীর উৎপত্তি হয়েছে টেলেটস্কই হ্রদে, হ্রদটি পর্বতমালার দক্ষিণ দিকের বিচ্ছিন্ন এলাকায় অবস্থিত এই অঞ্চলের বৃহত্তম হ্রদ। অপরদিকে, পান্না রংয়ের কাতুন নদীর উৎপত্তি হয়েছে গেব্লার হিমবাহ হতে, হিমবাহটি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চশৃঙ্গ মাউন্ট বেলুখাতে অবস্থিত। স্থানীয় আলতিয় অধিবাসি এবং এই এলাকায় বসবাসকারী রুশদের কাছে কাতুন নদীর বিশেষ ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। আলতাই লোককথায় বেলুখা পর্বতকে রহস্যময় শাম্ভালা রাজ্যের প্রবেশপথ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।[10]
প্রজাতন্ত্রের জলপ্রণালীতে প্রায় ৭০০০ টি হ্রদ রয়েছে, যা প্রায় ৭০০ কিমি২ (২৭০ মা২) এর অধিক এলাকাকে সংযুক্ত করেছে। টেলেটস্কই হলো এই অঞ্চলে বৃহত্তম হ্রদ, যার দৈর্ঘ্য ৮০ কিমি (৫০ মা) ও প্রস্থ ৫ কিলোমিটার (৩.১ মা)। হ্রদটির মোট আয়তন প্রায় ২৩০.৮ বর্গকিলোমিটার (৮৯.১ মা২) এবং সর্বাধিক গভীরতা ৩২৫ মিটার (১,০৬৬ ফু)। আলতাইয়ের পার্বত্য হ্রদগুলো প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানির বৃহদাকার আধার। জনবসতি হতে দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত হওয়ায় হ্রদগুলোর পানির বিশুদ্ধতা বজায় আছে।[11] শুধুমাত্র টেলেটস্কই হ্রদেই প্রায় ৪০ ঘনকিলোমিটার (৯.৬ মা৩) বিশুদ্ধ পানির মজুদ রয়েছে।
এই অঞ্চলে পরিমাপকৃত প্রতিদিনের ভূগর্ভস্থ জল সঞ্চালনের পরিমাণ ২২ মিলিয়ন ঘনমিটার। যেখানে, বর্তমানে প্রতিদিন ব্যবহৃত জলের পরিমাণ ৪৪,০০০ ঘনমিটার।
আলতাই প্রজাতন্ত্রের প্রধান ভৌগোলিক দৃশ্য হলো পর্বতময় ভূখণ্ড। রাশিয়া, কাজাখস্তান, মঙ্গোলিয়া এবং চীনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে গঠিত আলতাই পর্বতমালার রাশিয়ান অংশে আলতাই প্রজাতন্ত্র অবস্থিত, যা প্রজাতন্ত্রটির অধিকাংশ স্থান জুড়ে বিস্তৃত। অঞ্চলটিতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ভূমিকম্প সংঘটিত হবার ফলে এখানে সংকীর্ণ ও গভীর নদী উপত্যকা দ্বারা বিভক্ত উঁচু ও অমসৃণ পর্বত সৃষ্টি হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চশৃঙ্গ হলো মাউন্ট বেলুখা (৪,৫০৬ মি), যেটি উচ্চতার দিক থেকে সাইবেরিয়া অঞ্চলেরও সর্বোচ্চশৃঙ্গ।
বিভিন্ন ধরনের জলাভূমি ও জলাধারগুলো আলতাই প্রজাতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। খনিজসমৃদ্ধ গরম পানির ঝর্ণাগুলো এর ভেষজ প্রভাবের কারণে পর্যটক এবং স্থানীয় অধিবাসীদের নিকট খুবই জনপ্রিয় গন্তব্য। এছাড়াও, আলতাই হিমবাহ বিপুল পরিমাণ বিশুদ্ধ জলের আধার। আলতাই হিমবাহে পরিমাপকৃত মোট বরফের পরিমাণ ৫৭ কিমি³, যার মধ্যে ৫২ কিমি³ হলো পানি। আলতাই হিমবাহে মজুদ থাকা পানির পরিমাণ প্রায় ৪৩ ঘনকিমি এবং এটি আলতাই অঞ্চলের নদীসমূহ দিয়ে বছরে গড়ে যে পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয় তার তুলনায় বেশি। এই অঞ্চলের বৃহৎ হিমবাহ সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বৈশই তালদুরিন্সকি (৩৫ km²), মেনসু (২১ km²), সফিইস্কি (১৭ km²) এবং বৈশই মাশেয় (১৬ km²)।
এই অঞ্চলের প্রাথমিক খনিজ সম্পদগুলো হলো সোনা, রূপা, আকরিক লোহা এবং লিথিয়াম। এছাড়াও এই অঞ্চলে স্বল্প পরিমাণে আরো কিছু খনিজ পাওয়া যায়। আলতাই অঞ্চলে আলতাই ক্রাইয়ের পার্শ্ববর্তী বারনাউল নামক বৃহৎ শহরটি বিভিন্ন খনিজের প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিলো। যদিও, অতীতের তুলনায় খনিজ নিষ্কাশন শিল্প বর্তমানে অনেক ছোট হয়ে এসেছে।
প্রজাতন্ত্রটিতে টেম্পারেট মহাদেশীয় জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়। যেখানে ছোট ও উষ্ণ গ্রীষ্মকাল (জুন-আগস্ট) এবং দীর্ঘ, শীতল এবং মাঝে মাঝে অত্যন্ত শীতল শীতকাল (নভেম্বর-মার্চ) পরিলক্ষিত হয়।
সাধারনভাবে, প্রজাতন্ত্রের উত্তরাঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভিন্ন এলাকা যেমনঃ উলাগানস্কি ও কোশ-আগাচস্কি প্রভৃতি এলাকার জলবায়ু অধীক রুক্ষ।
আলতাই প্রজাতন্ত্র প্রশাসনিকভাবে দশটি জেলায় বিভক্ত। জেলাগুলো আবার ৯২টি গ্রামীণ বসতিতে বিভক্ত।
জনসংখ্যা: ২০৬,১৬৮ (আদমশুমারী ২০১০);[5] ২০২,৯৪৭ (শুমারী ২০০২); ১৯১,৬৪৯ (শুমারী ১৯৮৯)।
গড় জনসংখ্যা (x ১০০০) | জন্ম | মৃত্যু | স্বাভাবিক পরিবর্তন | অশোধিত জন্মহার (প্রতি ১০০০) | অশোধিত মৃত্যুহার (প্রতি ১০০০) | স্বাভাবিক পরিবর্তন(প্রতি ১০০০) | উর্বরতা হার | |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৯৭০ | ১৬৮ | ৩,২৩৬ | ১,৪৮৬ | ১,৭৫০ | ১৯.৩ | ৮.৮ | ১০.৪ | |
১৯৭৫ | ১৭০ | ৩,৮০৫ | ১,৭২৪ | ২,০৮১ | ২২.৪ | ১০.১ | ১২.২ | |
১৯৮০ | ১৭৫ | ৩,৮৪১ | ২,০৮২ | ১,৭৫৯ | ২১.৯ | ১১.৯ | ১০.১ | |
১৯৮৫ | ১৮৫ | ৪২৫৬ | ২০৯৭ | ২১৫৯ | ২৩.০ | ১১.৩ | ১১.৭ | |
১৯৯০ | ১৯৪ | ৩,৭৫৩ | ২,১২৬ | ১,৬২৭ | ১৯.৩ | ১০.৯ | ৮.৪ | ২৫২ |
১৯৯১ | ১৯৬ | ৩,৫৭৯ | ২,০৬৪ | ১,৫১৫ | ১৮.২ | ১০.৫ | ৭.৭ | ২,১৪ |
১৯৯২ | ১৯৭ | ৩,২৬৩ | ২,২৭১ | ৯৯২ | ১৬.৬ | ১১.৫ | ৫.০ | ২,২৫ |
১৯৯৩ | ১৯৭ | ২,৮৭৮ | ২,৬৩০ | ২৪৮ | ১৪.৬ | ১৩.৪ | ১.৩ | ২,০০ |
১৯৯৪ | ১৯৮ | ২,৯৩১ | ২,৮৭৫ | ৫৬ | ১৪.৮ | ১৪.৫ | ০.৩ | ২,০৩ |
১৯৯৫ | ১৯৯ | ২,৮৩৫ | ২,৬৩৭ | ২১৬ | ১৪.৩ | ১৩.২ | ১.১ | ১,৯৩ |
১৯৯৬ | ২০০ | ২,৭০৪ | ২,৫৬৭ | ১৩৭ | ১৩.৫ | ১২.৮ | ০.৭ | ১,৮০ |
১৯৯৭ | ২০০ | ২,৬৮৬ | ২,৫৪৭ | ১৩৯ | ১৩.৪ | ১২.৭ | ০.৭ | ১,৭৭ |
১৯৯৮ | ২০১ | ২,৯২৩ | ২,৩৬৭ | ৫৫৬ | ১৪.৫ | ১১.৮ | ২.৮ | ১,৮৯ |
১৯৯৯ | ২০২ | ২,৭৪২ | ২,৫৩৬ | ২.৬ | ১৩.৬ | ১২.৬ | ১.০ | ১,৭৪ |
২০০০ | ২০৩ | ২,৯০৭ | ২,৬৪৫ | ২৬২ | ১৪.৩ | ১৩.০ | ১.৩ | ১,৮২ |
২০০১ | ২০৩ | ৩,০৩৩ | ২,৮৭০ | ১৬৩ | ১৪.৯ | ১৪.১ | ০.৮ | ১,৮৭ |
২০০২ | ২০৩ | ৩,২৫২ | ৩,০৬১ | ১৯১ | ১৬.০ | ১৫.১ | ০.৯ | ১,৯৮ |
২০০৩ | ২০৩ | ৩,৩৯২ | ৩,১৭৩ | ২১৯ | ১৬.৭ | ১৫.৭ | ১.১ | ২,০৪ |
২০০৪ | ২০২ | ৩,৫১৩ | ৩,০১৫ | ৪৯৮ | ১৭.৪ | ১৪.৯ | ২.৫ | ২,০৮ |
২০০৫ | 202 | 3,502 | 3,170 | 332 | 17.3 | 15.7 | 1.6 | 2,03 |
২০০৬ | 202 | 3,395 | 2,837 | 558 | 16.8 | 14.1 | 2.8 | 1,93 |
২০০৭ | 202 | 4,066 | 2,574 | 1,492 | 20.1 | 12.7 | 7.4 | 2,29 |
২০০৮ | 203 | 4,442 | 2,549 | 1,893 | 21.9 | 12.5 | 9.3 | 2,48 |
২০০৯ | 204 | 4,266 | 2,492 | 1,774 | 20.9 | 12.2 | 8.7 | 2,48 |
২০১০ | 206 | 4,224 | 2,508 | 1,716 | 20.6 | 12.2 | 8.3 | 2,48 |
২০১১ | 207 | 4,719 | 2,529 | 2,190 | 22.7 | 12.2 | 10.5 | 2,84 |
২০১২ | 209 | 4,693 | 2,416 | 2,277 | 22.4 | 11.5 | 10.9 | 2,91 |
২০১৩ | 211 | 4,442 | 2,392 | 2,027 | 21.1 | 11.3 | 9.8 | 2,82 |
২০১৪ | 213 | 4,404 | 2,365 | 2,039 | 20.7 | 11.1 | 9.6 | 2,88 |
২০১৫ | ২১৪ | ৪,০২২ | ২,৩৪৭ | ১,৬৭৫ | ১৮.৭ | ১০.৯ | ৭.৮ | ২,৬৮ |
২০১৬ | ২১৬ | ৩,৯১১ | ২,১৫১ | ১,৭৬০ | ১৮.১ | ১০.০ | ৮.১ | ২,৬৩(e) |
২০১০ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী,[5] আলতাই প্রজাতন্ত্রের মোট জনগোষ্ঠীর ৫৬.৬% মানুষ জাতিগতভাবে রুশ এবং ৩৪.৫% মানুষ স্থানীয় আলতাই জনগোষ্ঠীর। অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে কাজাখ ৬.২% এবং জার্মান ০.৩%। এছাড়াও এখানে কিছু ছোট গ্রুপ বসবাস করে, সম্মিলিতভাবে যাদের জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ০.৫%।
জাতি গোষ্ঠী |
১৯২৬ আদমশুমারী | ১৯৩৯ শুমারী | ১৯৫৯ শুমারী | ১৯৭০ শুমারী | ১৯৭৯ শুমারী | ১৯৮৯ শুমারী | ২০০২ শুমারী | ২০১০ শুমারী৪ | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংখ্যা | % | সংখ্যা | % | সংখ্যা | % | সংখ্যা | % | সংখ্যা | % | সংখ্যা | % | সংখ্যা | % | সংখ্যা | % | |
আলতাই | ৪২,২১৩1 | ৪২.৪% | ৩৯,২৮৫ | ২৪.২% | ৩৮,০১৯ | ২৪.২% | ৪৬,৭৫০ | ২৭.৮% | ৫০,২৩০ | ২৯.২% | ৫৯,১০৩ | ৩১.০% | ৬৮,০২৭2 | ৩৩.৬% | ৬৯,৯৬৩3 | ৩৪.৫% |
রুশ | ৫১,৮১৩ | ৫২.০% | ১১৪,২০৯ | ৭০.৪% | ১০৯,৬৬১ | ৬৯.৮% | ১১০,৪৪২ | ৬৫.৬% | ১০৮,৭৯৫ | ৬৩.২% | ১১৫,১৮৮ | ৬০.৪% | ১১৬,৫১০ | ৫৭.৫% | ১১৪,৮০২ | ৫৬.৬% |
কাজাখ | ২,৩২৬ | ২.৩% | ৪,২৮০ | ২.৬% | ৪,৭৪৫ | ৩.০% | ৭,১৭০ | ৪.৩% | ৮,৬৭৭ | ৫.০% | ১০,৬৯২ | ৫.৬% | ১২,১০৮ | ৬.০% | ১২,৫২৪ | ৬.২% |
অন্যান্য | ৩,৩০৯ | ৩.৩% | ৪,৪০৫ | ২.৭% | ৪,৭৩৬ | ৩.০% | ৩,৮৯৯ | ২.৩% | ৪,৩৬৫ | ২.৫% | ৫,৮২১ | ৩.১% | ৫,৯১৪ | ২.৯% | ৫,৪৪৭ | ২.৭% |
আলতাই প্রজাতন্ত্রে সরকার প্রধানকে প্রজাতন্ত্রের প্রধান হিসেবে গণ্য করা হয়, যিনি চার বছর মেয়াদে নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে প্রজাতন্ত্রের প্রধান ছিলেন আলেক্সান্ডার বের্ডনিকভ, যিনি মিখাইল লেপ্সিনের স্থলাভিষিক্ত হন। প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ বিধানসভা হলো স্টেট এসেম্বলি-এল কুরুলতাই, এখানে ৪১ জন বিধায়ক চার বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসেন। ২০০২ সালের জানুয়ারিতে ইগোর ইয়াইমভ স্টেট এসেম্বলির-এল কুরুলতাইয়ের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।
১৯৯৭ সালের ৭ই জুন আলতাই প্রজাতন্ত্রের সংবিধান গৃহীত হয়।
আলতাই প্রজাতন্ত্র একটি উচ্চমাত্রায় কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এছাড়াও এখানে কিছু শিল্প রয়েছে। এর মধ্যে খাদ্যদ্রব্য, অ-লৌহ ধাতু শিল্প, রাসায়নিক, স্বর্ণ খনি, জুতা, দুগ্ধ খামার এবং কাঠ শিল্প। এছাড়াও সম্প্রতিকালে পর্যটন শিল্প অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখতে শুরু করেছে। নব্য রাশিয়ানরা এই অঞ্চলে ব্যাপকহারে নতুন হোটেল এবং রিসোর্ট গড়ে তুলেছে।
আলতাই প্রজাতন্ত্র রাশিয়ার অল্প কিছু প্রদেশের মধ্যে অন্যতম যেখানে কোন রেল যোগাযোগ নেই। এই অঞ্চলের প্রধান সড়ক হলো চুইস্কি ট্র্যাক্ট, যেটি প্রজাতন্ত্রের রাজধানী গোর্নো-আলতাইস্ক হতে শুরু করে দক্ষিণে মঙ্গোলিয়ার উত্তর সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রজাতন্ত্রের প্রধান মহাসড়কটি আলতাই পর্বতের রুক্ষ প্রান্তর দিয়ে চলাচলের রাস্তা তৈরি করেছে। এখানে বাস একং ট্যাক্সি পরিবহন ব্যবস্থা চালু আছে, যার মাধ্যমে জনগণ একটি বসতি হতে অন্য জনবসতিতে যাতায়াত ক্রে। এছাড়াও পায়ে হেটে বা ঘোড়ায় চড়েও এখানকার মানুষজন জনবসতিগুলোর মধ্যে চলাচল করে থাকে।
জরুরী পরিবহনের কাজে এখানে হেলকপ্টারও ব্যবহার করা হয়। মুলত বিভিন্ন দূরবর্তী সরকারী কেন্দ্রে মালামাল পৌছাতে এটি ব্যবহার হয়, এছাড়াও ধনী পর্যটকগণ হেলিকপ্টার ব্যবহার করে থাকেন। ২০১২ সালে প্রজাতন্ত্রের রাজধানীর নিকটে অবস্থিত গোর্নো-আলতাইস্ক বিমানবন্দরের রানওয়ের সক্ষমতা দ্বিগুণ করা হয়। সে বছরেরই জুন মাস থেকে মস্কো থেকে এস৭ এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইট শুরু হয়। এর পূর্বে সাধারন মানুষ বিমানে চলাচলের জন্য আলতাই ক্রাইয়ের বারনাউল বা নভোসিবিরস্ক বিমানবন্দর ব্যবহার করতো।[15]
সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর থেকে আলতাই প্রজাতন্ত্রের পর্যটন শিল্প দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করতে থাকে। মূলত পার্শ্ববর্তী রাশিয়ান অঞ্চলের ধনী রুশ ব্যক্তিগন পর্যটক হিসেবে আলতাইয়ে আসেন। তবে, এই অঞ্চলের আধ্যাত্মিক তাৎপর্যের কারণে প্রচুর পরিমাণ বিদেশি পর্যটক এবং নতুন যুগের বিশ্বাসীগণ এই অঞ্চলে ভ্রমণে আসেন।
সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এই অঞ্চলে প্রধান পর্যটক আকর্ষণকারী স্থানগুলো উত্তরের দিকে অবস্থিত। প্রধান পর্যটক আকর্ষণকারী স্থানগুলো মূলত চুইস্কি হাইওয়ের দুপাশে অবস্থিত। এই হাইওয়েটি উত্তর হতে পর্বতের মধ্যদিয়ে চলা প্রধান সড়ক (যদিও বর্তমানে এটি মাত্র দুই লেন প্রশস্ত)। প্রজাতন্ত্রের উত্তরাঞ্চল তুলনামূলকভাবে উঁচু দক্ষিণাঞ্চলের তুলনায় উষ্ণতর। দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা সমূহ গ্রীষ্মকালেও কিছুটা শীতল থাকে।
আলতাই প্রজাতন্ত্রের সুপরিচিত পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে আইয়া হ্রদ (একটি জনপ্রিয় স্নানের স্থান), এবং পিকচারেস্কি চেমাল অঞ্চল। অধিক রোমাঞ্চপ্রিয় পর্যটকগণ আরো দক্ষিণের প্রত্যন্ত এলাকা টেলেটস্কই হ্রদ অথবা মাউন্ট বেলুখাতে ভ্রমণ করতে পারেন।
গোর্নো-আলতাইস্ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় হলো প্রজাতন্ত্রে অবস্থিত একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও সেখানে বারোটি কলেজ এবং ২০৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।।
২০১২ সালের তথ্য অনুযায়ী আলতাই প্রজাতন্ত্রের ধর্মসমূহ (স্রেডা এরেনা এটলাস)[16][17] | ||||
---|---|---|---|---|
রুশ অর্থোডক্সি | ২৭.৬% | |||
পুরাতন বিশ্বাসী | ১.২% | |||
প্রোটেস্ট্যান্ট | ১% | |||
অন্যান্য খ্রিস্টান | ৩% | |||
ইসলাম | ৬.২% | |||
হিন্দু | ২.৬% | |||
Rodnovery এবং অন্যান্য স্থানীয় বিশ্বাসসমূহ | ১৩% | |||
আধ্যাত্মিক কিন্তু ধার্মিক নয় | ২৪.৬% | |||
নাস্তিক এবং ধর্মহীন | ১৪.৪% | |||
অন্যান্য এবং অঘোষিত | ৭.৪% |
আলতাই প্রজাতন্ত্রে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় বিশ্বাস পরিলক্ষিত হয়। ২০১২ সালের জরিপ অনুযায়ী[16], এই অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার ২৭.৬% রুশ অর্থোডক্স চার্চের অনুসারী। দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় ধর্ম হলো জাতিগত ও প্রকৃতি ধর্মসমূহ, যার মধ্যে রোডনোভেরি (স্লাভিক স্থানীয় বিশ্বাস), টেংগ্রিজম (মধ্য এশিয়দের স্থানীয় বিশ্বাস) এবং বুরখানিজম অন্যতম। মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৩% মানুষ এসব প্রকৃতি ধর্মের অনুসারী। অন্যান্যদের মধ্যে ৬% ইসলাম ধর্ম, ২% হিন্দুধর্ম(স্লাভিক-বৈদিক, হরে কৃষ্ণ বা বৈষ্ণব, এবং তান্ত্রিক আন্দোলন সহ), ১% পুরাতন বিশ্বাস এবং ১% প্রোটেস্ট্যান্ট মতবাদের অনুসারী। মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৫% আধ্যাত্মিক কিন্তু ধার্মিক নয়, ১৪% নাস্তিক এবং বাকী ১৪% মানুষ অন্যান্য ধর্ম পালন করে অথবা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে জানাতে আগ্রহী নয়।[16]
আলতাই অঞ্চলের মানুষদের স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী ধর্ম হলো টেংরিস্ট শামানিজম, আধুনিক টেংরিস্ট আন্দোলনের মাধ্যমে এর পুনঃজাগরণ ঘটেছে। জাতিগতভাবে রুশ বংশোদ্ভূত মানুষেরা সাধারণভাবে রাশিয়ান অর্থোডক্স খ্রিস্টান বা রোডনোভেরি ধর্মের অনুসারী। অপরদিকে, কাজাখরা ঐতিহ্যগতভাবে মুসলিম। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী মঙ্গোলিয়া এবং তুভা অঞ্চল থেকে তিব্বতীয় বৌদ্ধ ধর্ম আলতাই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। ১৯০৪ সাল হতে ১৯৩০ এর দশক পর্যন্ত বুরখানিজম (বা সাদা বিশ্বাস) নামক একটি ধর্মীয় আন্দোলন আলতাইয়ের অধিবাসীদের মধ্যে জনপ্রিয় হতে থাকে। এই ধর্মটির আবির্ভাব আলতাই অঞ্চলেই এবং এতে শামানীয় রীতির সাদা দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি জোর দেয়া হয়। আলতাইয়ের জাতীয় চেতনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো বুরখানিজম এবং বর্তমানে এটি বেশ কিছু আংগিকে আলতাই সংস্কৃতির সাথে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।
রাশিয়ান পৌত্তলিক ও হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা প্রায়ই তীর্থযাত্রার জন্য মাউন্ট বেলুখায় গমন করে, যেটিকে পৌত্তলিক ও স্থানীয় আলতাই জনগণ শাম্ভালার স্থান বলে মনে করে। এই অঞ্চলে যে কেউ শামানীয় আধ্যাত্মিকতার নিদর্শন উপলব্ধি করতে পারে। যেমন, কাতুন নদীর সংলগ্ন একটি স্থানে স্থানীয় শামানীয় বিশ্বাসীগণ পার্শ্ববর্তী গাছগুলোতে সাদা ফিতে বাঁধেন এবং অনেকে আত্মাদের জন্য মুদ্রা ও খাদ্যদ্রব্য রেখে আসেন।[18] যদিও, বর্তমানে শামানিজম খুবই স্বল্প পরিসরে পালন করা হয়, তবে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা লাভের মধ্য দিয়ে এটি পুনরায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
স্থানীয় আলতাই সংস্কৃতিতে আলতাই অঞ্চলের ভূমিকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। স্থানীয় ভাষাসমূহ (তুর্কি) এই অঞ্চলের ভূমির মর্যাদার প্রতি গুরুত্বারোপ করে। আলতাই অঞ্চলের মৌখিক ইতিহাসকে পুঁথি গায়কগণ গানে রূপান্তরিত করেছেন। সোভিয়েত শাসনামলে আলতাই সংস্কৃতি ব্যাপক নিপীড়নের শিকার হয় এবং সে সময় থেকেই এটি পুনঃজাগরিত হতে শুরু করে। প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর আলতাইয়ের স্থানীয় দশটি অঞ্চলের সকল গোষ্ঠীগুলো একত্রে ইয়েলো গ্রামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রায় ৩০০ বছর আগে রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চ হতে বিভক্ত হয়ে প্রচুর সংখ্যক পুরাতন বিশ্বাসীগণ আলতাই অঞ্চলে পালিয়ে আসে। সেসময়ে আলতাইয়ের জনগণ তাদেরকে গ্রহণ করে এবং তারা বর্তমানে আলতাইয়ের সাংস্কৃতিক কাঠামোর একটি অংশ।
গোল্ডেন পর্বতমালা হলো ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান যেটি উকোক মালভূমিকে রক্ষা করেছে। এই মালভূমিতে কিছু খাঁড়া পাথর এবং কিছু প্রাগৌতিহাসিক সমাধির সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা ঐ স্থানকে একটি সমাধিক্ষেত্র বলে মনে করলেও স্থানীয়দের বিশ্বাস মতে সেগুলো হলো অতিপবিত্র চৌম্বকযন্ত্র, যার মাধ্যমে মহাজাগতিক শক্তি পৃথিবীতে আসে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এই অঞ্চলে একটি খননের সময় ভূগর্ভস্থ পার্মাফ্রোস্টে একটি ২,৫০০ বছরের পুরাতন মমির সন্ধান পাওয়া যায়। তবে, এই খনন কাজের সময় স্থানিয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং তারা এতে বাধার সৃষ্টি করে।
আলতাই প্রজাতন্ত্রের রাজধানী গোর্নো-আলতাইস্কে অবস্থিত জাতীয় যাদুঘরে আলতাই রাজকুমারীর মমিটি সংরক্ষিত রয়েছে। এখানেই আলতাই প্রজাতন্ত্রের জাতীয় গ্রন্থাগার, জাতীয় থিয়েটার এবং পৌর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র অবস্থিত।
মাস্লেনিস্তসা, নওরোজ, চাগা-বায়রাম ইত্যাদি দিবসগুলো আলতাই প্রজাতন্ত্রে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই দিবসগুলো প্রজাতন্ত্রের উৎসবের দিন হিসেবে দাপ্তরিক স্বীকৃতি লাভ করে।
২০১৩ সালে আলতাই প্রজাতন্ত্র তুর্কভিসন সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। আর্তুর মার্লুজোকভের গাওয়া আলতায়িম মেনিন গানের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানে আলতাই প্রজাতন্ত্রের অভিষেক ঘটে। আলতাই প্রজাতন্ত্র এই প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে।
আলতাই প্রজাতন্ত্রে প্রচলিত খেলাধুলার মধ্যে ব্যান্ডি খেলা অন্যতম।[19][20]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.